বাংলারজমিন
১৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার বাদী
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী শিলা হত্যা মামলার বাদী নুরজাহান বেগম নয়ন অপহরণের ১৫ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে গত ৫ই মার্চ লক্ষ্মীপুর আদালতে আসার পথে নুরজাহান বেগম নয়নকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন, নয়ন বেগমের মেয়ে শিমু আক্তার ও স্বামী দুলাল হোসেন। হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা বাদী নুরজাহান বেগম নয়নকে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছেন তারা। জানা যায়, নুরজাহান বেগম নয়নের মেয়ে শিমু আক্তার অপহরণের দিন ৫ই মার্চ রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করার পর তদন্ত কর্মকর্তা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক জসিম উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলে তদন্ত কাজ না করে নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বাদী শিমু আক্তার। এ দিকে শিমু আক্তার তার মাকে উদ্ধার করার জন্য গত ৭ই মার্চ বিকালে র্যাব ১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পে কোম্পানি কমান্ডার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত র্যাব কোনো সন্ধান করতে পারেনি বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে জানতে চাইলে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, তিনি তদন্ত কাজ শুরু করলেও অসুস্থতা ও নানা ব্যস্ততার কারণে তদন্ত কাজ পুরোপুরি শুরু করতে পারেননি। নুরজাহান বেগম নয়নের মোবাইল কল লিস্টের আবেদন করা হলেও এখনো তা তার হাতে এসে পৌঁছায়নি। এদিকে কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে নয়নের মেয়ে শিমু আক্তার বাদী হয়ে তার মায়ের দায়েরকৃত মামলার আসামিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জের আদালতে ১০ই মার্চ একটি অপহরণ মামলার দায়ের করলে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি গত সোমবার পিবিআই কার্যালয়ে পৌঁছেছে। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হওয়ার পর পিবিআই তাদের কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানা যায়।
এদিকে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ এবং আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করার পর থেকে মামলার আসামি ইছমাইল, ফিরোজ, আমির হোসেন তাদের অনুগতদের নিয়ে বাদী ও সাক্ষী এবং অপহৃত নুরজাহান বেগম নয়নের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী শিমু আক্তার, তার বাবা দুলাল হোসেন, শ্বশুর নুর নবী ও খালা বেবী আক্তার। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে তাদেরও নুরজাহান বেগম নয়নের পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের গোপালপুর দ্বারিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শিলা আক্তারকে (১৩) একই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ এবং আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করার পর থেকে মামলার আসামি ইছমাইল, ফিরোজ, আমির হোসেন তাদের অনুগতদের নিয়ে বাদী ও সাক্ষী এবং অপহৃত নুরজাহান বেগম নয়নের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী শিমু আক্তার, তার বাবা দুলাল হোসেন, শ্বশুর নুর নবী ও খালা বেবী আক্তার। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে তাদেরও নুরজাহান বেগম নয়নের পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের গোপালপুর দ্বারিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শিলা আক্তারকে (১৩) একই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]