বিনোদন

কৌতুকাভিনেতা চিন্ময় রায় আর নেই

কলকাতা প্রতিনিধি

১৮ মার্চ ২০১৯, সোমবার, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

সাহিত্যিক নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের পটলডাঙ্গার টেনিদাকে যিনি পর্দায় জীবন্ত করে রেখেছেন সেই কিম্বদন্তী অভিনেতা চিন্ময় রায় চলে গেছেন। রবিবার রাতে নিজের ফ্ল্যাটেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। সাধারণভাবে কৌতুকাভিনেতা হিসেবেই তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তবে নানা ধরণের চরিত্রে তিনি অভিনয় করে সুনাম কুড়িযেছিলেন। রূপালি পর্দায় আবির্ভূত হওয়ার আগে তিনি মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করেছেন। নান্দীকারের মতো গ্রুপ থিয়েটারের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। একসময় থিয়েটার থেকে সরে এসেছিলেন। তার পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন চিন্ময়বাবু। গত বছর জুন মাসে বাড়ির ছাদ থেকে নীচে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময়ই তার মাথা, হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। দীর্ঘ চিকিৎসায় সেই অবস্থা সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণে কাবু ছিলেন তিনি। ১৯৪০ সালের ১৬ জানুয়ারি চিন্ময় রায়ের জন্ম, বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তপন সিংহের ‘গল্প হলেও সত্যি’চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম রূপালি পর্দায় আভির্ভাব।  এর পর ‘বসন্ত— বিলাপ’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘চারমূর্তি’,‘মৌচাক ’,‘হাটে বাজারে’, ‘ঠগিণী’,‘ফুলেশ্বরী’, ‘সূবর্ণ গোলক’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র মত ছবিতে তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের। নবদ্বীপ হালদার, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বা তুলসী চক্রবর্তীর মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের পর বাংলা ছবিতে কমেডিয়ানের ভূমিকায় রবি ঘোষ বা অনুপকুমারের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন সমানে সমানে। তার প্রয়াণে বাংলা চলচ্চিত্রের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status