শেষের পাতা

প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

১৮ মার্চ ২০১৯, সোমবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

প্রেমিক-প্রেমিকা বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি খেলার মাঠে বসে গল্প করছিল। মেয়ের পরিচিত বখাটে পাঁচ বন্ধু মিলে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে ওদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জের আওতাধীন কাকড়াজান বিটের একটি গহিন বনে ঢুকে। নির্জন ওই বনের একটি খালি জায়গায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে বিবস্ত্র করে চড়-থাপ্পড় মারে বখাটেরা।

একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে বলে। না ধরায় আবারও চড়-থাপ্পড় মারে। এক পর্যায়ে ওরা ওদেরকে ধর্ষণে লিপ্ত হতে চাপ দেয়। পরে এক সময় সাদ্দাম হোসেন, মো. জালাল ও আশরাফুল ইসলাম প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। নজরুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিন এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে ওই প্রেমিক ডাক-চিৎকার শুরু করে। চিৎকারে এক ব্যক্তি টর্চ লাইট নিয়ে এগিয়ে এলে মোটরসাইকেলযোগে ওই পাঁচ বন্ধু পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ই মার্চ টাঙ্গাইলের সখীপুরের বহেড়াতৈল ইউনিয়নের একটি বনে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশে বিচার হওয়ার চেষ্টা চলে।

এক পর্যায়ে কোনো বিচার না পেয়ে শনিবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। সখীপুর থানার পুলিশ গতকাল সকালে দুই নম্বর আসামি জালালকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জালালের কাছ থেকে ধর্ষণের ও প্রেমিক-প্রেমিকাকে বিবস্ত্র করার ভিডিও উদ্ধার করে। বাকি আসামিদের কাছে আরও ভিডিও রয়েছে বলে পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়। গ্রেপ্তার হওয়া জালাল জানায়, মেয়েটি আমাদের পাড়ার। সে মাঝে মধ্যেই ওই ছেলেকে নিয়ে মাঠে বসে গল্প করে। আমাদের সঙ্গে প্রেম না করে অন্য গ্রামের ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় হিংসাত্মকভাবে তাঁদের জোর করে তুলে নেয়া হয়। মেয়েটির বাবা জানায়, আমার কপাল খারাপ। মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বছর দুয়েক আগের ঘটনা। সখীপুর থানায় মামলাও হয়েছিল। এরপর থেকে থানা ও আদালতে ঘুরতে গিয়ে ও লোক লজ্জার ভয়ে আর স্কুলে পড়া হয়নি মেয়েটির। আবার মামলায় যেতে হলো। আগের মামলায় মেয়ে বাদী ছিল। এবার আমাকেই বাদী হতে হয়েছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত পশুদের বিচার দাবি করছি। সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির বলেন, বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে রোববার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status