খেলা
‘আমরা উৎকণ্ঠায় থাকতে চাই না’
ক্রিকেটারদের পরিবারের রুদ্ধশ্বাস ‘সেই সময়’
ইশতিয়াক পারভেজ
১৮ মার্চ ২০১৯, সোমবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
তামিম দেশে ফিরতেই কি যে শান্তি পেয়েছি, তা বলে বোঝাতে পারবো না। যে পর্যন্ত তার মুখটি সব পরিবারের সদস্যরা সরাসরি দেখেনি চিন্তায় আমাদের ঘুমও উবে গিয়েছিল। কি বলবো, সেই দুটি দিন যে কীভাবে কেটেছে তা আমরাই জানি- কথাগুলো বলছিলেন তামিম ইকবালের বড় ভাই জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল খান। নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে দুটি মসজিদে সেই হামলাতে বাংলাদেশিসহ নিহত হয়েছেন ৫০ জন। এখনো গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে আরো অর্ধশত সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট বাতিল হয়েছে। দেশে ফিরে এসেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। সারা দেশে বইছে স্বস্তি। সেই সঙ্গে পরিবারগুলো প্রার্থনা অভিষ্যতে যেন এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে না হয় বাংলাদেশ দলকে। মুশফিকুর রহীমের বাবা মাহবুব হাবিব তারা বলেন, ‘ওরা যখন বিমানবন্দরে ফিরে আসে আমি সেখানে থাকি। কিন্তু এবার যে মুখ ওদের দেখেছি তা বলার মতো নয়। আমরা এমন আর চাই না। আমরা চাই দেশের বাইরেও ক্রিকেটারদের নিরপত্তা নিশ্চিত হোক। যেন আমাদের আর উৎকণ্ঠায় থাকতে না হয়।’ এছাড়াও নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার পর থেকে খান পরিবারের অস্থির অবস্থা নিয়ে নাফিস বলেন, ‘আমাদের কারো ঘুম ছিল না। সত্যি এমন পরিস্থিতি কোনো দিন কল্পনাও করিনি। আমি জানি, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টা ঠিক করবে বিসিবি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ, তারা যেন ঘটনা ঘটার পর তা নিয়ে সিরিয়াস না হয়ে এখন থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডে এমন হয় না, হওয়ার কথাও না, তাই বলে হতে কতক্ষণ। তার প্রমাণতো সামনেই আছে। তাই ন্যূনতম নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে। আশা করি আমরা আর উৎকণ্ঠায় এমন সময় কাটাবো না।’
‘এই আঘাত ওরা কত দিনে ভুলবে জানি না’
মাহবুব হাবিব তারা (মুশফিকুর রহীমের বাবা)
আমি যখন শুনলাম হামলা হয়েছে তখন মুশফিককে ফোনে পাচ্ছিলাম না। মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম এই ভেবে যে, ও নামাজে গেলে ফোন নিয়ে যায় না। বেশ কিছুক্ষণ পর মুশফিক যখন ফোন করে বললো আমরা ভাল আছি তখন একটু শান্তি পেয়েছি। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতা যখন দেখলাম তখন থেকে কী যে অস্থিরতায় কেটেছে তা বলতে পারবো না। শুধু আমার ছেলের জন্যই নয়, ওরা সেখানে যারা ছিল এদেশের সম্পদ। ওদের নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশও ছিল না তাই ভেবেই অবাক হয়েছি। বিশ্বের কোনো দেশই এখন নিরাপদ নয়। তাই নিরাপত্তা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু এটাও সত্যি দেশের বাইরে গিয়ে বিসিবি হয়তো সেইভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে যেকোনো দেশ বাংলাদেশ সফরে আসার আগে নিরাপত্তা প্রতিনিধি পাঠায় সবকিছু বিবেচনা করে তার পর দল পাঠায়। এখন থেকে আমারদের সেই বিষয়গুলো দেখা উচিত। বিসিবি সভাপতিও বলেছেন আশা করি সামনে এমন হবে না।’
জামাইদের ফিরে পেয়ে স্বস্তিতে মুশফিক-মাহমুদুল্লার শ্বশুর
জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শ্বশুর মানিকগঞ্জের ফজলুল রহমান ভুঁইয়া। তাই দল বাংলাদেশ জিতলে এই বাসাতেও শুরু হয় আনন্দের বন্য। কিন্তু শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামালার পর মনিকগঞ্জের ফজলুল রাহমানের পরিবারে নেমে এসেছিল চিন্তার কালো মেঘ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ওদের (মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ) দেখতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই মনকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না। কারণ এমন মুখ ওদের আগে বিদেশ থেকে ফেরার পর দেখিনি। আজ (গতকাল) আমি রিয়াদের বাসা থেকে আসলাম। এখন আছি মুশফিকের বাসাতে। ওদের সামনে দেখে এখন অনেক স্বস্তি পাচ্ছি। হামলার পর থেকে দেশে না ফেরা পর্যন্ত জীবনের কঠিন সময় কাটিয়েছি। দুই জামাই আমার সেখানে কীভাবে ঘুম হয়! খাওয়া হয়! এখন ভালো লাগছে। তবে বিসিবির কাছে আমার অনুরোধ এখন থেকে যেন নিরপত্তার বিষয়টি সবার আগে চিন্তা করে তারা। নয়তো আমরা পরিবারগুলো শান্তিতে থাকতে পারবো না।’
‘এই আঘাত ওরা কত দিনে ভুলবে জানি না’
মাহবুব হাবিব তারা (মুশফিকুর রহীমের বাবা)
আমি যখন শুনলাম হামলা হয়েছে তখন মুশফিককে ফোনে পাচ্ছিলাম না। মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম এই ভেবে যে, ও নামাজে গেলে ফোন নিয়ে যায় না। বেশ কিছুক্ষণ পর মুশফিক যখন ফোন করে বললো আমরা ভাল আছি তখন একটু শান্তি পেয়েছি। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতা যখন দেখলাম তখন থেকে কী যে অস্থিরতায় কেটেছে তা বলতে পারবো না। শুধু আমার ছেলের জন্যই নয়, ওরা সেখানে যারা ছিল এদেশের সম্পদ। ওদের নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশও ছিল না তাই ভেবেই অবাক হয়েছি। বিশ্বের কোনো দেশই এখন নিরাপদ নয়। তাই নিরাপত্তা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু এটাও সত্যি দেশের বাইরে গিয়ে বিসিবি হয়তো সেইভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে যেকোনো দেশ বাংলাদেশ সফরে আসার আগে নিরাপত্তা প্রতিনিধি পাঠায় সবকিছু বিবেচনা করে তার পর দল পাঠায়। এখন থেকে আমারদের সেই বিষয়গুলো দেখা উচিত। বিসিবি সভাপতিও বলেছেন আশা করি সামনে এমন হবে না।’
জামাইদের ফিরে পেয়ে স্বস্তিতে মুশফিক-মাহমুদুল্লার শ্বশুর
জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শ্বশুর মানিকগঞ্জের ফজলুল রহমান ভুঁইয়া। তাই দল বাংলাদেশ জিতলে এই বাসাতেও শুরু হয় আনন্দের বন্য। কিন্তু শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামালার পর মনিকগঞ্জের ফজলুল রাহমানের পরিবারে নেমে এসেছিল চিন্তার কালো মেঘ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ওদের (মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ) দেখতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই মনকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না। কারণ এমন মুখ ওদের আগে বিদেশ থেকে ফেরার পর দেখিনি। আজ (গতকাল) আমি রিয়াদের বাসা থেকে আসলাম। এখন আছি মুশফিকের বাসাতে। ওদের সামনে দেখে এখন অনেক স্বস্তি পাচ্ছি। হামলার পর থেকে দেশে না ফেরা পর্যন্ত জীবনের কঠিন সময় কাটিয়েছি। দুই জামাই আমার সেখানে কীভাবে ঘুম হয়! খাওয়া হয়! এখন ভালো লাগছে। তবে বিসিবির কাছে আমার অনুরোধ এখন থেকে যেন নিরপত্তার বিষয়টি সবার আগে চিন্তা করে তারা। নয়তো আমরা পরিবারগুলো শান্তিতে থাকতে পারবো না।’