প্রথম পাতা
ভাগ্যই বাঁচিয়ে দিলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ মার্চ ২০১৯, শনিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
তিন-চার মিনিট এদিক-ওদিক হলেই সর্বনাশ হয়ে যেত বাংলাদেশের ক্রিকেটের। সত্যিই এ যেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা। গতকাল ক্রাইস্টচার্চে বন্দুক হামলা থেকে একটুর জন্য রক্ষা পান তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহীমরা। ক্রাইস্টচার্চে একবারে কাছে থেকে তারা দেখেন মৃত্যুর বিভীষিকা। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে যে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, সেই মসজিদেরই মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এক সন্ত্রাসী। ক্রিকেটাররা মসজিদে প্রবেশ করতে যাবেন সেই মুহূর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন এক মহিলা। কাঁপা-কাঁপা গলায় বলেন, ‘ভেতরে যেও না, ভেতরে গুলি চলছে।’ পরে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট।
মহিলার কথা শুনে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে যান ক্রিকেটাররা। তামিমদের মুখ রক্তশূন্য হয়ে যায় যেন। টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট ১৭ জনের দল নিয়ে দ্রুতই ফিরে আসেন টিম বাসে। বাসে বসে ভাবতে থাকেন কীভাবে বের হবেন এই অবস্থা থেকে। বাসে বসেই তারা দেখতে পান মসজিদের সামনে লাশ পড়ে আছে। কেউবা রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন। শেষতক বাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন সবাই। পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় বাস থেকে নেমে অনেকটা হেঁটে-দৌড়ে হ্যাগলি ওভালের ড্রেসিং রুমে ফেরেন সবাই। সেখানে ঘণ্টা-দুয়েক অবরুদ্ধ থাকার পর বিশেষ এসকর্টে করে তাদের আনা হয় নভোটেল হোটেলে।
পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন টিম ম্যানেজার পাইলট। তার উপলব্ধি, ঘটনা স্থলে তিন-চার মিনিট আগে পৌঁছলেই এই বিভীষিকার কবলে পড়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাইলট বলেন, ‘বাসে আমরা অনেকজন ছিলাম, ১৭ জনের মতো। এর মধ্যে সৌম্য সরকারও ছিল। আমরা সবাই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম। আমার মনে হয় যেন মসজিদটা আমাদের চোখের সামনেই ছিল। বাস থেকে আমরা পরিষ্কার দেখছিলাম। খুব বেশি হলে হয়তো ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আর যদি ৩-৪ মিনিট আগে চলে আসতাম তাহলে হয়তো বড়োসড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেত। আমরা ভাগ্যবান যে সেখানে ছিলাম না। মনে হচ্ছিল যেন মুভিতে যেমন দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ বের হয়ে আসছে। বেশ কয়েকজন মানুষ বের হতে পেরেছিল।’
বাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পাইলট বলেন, ‘প্রায় আট-দশ মিনিট বাসে ছিলাম আমরা। মাথা নিচু করে ছিলাম। এই ভয়ে যে ফায়ার হতে পারে। টেররিস্ট যদি বাসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে! এরপর বাস থেকে বেরিয়ে যাই। বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল। কারণ, পরবর্তীতে আমরা ভিডিওতে দেখি যে, বাইরে এসে রাস্তায় লোকজনকে গুলি করেছে অস্ত্রধারী।’
নিরাপদে টিম হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান পাইলট, ‘তারা যেভাবে আমাদেরকে টিম হোটেলে নিয়ে এসেছে এবং আমাদের নির্ভার করেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। ওরা ওদের কালচার অনুযায়ী চেষ্টা করেছে। ওদের তো কিছু করার নেই। ওরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।’
পাইলট জানান, ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তারা। নিউজিল্যান্ড থেকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ক্রিকেটারদের আশ্বাস দেয় বিসিবি। বাতিল করা হয় তৃতীয় টেস্ট।
ভীতিকর অভিজ্ঞতা: তামিম ইকবাল
এমন পরিস্থিতিতে এর আগে কখনো পড়েননি তামিম ইকবাল। চোখের সামনে লাশ। রক্তাক্ত মানুষ। জীবন বাঁচাতে যে যার মতো ছুটছেন। তামিমও ছুটেছিলেন সতীর্থদের সঙ্গে। জানটা নিয়ে কোনোমতো ফেরেন হ্যাগলি ওভালের ড্রেসিং রুমে। নিরাপদ জায়গায় ফিরে টুইট করেন তামিম, ‘পুরো দল বন্দুকধারীর হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এটা ভীতিকর অভিজ্ঞতা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
আমরা ভীষণ ভাগ্যবান: মুশফিকুর রহীম
ক্রাইস্টচার্চে মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা বাংলাদেশি ক্রিকেট দলের সঙ্গে ছিলেন মুশফিকুর রহীমও। আতঙ্কিত হয়ে কেঁদে ফেলেন মুশফিক। অক্ষত অবস্থায় ড্রেসিং রুমে ফিরতে পেরে শুকরিয়া আদায় করে টুইট করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গুলি থেকে আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন। আমরা ভীষণ ভাগ্যবান। আর কখনো এমন কিছু দেখতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’
মহিলার কথা শুনে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে যান ক্রিকেটাররা। তামিমদের মুখ রক্তশূন্য হয়ে যায় যেন। টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট ১৭ জনের দল নিয়ে দ্রুতই ফিরে আসেন টিম বাসে। বাসে বসে ভাবতে থাকেন কীভাবে বের হবেন এই অবস্থা থেকে। বাসে বসেই তারা দেখতে পান মসজিদের সামনে লাশ পড়ে আছে। কেউবা রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন। শেষতক বাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন সবাই। পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় বাস থেকে নেমে অনেকটা হেঁটে-দৌড়ে হ্যাগলি ওভালের ড্রেসিং রুমে ফেরেন সবাই। সেখানে ঘণ্টা-দুয়েক অবরুদ্ধ থাকার পর বিশেষ এসকর্টে করে তাদের আনা হয় নভোটেল হোটেলে।
পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন টিম ম্যানেজার পাইলট। তার উপলব্ধি, ঘটনা স্থলে তিন-চার মিনিট আগে পৌঁছলেই এই বিভীষিকার কবলে পড়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাইলট বলেন, ‘বাসে আমরা অনেকজন ছিলাম, ১৭ জনের মতো। এর মধ্যে সৌম্য সরকারও ছিল। আমরা সবাই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম। আমার মনে হয় যেন মসজিদটা আমাদের চোখের সামনেই ছিল। বাস থেকে আমরা পরিষ্কার দেখছিলাম। খুব বেশি হলে হয়তো ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আর যদি ৩-৪ মিনিট আগে চলে আসতাম তাহলে হয়তো বড়োসড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেত। আমরা ভাগ্যবান যে সেখানে ছিলাম না। মনে হচ্ছিল যেন মুভিতে যেমন দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ বের হয়ে আসছে। বেশ কয়েকজন মানুষ বের হতে পেরেছিল।’
বাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পাইলট বলেন, ‘প্রায় আট-দশ মিনিট বাসে ছিলাম আমরা। মাথা নিচু করে ছিলাম। এই ভয়ে যে ফায়ার হতে পারে। টেররিস্ট যদি বাসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে! এরপর বাস থেকে বেরিয়ে যাই। বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল। কারণ, পরবর্তীতে আমরা ভিডিওতে দেখি যে, বাইরে এসে রাস্তায় লোকজনকে গুলি করেছে অস্ত্রধারী।’
নিরাপদে টিম হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান পাইলট, ‘তারা যেভাবে আমাদেরকে টিম হোটেলে নিয়ে এসেছে এবং আমাদের নির্ভার করেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। ওরা ওদের কালচার অনুযায়ী চেষ্টা করেছে। ওদের তো কিছু করার নেই। ওরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।’
পাইলট জানান, ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তারা। নিউজিল্যান্ড থেকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ক্রিকেটারদের আশ্বাস দেয় বিসিবি। বাতিল করা হয় তৃতীয় টেস্ট।
ভীতিকর অভিজ্ঞতা: তামিম ইকবাল
এমন পরিস্থিতিতে এর আগে কখনো পড়েননি তামিম ইকবাল। চোখের সামনে লাশ। রক্তাক্ত মানুষ। জীবন বাঁচাতে যে যার মতো ছুটছেন। তামিমও ছুটেছিলেন সতীর্থদের সঙ্গে। জানটা নিয়ে কোনোমতো ফেরেন হ্যাগলি ওভালের ড্রেসিং রুমে। নিরাপদ জায়গায় ফিরে টুইট করেন তামিম, ‘পুরো দল বন্দুকধারীর হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এটা ভীতিকর অভিজ্ঞতা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
আমরা ভীষণ ভাগ্যবান: মুশফিকুর রহীম
ক্রাইস্টচার্চে মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা বাংলাদেশি ক্রিকেট দলের সঙ্গে ছিলেন মুশফিকুর রহীমও। আতঙ্কিত হয়ে কেঁদে ফেলেন মুশফিক। অক্ষত অবস্থায় ড্রেসিং রুমে ফিরতে পেরে শুকরিয়া আদায় করে টুইট করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গুলি থেকে আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন। আমরা ভীষণ ভাগ্যবান। আর কখনো এমন কিছু দেখতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’