এক্সক্লুসিভ
বন্দুকধারীর লাইভ লুটিয়ে পড়ছে মানুষ
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ মার্চ ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
১৬ বা ১৭ মিনিটের মিশন। এর মধ্যেই সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরান্ট রক্তে ভাসিয়ে দেয় মসজিদ। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে তখন মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ। সেখানে অকস্মাৎ তার বন্দুক গর্জে ওঠে। প্রার্থনারত মুসল্লিদের রক্তে ভেসে যায় মসজিদ। চারদিকে তখন এক ভয়াবহ আর্তনাদ। বাঁচার করুণ আকুতি। যে যেভাবে পারছে সেভাবে দৌড়াচ্ছে। হতবিহ্বল মুসল্লিদের অনেকে তখন নিথর হয়ে পড়েছেন মসজিদের মেঝেতে। তবু হুঙ্কার দিয়ে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে ব্রেনটন। ঔদ্ধত্য দেখিয়ে সেই দৃশ্য আবার সরাসরি ফেসবুকে লাইভ দিয়ে যাচ্ছিল সে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মানুষ সে ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছিল। পাকিস্তান কিংবা যুক্তরাষ্ট্র নয়, নিউজিল্যান্ডের মতো শান্ত ও নিরাপদ রাষ্ট্রের জন্য এ ঘটনা একইসঙ্গে বিস্ময়কর ও নজিরবিহীন। ইউরোপে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের হামলার প্রতিশোধ নিতে ৪৯ জন নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে এই বন্দুকধারী। একইসঙ্গে নিজের হেলমেটে লাগানো গো-প্রো ক্যামেরা দিয়ে তা ভিডিও করেছে ও লাইভ সমপ্রচার করেছে।
এতে দেখা যায়, প্রথমে গাড়ি থেকে নামে ওই বন্দুকধারী। তখন গাড়িতে গান চলছিল। শান্তভাবেই সে গাড়ি পার্ক করে মসজিদের পাশে। এরপর গাড়ির পেছন থেকে বের করে একই অটোমেটিক রাইফেল। সেখানে আরো অস্ত্র রাখা ছিল, দেখে মনে হয়েছে আধুনিক কোনো অ্যাসাল্ট রাইফেল। এর ঠিক ১০ মিনিট আগে জুমার নামাজ পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
শুরু হয়েছে মসজিদে। সে শান্তভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে মসজিদে ঢুকে। এরপর একে একে সামনে যাকেই সে পেয়েছে গুলি করেছে। সরাসরি ভেতরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। গুলি শেষ হয়ে গেলে সে বারবার ম্যাগাজিন রিলোড করছিল। এক পর্যায়ে মসজিদের মধ্যে থাকা আহতদের সে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। একে একে সবাইকে হত্যার পর সে শান্তভাবে আবার বেরিয়ে আসে। বেরিয়ে আসার পরেও সে গুলি করেছে বলে জানানো হয়। তবে এ অংশটি ভিডিওতে দেখা যায়নি।
এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে শোনা যায় যুক্তরাষ্ট্রতে কিংবা পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসী অধ্যুষিত রাষ্ট্রে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এমন হামলায় বিস্মিত হয়েছে সমগ্র বিশ্ব। হামলার ধরন ও প্রকৃতি দেখে কারো বুঝতে কষ্ট হবে না এটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এই নৃশংসতার নিন্দায় সরব বিশ্বনেতারা।
এতে দেখা যায়, প্রথমে গাড়ি থেকে নামে ওই বন্দুকধারী। তখন গাড়িতে গান চলছিল। শান্তভাবেই সে গাড়ি পার্ক করে মসজিদের পাশে। এরপর গাড়ির পেছন থেকে বের করে একই অটোমেটিক রাইফেল। সেখানে আরো অস্ত্র রাখা ছিল, দেখে মনে হয়েছে আধুনিক কোনো অ্যাসাল্ট রাইফেল। এর ঠিক ১০ মিনিট আগে জুমার নামাজ পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
শুরু হয়েছে মসজিদে। সে শান্তভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে মসজিদে ঢুকে। এরপর একে একে সামনে যাকেই সে পেয়েছে গুলি করেছে। সরাসরি ভেতরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। গুলি শেষ হয়ে গেলে সে বারবার ম্যাগাজিন রিলোড করছিল। এক পর্যায়ে মসজিদের মধ্যে থাকা আহতদের সে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। একে একে সবাইকে হত্যার পর সে শান্তভাবে আবার বেরিয়ে আসে। বেরিয়ে আসার পরেও সে গুলি করেছে বলে জানানো হয়। তবে এ অংশটি ভিডিওতে দেখা যায়নি।
এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে শোনা যায় যুক্তরাষ্ট্রতে কিংবা পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসী অধ্যুষিত রাষ্ট্রে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এমন হামলায় বিস্মিত হয়েছে সমগ্র বিশ্ব। হামলার ধরন ও প্রকৃতি দেখে কারো বুঝতে কষ্ট হবে না এটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এই নৃশংসতার নিন্দায় সরব বিশ্বনেতারা।