বাংলারজমিন
ভালুকায় নেশাখোর ছেলেকে খুন করে মাটিচাপা, লাশ উদ্ধার
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভালুকা উপজেলার উরাহাটি গ্রামে নেশাখোর পুত্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জন্মদাতা পিতা-মাতা তাদের নিজ সন্তান জসিম উদ্দিন (২৫)কে হত্যা করে বসতঘরের মেঝেতে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দু’দিন পর গতকাল দুপুরে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘরের মেঝে খুঁড়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের সুলতান মিয়ার নেশাখোর ছেলে জসিম উদ্দিন নেশার টাকার জন্য প্রায়ই তার বাবা-মা’কে নির্যাতন করতো। ঘটনারদিন সোমবার রাতে টাকার জন্য সে আবার তার মা সুফিয়া খাতুনকে মারধর করলে পিতা সুলতান মিয়ার সাথেও তার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তারা দু’জন মিলে ছেলেকে মারধর করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ অবস্থায় তারা ঘরের মেঝে খুঁড়ে নিহত জসিমকে মাটিচাপা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে জসিমের পিতা সুলতান মিয়া ঢাকায় অবস্থানরত তার ভাতিজা জাহাঙ্গীরকে ঘটনাটি জানায়। জাহাঙ্গীর নিহত জসিমের সৎ ভাই আমীরকে বিষয়টি অবহিত করে। আমির ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাদশাকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে রাতেই পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় ঘরের তালা ভেঙে কোনো আলামত না পেয়ে তারা চলে আসে। গতকাল দুপুরে পুলিশ আবারো ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের ভেতর টেবিলের নিচে মেঝেতে লেপাপোঁচা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে মাটি খুঁড়ে গলায় প্লাস্টিকের দড়ি পেঁচানো অবস্থায় জসিমের লাশ উদ্ধার করে। নিহত জসিমের সৎ ভাই আমির হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, জসিম টেম্পোচালক এবং সে প্রায়ই নেশা খেয়ে পরিবারের লোকদের নির্যাতন করতো। নিহত জসিম নেশা করার কারণে তার স্ত্রী এক বছরের শিশুসন্তানসহ তার বাবার বাড়ি চলে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাদশা জানান, লোক মারফত খবর পেয়ে আমি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি। শুনেছি সে নেশাখোর ছিল। লাশ উদ্ধারকারী ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, লাশের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি, কিন্তু গালায় প্লাস্টিকের দড়ি পেঁচানো ছিলো। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে, তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।