খেলা

তৃতীয় টেস্ট শুরু কাল ভোর ৪টায়

ক্রাইস্টচার্চে শেষ সুযোগ

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন

২০০১ সালে শুরু। নিউজিল্যান্ড সফর মানেই বাংলাদেশের জন্য বিভীষিকার নাম। কোনো ফরমেটেই নেই জয়। ওয়ানডেতে কিছুটা লড়াই হলেও টেস্ট একেবারেই একপেশে। ১৭ বছরে কিউইদের মাটিতে টাইগাররা বদলাতে পারেনি টেস্ট লড়াইয়ের ইতিহাস। প্রতিবারই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে দলকে। এবারও টাইগারদের সামনে তেমনি হুমকি। টানা দুই ম্যাচ ইনিংস ব্যবধানে হেরে এরই মধ্যে হারিয়েছে ওয়ানডে সিরিজ। এখন শেষ টেস্টে টাইগারদের কফিনে হোয়াইটওয়াশের পেরেক মারাই শুধু বাকি। ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্টে হেরে গেলেই মিলবে আরো একটি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না টাইগারদের জন্য ক্রাইস্টচার্চ হতে পারে ইতিহাস বদলানোর সুযোগ। তার জন্য গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধের মঞ্চ। যেখান থেকে বোলার-ব্যাটসম্যান এমনকি ফিল্ডারও যুদ্ধ করবে ঘুড়ে দাঁড়ানোর। তার জন্য শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করার কথা দলের হয়ে জানিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। দলের মিডল অর্ডারের নতুন এই মুখ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটটাই এমন। এর সঙ্গে সব ফরম্যাটের পার্থক্য। আপনি কতোটা মেন্টাল স্ট্রেন্থ নিয়ে খেলতে পারেন, কতোটা ডিটারমাইন্ড হয়ে খেলতে পারেন। আমি নিশ্চিত সবাই তাঁর একশ’ ভাগ দেয়ার চেষ্টা করে। আমরা কোনো ক্লাবের হয়ে বা পাড়ার ক্রিকেট খেলছি না, আমরা দেশের হয়ে খেলছি। চেষ্টাটা থাকে সবসময়। প্রতিদিন তো সবাই পারে না! আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি।’
নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শেষ টেস্টেও নিউজিল্যান্ড যেতে পারেননি। সবেমাত্র ইনজুরি থেকে ফিরে মাঠে অনুশীলন শুরু করেছেন। কিছুদিন পরেই যাবেন আইপিএল খেলতে। অন্যদিকে তার পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে হিমশিম খেতে হচ্ছে দল সামলাতে। একের পর এক ইনজুরি দলের বাজে হারের কারণও হচ্ছে তার জন্য। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এখনো ইনজুরির কারণে মাঠে ফিরতে পারেননি। মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ে আশার আলো দেখানো মিঠুন ইনজুরি থেকে ফিরলেও এখনো নিজেকে খুঁজে পাননি। তবে আজ মুশফিকের একাদশে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। এমনটা আভাস দেয়া হয়েছে বিসিবি’র পক্ষ থেকেও। তবে ইনজুরি পুরোপুরি ভার না হলে তাকে হয়তো কোনোভাবে ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামাবে না বিসিবি। সৌম্য সরকার, লিটন দাসরা এখনো ভরসা হতে পারেননি দলের। তাই তামিম ইকবাল ওপেনিংয়ে যতই দারুণ শুরু এনে দেন দলকে রান করা কঠিনই হবে। করণ ওপেনারদের পর আসল দায়িত্বটা মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারের। এখন পর্যন্ত এখানে মিলেছে ব্যর্থতাই। শুধুমাত্র অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকেই লড়াই করতে দেখা গেছে। তিনি পেয়েছেন একটি সেঞ্চুরি। সৌম্য সরকার তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা  পেয়েছেন প্রথম টেস্টে। কিন্তু ফের আগের মতোই ব্যর্থ।
অন্যদিকে তামিমের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে সাদমান শুরুটা ভালো করলেও নিজেকে ধরে রাখতে পারছেন না। চার ইনিংসেই আউট হয়েছেন ২০-এর উপর রান করে। বলতে গেলে ক্রাইস্ট চার্চেও বড় চিন্তার নাম ব্যাটিং। কেন এমন ব্যর্থতা এ নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমাদের এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার মতো যথেষ্ট সময় ছিল না। তারপর ওরা আমাদের যেইভাবে অ্যাটাক করেছে, ওরা যেই টাইপের বল করেছে, এসব মিলিয়ে সমস্যা না হলে তো রেজাল্টটা এমন হতো না।’
অন্যদিকে শুধু যে, ব্যাটিংয়েই চিন্তা এমন নয়। বোলিংটাও হচ্ছে না আহামরি। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম ম্যাচে না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফিরেছিলেন। কিন্তু বোলিং আক্রমণের পরিবর্তন হয়নি। আরো দুই পেসার আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত তার সঙ্গে চেষ্টা করলো কোনো ফল পাওয়া যায়নি। মূলত এই কন্ডিশনে বোলিং করাও কঠিন মনে করেন মিঠুন। তিনি বলেন, ‘টেস্টের কথা যদি বলেন, এমন উইকেট আমাদের দেশে তৈরি করাটা কঠিন। শুধু উইকেট তৈরি করলে হবে না। এই টাইপের বোলারও লাগবে। আর ওদের এক একজন বোলার কত অভিজ্ঞ, কতদিন ধরে খেলছে, টেস্ট ক্রিকেটে অভিজ্ঞতাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খুব বেশি ম্যাচ খেলা বোলারও নেই। ওরা খেলতে খেলতেই এত ভালো হয়েছে। আমাদেরও যদি সুযোগ থাকে ম্যাচ খেলার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট যদি খেলতে পারি তাহলে একসময় আমাদের বোলিংও অনেক ভালো হবে।’ শেষ ম্যাচে একাদশে ছিলেন স্পিনার তাইজুল। এই ম্যাচে মুশফিক ফিরলে তার না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তবে সেটি না করলে হয়তো ধারাবাহিক ভাবে বাজে খেলা লিটন এই টেস্টের একাদশে নাও খেলতে পারেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status