খেলা
ব্যবধান বাড়াতে না পারার আক্ষেপ মৌসুমীদের
স্পোর্টস রিপোর্টার, বিরাটনগর নেপাল থেকে
১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
আমার দলে গোল করার মতো ফুটবলারের অভাব নেই, প্রায়ই শিষ্যদের নিয়ে এমন কথা বলেন গোলাম রব্বানী ছোটন। ভুটান ম্যাচের আগের দিন সকালেও বিরাটনগরের টিম হোটেল জেনিয়েলের লবিতে বসে একই কথা বলেছিলেন নারী ফুটবল দলের এই কোচ। কিন্তু গতকাল বিরাটনগরের রঙ্গশালায় প্রথমার্ধে গোল পায়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করলেও, ব্যবধান বাড়াতে না পারার আক্ষেপ আছে ফুটবলারদের। ম্যাচ শেষে সেটা স্বীকারও করেছেন মিসরাত জাহান মৌসুমী। ব্যবধান কম হওয়াতে নেপাল ম্যাচটি আরো কঠিন হয়ে গেল বলে মনে করেন তিনি। সাবিনার সঙ্গে এক গোল করা মৌসুমীর মতে কাল ভুটানকে নেপালের চেয়ে বেশি গোল (তিন গোল) দিতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হতো। সেক্ষেত্রে আগামীকালের ম্যাচে ওরা আমাদের চেয়ে চাপে বেশি থাকতো।
শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে আফগানিস্তানের জালে ছয় গোল দেয়ার পর ভারতের সঙ্গে ড্র করে সেমিফাইনালে নেপালকে এড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতকে এড়ানোর লক্ষ্য ছিল সাবিনা-কৃষ্ণাদের। তার জন্যই ভুটানকে তিন গোলের অধিক দেয়ার টার্গেট বাংলাদেশের। ম্যাচে ভালো খেলেও সেটা করতে না পারার কারণ হিসেবে দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরম এবং মাঠ শক্ত হওয়ার কারণে মেয়েদের বল রিসিভ করতে সমস্যা হচ্ছিল, তাই ফাইনাল ফিনিশিংটা করতে পারছিল না। আমার একটাই মেসেস ছিল, যেমন খেলছো তেমনটা খেলে যাও। গোল আসবেই। হয়েছেও তাই। তারমতে আমাদের জয়লাভ করার দরকার ছিল এবং আমরা জয়ে লাভ করেছি। সেমিফাইনালে উঠেছি। ম্যাচে কৃষ্ণা মিস করেছেন জানিয়ে ছোটন বলেন, কৃষ্ণা অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমার মনে হয় এ ম্যাচে কৃষ্ণা থাকলে আরো ভালো হতো। কৃষ্ণা অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলে নিয়মিত। আশা করি পরের ম্যাচে ওকে আমরা পাবো। ম্যাচ নিয়ে দলের সহ-অধিনায়ক মৌসুমী বলেন, দেশ থেকে আসার সময় আমরা সেমিফাইনাল লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, সেটা পূরণের জন্য আজকের জয়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিতেই আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছেছি। আমরা খুশি। প্রত্যেকে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেয়ায় এবং কঠোর পরিশ্রম করে জেতায় আমি খুশি। জয়ে খুশি হলেও ব্যবধান বাড়াতে না পারার আক্ষেপ কাজ করছে তার মনে। ‘আসলে ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। সুযোগও তৈরি করেছিলাম। কিন্তু মাঠ শক্ত থাকায় বলে অনেক বাউন্স ছিল। যে কারণে শুটিং রিসিভিং সবকিছুতে আমাদের সমস্যা হয়েছে। এ কারণে গোলও কম হয়েছে। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে অনেক গোল করলেও জাতীয় দলের হয়ে কালই প্রথম গোল করেন মৌসুমী। গোলের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, আসলে দলের জন্য প্রথম গোল করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। দলের জন্য ওই গোলটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গোলটা অন্য কারো মাধ্যমেও হতে পারতো। আমাকে দিয়ে সেটা হয়েছে বলে আমি খুশি। ব্যবধান কম হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি এই ম্যাচে চার গোল দিতে পারতাম তবে নেপাল চাপে থাকতো। ওরা ভারতকে এড়ানোর জন্য ডু আর ডাই খেলতো। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেই আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম। এখন আমাদের জেতার জন্যই খেলতে হবে।
শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে আফগানিস্তানের জালে ছয় গোল দেয়ার পর ভারতের সঙ্গে ড্র করে সেমিফাইনালে নেপালকে এড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতকে এড়ানোর লক্ষ্য ছিল সাবিনা-কৃষ্ণাদের। তার জন্যই ভুটানকে তিন গোলের অধিক দেয়ার টার্গেট বাংলাদেশের। ম্যাচে ভালো খেলেও সেটা করতে না পারার কারণ হিসেবে দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরম এবং মাঠ শক্ত হওয়ার কারণে মেয়েদের বল রিসিভ করতে সমস্যা হচ্ছিল, তাই ফাইনাল ফিনিশিংটা করতে পারছিল না। আমার একটাই মেসেস ছিল, যেমন খেলছো তেমনটা খেলে যাও। গোল আসবেই। হয়েছেও তাই। তারমতে আমাদের জয়লাভ করার দরকার ছিল এবং আমরা জয়ে লাভ করেছি। সেমিফাইনালে উঠেছি। ম্যাচে কৃষ্ণা মিস করেছেন জানিয়ে ছোটন বলেন, কৃষ্ণা অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমার মনে হয় এ ম্যাচে কৃষ্ণা থাকলে আরো ভালো হতো। কৃষ্ণা অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলে নিয়মিত। আশা করি পরের ম্যাচে ওকে আমরা পাবো। ম্যাচ নিয়ে দলের সহ-অধিনায়ক মৌসুমী বলেন, দেশ থেকে আসার সময় আমরা সেমিফাইনাল লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, সেটা পূরণের জন্য আজকের জয়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিতেই আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছেছি। আমরা খুশি। প্রত্যেকে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেয়ায় এবং কঠোর পরিশ্রম করে জেতায় আমি খুশি। জয়ে খুশি হলেও ব্যবধান বাড়াতে না পারার আক্ষেপ কাজ করছে তার মনে। ‘আসলে ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। সুযোগও তৈরি করেছিলাম। কিন্তু মাঠ শক্ত থাকায় বলে অনেক বাউন্স ছিল। যে কারণে শুটিং রিসিভিং সবকিছুতে আমাদের সমস্যা হয়েছে। এ কারণে গোলও কম হয়েছে। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে অনেক গোল করলেও জাতীয় দলের হয়ে কালই প্রথম গোল করেন মৌসুমী। গোলের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, আসলে দলের জন্য প্রথম গোল করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। দলের জন্য ওই গোলটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গোলটা অন্য কারো মাধ্যমেও হতে পারতো। আমাকে দিয়ে সেটা হয়েছে বলে আমি খুশি। ব্যবধান কম হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি এই ম্যাচে চার গোল দিতে পারতাম তবে নেপাল চাপে থাকতো। ওরা ভারতকে এড়ানোর জন্য ডু আর ডাই খেলতো। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেই আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম। এখন আমাদের জেতার জন্যই খেলতে হবে।