প্রথম পাতা
গ্রেপ্তার দুই ‘বাংলাদেশি’ নারীকে ফেরত পাঠাতে চায় আফগানিস্তান
মিজানুর রহমান
১৪ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
আফগানিস্তানে মিলিটারি অপারেশনে ধরা পড়া দুই ‘বাংলাদেশি’ নারীকে ফেরত পাঠাতে চায় কাবুল। তাদের গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে আফগান সরকার। ঢাকাস্থ দেশটির দূতাবাসও এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, তানিয়া ফারহানা এমা (৩০) এবং কাওসার সুলতানা কলি (৩৯) নামের দুই ‘বাংলাদেশি’ নারী পৃথক অপারেশনে আফগান সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন। তারা এখন কাবুলের মিলিটারি কাস্টডিতে রয়েছে। ঢাকাকে পাঠানো চিঠিতে কাবুল জানিয়েছে, তাদের প্রাপ্ত তথ্য মতে, নারী দু’জন উগ্রপন্থির সঙ্গে সংসার করতেন। তারা স্বামীর সঙ্গেই আফগানিস্তানে পাড়ি জমান।
পরে একজনের স্বামী নিহত এবং অপর জনের স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর তারা আফগান সেনাদের হাতে ধরা পড়ে। ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ আফগান সরকার এখন তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তবে ওই দুই নারী ‘জঙ্গী’ কি-না? এবং তারা কোন পথে আফগানিস্তানে ঢুকেছে সে সম্পর্কে ঢাকাকে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি কাবুল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এ নিয়ে ঢাকা-কাবুল চিঠি চালাচালির বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দিতে রাজী হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত নভেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত মাসে সেগুনবাগিচায় সিনিয়র অফিসিয়াল মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট এখনও আসেনি। এটি হাতে পেলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার পর এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত কিছু তথ্য ঢাকাকে শেয়ার করেছে কাবুল। তাদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- তানিয়া ফারহানা এমার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায়। বাংলাদেশে থাকাকালে সাইফুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। মূলত তার হাত ধরেই সে আফগানিস্তান যায়। তালেবানদের বিরুদ্ধে আফগান সরকারের কোনো এক অপারেশনে সাইফুল নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে শফিক নামের আরেকজনকে বিয়ে করে এমা। তবে শফিক কোন দেশের নাগরিক তা নিশ্চিত করেনি কাবুল।
তারা জানায়- ২০১৮ সালের আগস্টে আফগাস্তিানের হেলমান্দ প্রদেশের বারমেচা এলাকায় এক মিলিটারি অপারেশনে এমা আটক হয়। অন্যদিকে, কাওসার সুলতানা কলির বাড়ি ঢাকার পশ্চিম ভাষানটেকে। বাংলাদেশে থাকাকালে মতিউর রহমান নামের একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার স্বামীর বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ না করে কাবুলের চিঠিতে বলা হয়- ২০১৭ সালে কান্দাহারে আফগান সেনাবাহিনীর এক অপারেশনে কলি ধরা পরে। প্রায় দু’বছর ধরে সে কাস্টডিতে রয়েছে। বর্তমানে থানিকটা অসুস্থ। কলি চার সন্তানের জননী। তার সন্তানরা তার সঙ্গে আছে কি-না? সেটি নিশ্চিত করেনি কাবুল। আফগানিস্তানের সরবরাহ করা তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার এক কর্মকর্তা বলেন, ওই তথ্য ধরেই তাদের বিষয়ে পরবর্তী খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক আইএস গার্ল শামীমার বিষয়ে জানাজানি হওয়ার আগে থেকেই এমা ও কলির কেস দু’টি নিয়ে কাজ চলছে। ওই দুই নারীর দেশে বা বিদেশে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার রেকর্ড ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরে একজনের স্বামী নিহত এবং অপর জনের স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর তারা আফগান সেনাদের হাতে ধরা পড়ে। ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ আফগান সরকার এখন তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তবে ওই দুই নারী ‘জঙ্গী’ কি-না? এবং তারা কোন পথে আফগানিস্তানে ঢুকেছে সে সম্পর্কে ঢাকাকে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি কাবুল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এ নিয়ে ঢাকা-কাবুল চিঠি চালাচালির বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দিতে রাজী হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত নভেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত মাসে সেগুনবাগিচায় সিনিয়র অফিসিয়াল মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট এখনও আসেনি। এটি হাতে পেলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার পর এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত কিছু তথ্য ঢাকাকে শেয়ার করেছে কাবুল। তাদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- তানিয়া ফারহানা এমার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায়। বাংলাদেশে থাকাকালে সাইফুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। মূলত তার হাত ধরেই সে আফগানিস্তান যায়। তালেবানদের বিরুদ্ধে আফগান সরকারের কোনো এক অপারেশনে সাইফুল নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে শফিক নামের আরেকজনকে বিয়ে করে এমা। তবে শফিক কোন দেশের নাগরিক তা নিশ্চিত করেনি কাবুল।
তারা জানায়- ২০১৮ সালের আগস্টে আফগাস্তিানের হেলমান্দ প্রদেশের বারমেচা এলাকায় এক মিলিটারি অপারেশনে এমা আটক হয়। অন্যদিকে, কাওসার সুলতানা কলির বাড়ি ঢাকার পশ্চিম ভাষানটেকে। বাংলাদেশে থাকাকালে মতিউর রহমান নামের একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার স্বামীর বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ না করে কাবুলের চিঠিতে বলা হয়- ২০১৭ সালে কান্দাহারে আফগান সেনাবাহিনীর এক অপারেশনে কলি ধরা পরে। প্রায় দু’বছর ধরে সে কাস্টডিতে রয়েছে। বর্তমানে থানিকটা অসুস্থ। কলি চার সন্তানের জননী। তার সন্তানরা তার সঙ্গে আছে কি-না? সেটি নিশ্চিত করেনি কাবুল। আফগানিস্তানের সরবরাহ করা তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার এক কর্মকর্তা বলেন, ওই তথ্য ধরেই তাদের বিষয়ে পরবর্তী খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক আইএস গার্ল শামীমার বিষয়ে জানাজানি হওয়ার আগে থেকেই এমা ও কলির কেস দু’টি নিয়ে কাজ চলছে। ওই দুই নারীর দেশে বা বিদেশে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার রেকর্ড ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।