ভারত
ভারতে আলোচনায় জেনেভা কনভেনশন
কলকাতা প্রতিনিধি
২ মার্চ ২০১৯, শনিবার, ৩:২২ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের মাটিতে ধৃত ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দেবার ইস্যুতে আলোচনায় উঠে এসেছে জেনেভা কনভেনশনের বিষয়টি। সোস্যাল মিডিয়াতেও জোর আলোচনা চলছে জেনেভা কনভেনশন বা জেনেভা সম্মেলন নিয়ে। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপ এবং জেনেভা কনভেশনের শর্ত মেনেই অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে পররাষ্ট্রমন্ত্রকও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাকিস্তানের হেফাজতে থাকাকালীন সম্মানের সঙ্গে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে কি ধরণের ব্যবহার করা হবে সেটাই বলা রয়েছে জেনেভা কনভেনশনে। আসলে এটি মূলত যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।
যুদ্ধবন্দিদের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক মানদন্ড নির্ধারণ করেছে জেনেভা সম্মেলন। শুধু যুদ্ধবন্দিদের অধিকার সুনিশ্চিত করাই নয়, যুদ্ধ-উপদ্রুত এলাকার বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষার সংস্থানও রয়েছে চুক্তিটিতে। উল্লেখ্য, জেনেভায় ১৮৬৪ সাল থেকে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত চারটি সম্মেলনে মোট চারটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। কিন্তু জেনেভা সম্মেলন বলতে মূলত বোঝানো হয়, ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে হওয়ার সময়কার চুক্তিটিকে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১৯৪টি দেশ এই চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে আফগানিস্তান যুদ্ধ, ইরাক আগ্রাসনের ক্ষেত্রেও জেনেভা চুক্তি মেনে চলা হয়েছে। জেনেভা সম্মেলনের প্রটোকলে যুদ্ধে শ্বাসরোধকারী, বিষাক্ত, জীবাণু ও অন্যান্য গ্যাসের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের ধারাও রয়েছে। ১৮৬২ সালে তার যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা থেকে যুদ্ধের সময় একটি স্থায়ী ত্রাণ সংস্থা ও একটি সরকারি নিরপেক্ষ চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন সমাজসেবী হেনরি ডুনান্ট। যার ফলশ্রুতিতে জন্ম নিয়েছিল রেডক্রস এবং আয়োজন করা হয়েছিল জেনেভা সম্মেলনের।
এজন্য প্রথম নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ডুনান্ট। ১৮৬৪ সালে হওয়া প্রথম জেনেভা সম্মেলন আহত ও অশক্ত সেনাদের জাতি-বর্ণ-ধর্ম-লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবিক আচরণ ও চিকিৎসা পাওয়া নিশ্চিত করে। তাদের উপর নির্যাতন, বিচার ছাড়া মৃত্যুদন্ডকেও নিষিদ্ধ করে। ১৯০৬ সালে দ্বিতীয় জেনেভা চুক্তি রণতরীর আহত-অসুস্থ সেনাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। ১৯২৯ সালে তৃতীয় চুক্তিতে বলা হয়, যুদ্ধবন্দিরা শুধু তাদের নাম, পদ ও পরিচয় জানাতে বাধ্য থাকবে। তথ্য জানার জন্য তাদের উপর কোনও নির্যাতন করা যাবে না। এটা মাথায় রেখেই উইং কমান্ডার অভিনন্দন ধরা পড়ার পর পাক সেনার মেজরকে শুধু তার নাম, পদ ও পরিচয় জানিয়েছিলেন। অন্য কিছু বলতে অস্বীকার করেছিলেন। জেনেভা সম্মেলন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক যুদ্ধের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই চুক্তি প্রযোজ্য। তবে সেক্ষেত্রে অন্তত একটি দেশকে আগেই এই চুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে সম্মতি দিতে হবে। এই চুক্তি লঙ্ঘন করলে প্রতিপক্ষ দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে। যেমনটা হয়েছে পাকিস্তনে বন্দি ভারতীয় কুলভূষণ যাদবের ক্ষেত্রে।
অবশ্য বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, বহু দেশই রাজনৈতিক চাপের কারণে জেনেভা সম্মেলনের ধারাগুলি প্রয়োগ করেনি। পাকিস্তানও তার ব্যতিক্রম নয়। কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার অজয় আহুজাকে বন্দি অবস্থায় খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সাধারণত, যুদ্ধের ক্ষেত্রেই জেনেভা চুক্তি মানা হয়। এক্ষেত্রে ভারত বা পাকিস্তান কেউই যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। কিন্তু অভিনন্দন একজন বিমান সেনা এবং তিনি ধরা পড়েছেন পাক সেনার হাতে। তাই এক্ষেত্রে জেনেভা সম্মেলনের ধারা মেনেই চলতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
যুদ্ধবন্দিদের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক মানদন্ড নির্ধারণ করেছে জেনেভা সম্মেলন। শুধু যুদ্ধবন্দিদের অধিকার সুনিশ্চিত করাই নয়, যুদ্ধ-উপদ্রুত এলাকার বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষার সংস্থানও রয়েছে চুক্তিটিতে। উল্লেখ্য, জেনেভায় ১৮৬৪ সাল থেকে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত চারটি সম্মেলনে মোট চারটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। কিন্তু জেনেভা সম্মেলন বলতে মূলত বোঝানো হয়, ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে হওয়ার সময়কার চুক্তিটিকে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১৯৪টি দেশ এই চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে আফগানিস্তান যুদ্ধ, ইরাক আগ্রাসনের ক্ষেত্রেও জেনেভা চুক্তি মেনে চলা হয়েছে। জেনেভা সম্মেলনের প্রটোকলে যুদ্ধে শ্বাসরোধকারী, বিষাক্ত, জীবাণু ও অন্যান্য গ্যাসের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের ধারাও রয়েছে। ১৮৬২ সালে তার যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা থেকে যুদ্ধের সময় একটি স্থায়ী ত্রাণ সংস্থা ও একটি সরকারি নিরপেক্ষ চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন সমাজসেবী হেনরি ডুনান্ট। যার ফলশ্রুতিতে জন্ম নিয়েছিল রেডক্রস এবং আয়োজন করা হয়েছিল জেনেভা সম্মেলনের।
এজন্য প্রথম নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ডুনান্ট। ১৮৬৪ সালে হওয়া প্রথম জেনেভা সম্মেলন আহত ও অশক্ত সেনাদের জাতি-বর্ণ-ধর্ম-লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবিক আচরণ ও চিকিৎসা পাওয়া নিশ্চিত করে। তাদের উপর নির্যাতন, বিচার ছাড়া মৃত্যুদন্ডকেও নিষিদ্ধ করে। ১৯০৬ সালে দ্বিতীয় জেনেভা চুক্তি রণতরীর আহত-অসুস্থ সেনাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। ১৯২৯ সালে তৃতীয় চুক্তিতে বলা হয়, যুদ্ধবন্দিরা শুধু তাদের নাম, পদ ও পরিচয় জানাতে বাধ্য থাকবে। তথ্য জানার জন্য তাদের উপর কোনও নির্যাতন করা যাবে না। এটা মাথায় রেখেই উইং কমান্ডার অভিনন্দন ধরা পড়ার পর পাক সেনার মেজরকে শুধু তার নাম, পদ ও পরিচয় জানিয়েছিলেন। অন্য কিছু বলতে অস্বীকার করেছিলেন। জেনেভা সম্মেলন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক যুদ্ধের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই চুক্তি প্রযোজ্য। তবে সেক্ষেত্রে অন্তত একটি দেশকে আগেই এই চুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে সম্মতি দিতে হবে। এই চুক্তি লঙ্ঘন করলে প্রতিপক্ষ দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে। যেমনটা হয়েছে পাকিস্তনে বন্দি ভারতীয় কুলভূষণ যাদবের ক্ষেত্রে।
অবশ্য বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, বহু দেশই রাজনৈতিক চাপের কারণে জেনেভা সম্মেলনের ধারাগুলি প্রয়োগ করেনি। পাকিস্তানও তার ব্যতিক্রম নয়। কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার অজয় আহুজাকে বন্দি অবস্থায় খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সাধারণত, যুদ্ধের ক্ষেত্রেই জেনেভা চুক্তি মানা হয়। এক্ষেত্রে ভারত বা পাকিস্তান কেউই যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। কিন্তু অভিনন্দন একজন বিমান সেনা এবং তিনি ধরা পড়েছেন পাক সেনার হাতে। তাই এক্ষেত্রে জেনেভা সম্মেলনের ধারা মেনেই চলতে হয়েছে পাকিস্তানকে।