রকমারি
এই রেস্তরাঁর মেনু চমকে দেবে
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ২:৫২ পূর্বাহ্ন
উলফগাট রেস্তরাঁ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্যাটারনস্টার বিচে একটা ১৩০ বছরের পুরনো কটেজের এই রেস্তরাঁ এখন আকর্ষণের কেন্দ্রে। গত সোমবারই প্যারিসের এক সংস্থা যাকে বিশ্বের সেরা রেস্তরাঁর খেতাব পেয়েছে। ফরাসি এই সংস্থা বহু বছর ধরেই এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
কী ভাবে বিশ্বের তাবড় নামী দামি রেস্তরাঁকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে মাত্র দু’বছরের এই উলফগাট রেস্তরাঁ?
২০১৬ সালে চালু হয়েছে বিচ রেস্তরাঁ। রেস্তরাঁর ঠিক সামনে উন্মুক্ত জলরাশি। রেস্তরাঁর মালিক সেফ কোবার ভ্যান দে।
ছোট থেকেই যে রান্নায় সেফ কোবাসের খুব আগ্রহ ছিল তা নয়। ৩০ বছর বয়সে রান্নায় প্রশিক্ষণ নেন তিনি। আর ৩৮ বছর বয়সে এই রেস্তরাঁ চালু করেন। উলফগাট রেস্তরাঁর অন্যতম প্রধান ইউএসপি রান্নার কাঁচামাল। রেস্তরাঁর চারপাশ থেকেই রান্নার এই রসদ জোগাড় করেন কোবার। যা অন্য রেস্তরাঁর থেকে অনেকটাই আলাদা করেছে উলফগাটকে।
কী খাবার পাওয়া যায় এই রেস্তরাঁয়? ৭ রকমের মেনু রয়েছে। সব মিলিয়ে যার দাম পড়ে ৬০ ডলারের মতো। একটা বড় মাপের রেস্তরাঁয় গেলে যার কয়েকগুণ আপনাকে মেটাতে হয়।
উলফগাটে মাত্র ২০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। খাবার অর্ডার দেওয়া থেকে খাওয়া শেষ করা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। রেস্তরাঁর কর্মীর সংখ্যাও একেবারেই হাতে গোনা।
কুকড লাভের (সামুদ্রিক হার্ব), অ্যাঞ্জেল ফিস উইথ বোকোম সাম্বাল, ওয়াইল্ড গার্লিক মশালা, লিম্পেটস, ঝিনুক এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক শাক-সবজি। মূলত এটাই উলফগাটের মেনু লিস্ট।
সেফ ভ্যান দে-র রেস্তরাঁয় বিশেষত্ব লুকিয়ে রয়েছে তাঁর রান্নার পদ্ধতিতেও। মশলা বিশেষ ব্যবহারই করেন না তিনি। যতটা সম্ভব রান্নার উপাদান নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা কম করেন। অর্থাৎ স্বাদ বাড়াতে মশলা বা বাজারজাত উপাদান ব্যবহার না করে রান্নার মূল উপাদানগুলোকে তাদের মতোই ছেড়ে দেন।
উপাদানগুলির কোনওটা কাঁচা, কোনওটা আধসেদ্ধও থাকে। এতে মূল উপাদানগুলোর স্বাদ পুরোমাত্রায় বজায় থাকে। রাসায়নিকের ব্যবহার না হওয়ায় উলফগাট রেস্তরাঁর প্রতিটা খাবার সুস্বাদু হওয়ার সঙ্গে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও বলে দাবি করেছেন কোবার।
সবচেয়ে ভাল রেস্তরাঁর পুরস্কার নিজের কর্মীদের উৎসর্গ করেছেন সেফ। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সেফ ভ্যান দে বলেছেন, “আমার সমস্ত কর্মচারী, যাঁরা সারাদিন ধরে এই সমস্ত হার্বস জোগাড় করে নিয়ে আনেন... এই পুরস্কার তাঁদের।”
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
কী ভাবে বিশ্বের তাবড় নামী দামি রেস্তরাঁকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে মাত্র দু’বছরের এই উলফগাট রেস্তরাঁ?
২০১৬ সালে চালু হয়েছে বিচ রেস্তরাঁ। রেস্তরাঁর ঠিক সামনে উন্মুক্ত জলরাশি। রেস্তরাঁর মালিক সেফ কোবার ভ্যান দে।
ছোট থেকেই যে রান্নায় সেফ কোবাসের খুব আগ্রহ ছিল তা নয়। ৩০ বছর বয়সে রান্নায় প্রশিক্ষণ নেন তিনি। আর ৩৮ বছর বয়সে এই রেস্তরাঁ চালু করেন। উলফগাট রেস্তরাঁর অন্যতম প্রধান ইউএসপি রান্নার কাঁচামাল। রেস্তরাঁর চারপাশ থেকেই রান্নার এই রসদ জোগাড় করেন কোবার। যা অন্য রেস্তরাঁর থেকে অনেকটাই আলাদা করেছে উলফগাটকে।
কী খাবার পাওয়া যায় এই রেস্তরাঁয়? ৭ রকমের মেনু রয়েছে। সব মিলিয়ে যার দাম পড়ে ৬০ ডলারের মতো। একটা বড় মাপের রেস্তরাঁয় গেলে যার কয়েকগুণ আপনাকে মেটাতে হয়।
উলফগাটে মাত্র ২০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। খাবার অর্ডার দেওয়া থেকে খাওয়া শেষ করা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। রেস্তরাঁর কর্মীর সংখ্যাও একেবারেই হাতে গোনা।
কুকড লাভের (সামুদ্রিক হার্ব), অ্যাঞ্জেল ফিস উইথ বোকোম সাম্বাল, ওয়াইল্ড গার্লিক মশালা, লিম্পেটস, ঝিনুক এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক শাক-সবজি। মূলত এটাই উলফগাটের মেনু লিস্ট।
সেফ ভ্যান দে-র রেস্তরাঁয় বিশেষত্ব লুকিয়ে রয়েছে তাঁর রান্নার পদ্ধতিতেও। মশলা বিশেষ ব্যবহারই করেন না তিনি। যতটা সম্ভব রান্নার উপাদান নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা কম করেন। অর্থাৎ স্বাদ বাড়াতে মশলা বা বাজারজাত উপাদান ব্যবহার না করে রান্নার মূল উপাদানগুলোকে তাদের মতোই ছেড়ে দেন।
উপাদানগুলির কোনওটা কাঁচা, কোনওটা আধসেদ্ধও থাকে। এতে মূল উপাদানগুলোর স্বাদ পুরোমাত্রায় বজায় থাকে। রাসায়নিকের ব্যবহার না হওয়ায় উলফগাট রেস্তরাঁর প্রতিটা খাবার সুস্বাদু হওয়ার সঙ্গে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও বলে দাবি করেছেন কোবার।
সবচেয়ে ভাল রেস্তরাঁর পুরস্কার নিজের কর্মীদের উৎসর্গ করেছেন সেফ। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সেফ ভ্যান দে বলেছেন, “আমার সমস্ত কর্মচারী, যাঁরা সারাদিন ধরে এই সমস্ত হার্বস জোগাড় করে নিয়ে আনেন... এই পুরস্কার তাঁদের।”
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা