দেশ বিদেশ
চকবাজার ট্র্যাজেডি
স্মরণসভায় আবেগঘন পরিবেশ
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
দু’হাত তুলে প্রার্থনারত সাধারণ মানুষ। সবার চোখে পানি। কান্নার রোল। চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে গতকাল আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে ছিল আবেগঘন পরিবেশ। চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদে এ মিলাদের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বাদ আসর অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে মোনাজাতের সময় মসজিদ ছাড়িয়ে আশেপাশের গলিতেও শোনা যায় কান্নার শব্দ। সৃষ্টি হয় এক আবেগপ্রবণ পরিবেশের। স্মরণসভায় নিহতদের স্বজন ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত হন। আসরের নামাজের আগেই মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ইমাম যখন মোনাজাত ধরেন তখন তা পার্শ্ববর্তী রাস্তাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। দোয়া মাহফিলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম অংশ নেন। দোয়া মাহফিলের পূর্বে মসজিদের ইমাম আগুনের ঘটনায় পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে আগুন লাগার পূর্বে তার কথোপকথনের বর্ণনা করে বলেন, এখানকার বাসিন্দা রানা ভাইয়ের সঙ্গে আমার বুধবার রাতেই কথা হয়। এ ছাড়া তিনি যখন ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখনই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
মিলাদ মাহফিল-পূর্ব বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরাতে এলাকার মুরব্বি এবং পঞ্চায়েতের সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। তাদের সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, আমরা সমস্ত ঘটনা দেখেছি এবং শুনেছি, ৭০ জন লোক নিহত হয়েছেন আমরা আহত এবং নিহতদের জন্য দোয়ার জন্য সমবেত হয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের পুরান ঢাকার সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এর শত বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। এটা গুলশান-বারিধারার মতো নয়। এখানে মানুষ বাস করে আবার মালপত্র রাখে। কে কি বললো তা আমাদের শোনার দরকার নেই। আমরা বসে নিজেরাই এর সমাধান করবো। পুরান ঢাকার ব্যবসা আরো প্রসার করবো। মানুষের জন্য যেভাবে সুন্দর হয় সে চেষ্টা আমি করবো। আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে নিজেরা সচেতন না হলে কোনো প্রশাসনই তা সমাধান করতে পারবে না। সরকার এবং আমাদের দায়িত্ব এটাকে সমাধান করা। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক যদি কেমিক্যাল সরানো না যায় তাহলে পুরান ঢাকায় সুস্থভাবে বাস করা যাবে না। এলাকার মুরব্বির এবং পঞ্চায়েত ভূমিকা না নিলে কোনোভাবেই সমাধান সম্ভব না। তাই পঞ্চায়েত কমিটি এবং এলাকার নাগরিকদের ভূমিকা রাখতে হবে। এ ছাড়া নিজের দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব এড়াতে পারি না। আমার কাছে অনেক চাপ আসে। আপনারা যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে আমি কাজ করতে পারি না। একটা নিরাপদ পুরাতন ঢাকার জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। যা হওয়ার হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
মিলাদ মাহফিল-পূর্ব বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরাতে এলাকার মুরব্বি এবং পঞ্চায়েতের সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। তাদের সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, আমরা সমস্ত ঘটনা দেখেছি এবং শুনেছি, ৭০ জন লোক নিহত হয়েছেন আমরা আহত এবং নিহতদের জন্য দোয়ার জন্য সমবেত হয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের পুরান ঢাকার সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এর শত বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। এটা গুলশান-বারিধারার মতো নয়। এখানে মানুষ বাস করে আবার মালপত্র রাখে। কে কি বললো তা আমাদের শোনার দরকার নেই। আমরা বসে নিজেরাই এর সমাধান করবো। পুরান ঢাকার ব্যবসা আরো প্রসার করবো। মানুষের জন্য যেভাবে সুন্দর হয় সে চেষ্টা আমি করবো। আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে নিজেরা সচেতন না হলে কোনো প্রশাসনই তা সমাধান করতে পারবে না। সরকার এবং আমাদের দায়িত্ব এটাকে সমাধান করা। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক যদি কেমিক্যাল সরানো না যায় তাহলে পুরান ঢাকায় সুস্থভাবে বাস করা যাবে না। এলাকার মুরব্বির এবং পঞ্চায়েত ভূমিকা না নিলে কোনোভাবেই সমাধান সম্ভব না। তাই পঞ্চায়েত কমিটি এবং এলাকার নাগরিকদের ভূমিকা রাখতে হবে। এ ছাড়া নিজের দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব এড়াতে পারি না। আমার কাছে অনেক চাপ আসে। আপনারা যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে আমি কাজ করতে পারি না। একটা নিরাপদ পুরাতন ঢাকার জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। যা হওয়ার হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে।