বাংলারজমিন

দুধকুমর নদী থেকে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে ব্রিজ-রাস্তা

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

 অবৈধভাবে দুধকুমর নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী। এতে হুমকির মুখে রয়েছে রাস্তা, ব্রিজ, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসা ও কয়েক শ বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা। এতে করে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারভিটা এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দুধকুমর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়রা জানায় দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকার নজরুল ইসলাম, হারুন মিয়া, রফিকুল ইসলামসহ একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক ড্রেজার বসিয়ে দুধকুমর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিজের পকেট ভারি করছে। এ ব্যাপারে এলাকার কোনো লোক বাধা দিলে তাকে মিথ্যে মামলাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয়রা আরো জানায় এর আগে ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট অকেজো হয়ে পড়ছে। তাই স্থানীয় সচেতন মহল কিছুদিন আগে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি গেঁড়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে, যাতে ট্রলি কিংবা ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তার ক্ষতি না হয়। তখন ওইসব অসাধু ব্যবসায়ী নাগেশ্বরী থানা পুলিশ দিয়ে তাদেরকে হুমকি প্রদান করে। সরজমিনে দেখা গেছে ট্রলি ও ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহনের কারণে রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এমনকি বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষা এলে ওই এলাকার হাজারও পথচারীর একমাত্র চলাচলের মাধ্যম রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে অতি প্রাচীন সুইজগেট ব্রিজ, নদী সংলগ্ন স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, হাটবাজার ও শত শত বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফুল মিয়া, আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় অনেকে অভিযোগ তুলে বলেন বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বালু উত্তোলনে বাধা দিলে তারা আমাদেরকে হুমকি প্রদান করেন। মিজানুর রহমান নামের আরেকজন বলেন আমার নিজের জমিতে রাস্তা করতে দিয়েছি। এখন মনে হয় রাস্তাটি থাকবে না। আমাদের বাড়িও নদী খেয়ে ফেলবে। বালু ব্যবসায়ী হারুন-উর রশিদ বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন এখানে লুকোচুরির কিছু নেই, আমরা প্রশাসনিক কোনো পার্মিশন পাইনি। এসব বালু তোলা অন্যায়। নজরুল ইসলাম বলেন, আসলে যারা বালু উত্তোলন করছেন তারা আমার ভাই, চাচা এরকম নিজেদের মধ্যে। কিন্তু আমি নিজে জড়িত নই। যদি কেউ আমার নাম বলে থাকেন তবে ভুল বলেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন আমি বিষয়টি অবগত আছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status