এক্সক্লুসিভ
দুই ভাই ও ভাতিজাকে খুঁজছেন জেরিন
স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
‘আমার ভাই কই গেল রে, ভাইরে কই পাবো রে। আমার ভাইরা মারা যায়নি, আমি কেমনে থাকবো রে’- এমন নানা বাক্য জড়িয়ে বিলাপ করছিলেন জেরিন আক্তার। ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে আমগাছের নিচে জেরিনের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে আসছিল। একটু পরপর তার কান্নার শব্দে চারপাশ নীরব হয়ে যায়। আবার মর্গের পোড়া লাশের গন্ধ যেন সবাইকে ছুঁয়ে যায়। মর্গের গেটে তখন লাশ শনাক্তকারী আত্মীয়-স্বজন ও নিরাপত্তাকর্মীদের ভিড়। চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ট্র্যাজেডিতে জেরিন হারিয়েছেন তার দুই ভাই মো. আলী (৩৫), মো. অপু (৩২) ও ভাতিজা আরাফাতকে (১০)।
জেরিন জানান, আগুনের পুড়ে যাওয়া ওয়াহিদ ম্যানশনের পাশেই ক্ষুদ্র কাপড়ের ব্যবসা করতেন তারা। বুধবার রাত তখন সাড়ে ১০টা। দোকান বন্ধ করে তারা বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে তাদের সন্ধান মিলছে না। রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট থাকায় তারা দৌড়ানোর সময় পাননি। ঘটনার কিছু আগে ভাতিজা বাসায় গেলেও আবার দোকানে ফিরে আসে। তার ভাই দোকান বন্ধ করার আগে বাসায় ফোন দিয়ে ফেরার কথা জানান। বাসা থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। জেরিন বলেন, এখন আমার থাকার আর কোনো জায়গা নেই। কী নিয়ে থাকবো। কার কাছে থাকবো। ভাইরা ছাড়া আমি কেমনে একলা থাকব। এই ভাইয়েরাই আমাকে মানুষ করেছে। জেরিনের একাধিক আত্মীয় লাশ শনাক্ত করতে মর্গে ছিলেন। তবে তিনজনের কারও লাশ শনাক্ত করতে পারেননি তারা।
জেরিন জানান, আগুনের পুড়ে যাওয়া ওয়াহিদ ম্যানশনের পাশেই ক্ষুদ্র কাপড়ের ব্যবসা করতেন তারা। বুধবার রাত তখন সাড়ে ১০টা। দোকান বন্ধ করে তারা বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে তাদের সন্ধান মিলছে না। রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট থাকায় তারা দৌড়ানোর সময় পাননি। ঘটনার কিছু আগে ভাতিজা বাসায় গেলেও আবার দোকানে ফিরে আসে। তার ভাই দোকান বন্ধ করার আগে বাসায় ফোন দিয়ে ফেরার কথা জানান। বাসা থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। জেরিন বলেন, এখন আমার থাকার আর কোনো জায়গা নেই। কী নিয়ে থাকবো। কার কাছে থাকবো। ভাইরা ছাড়া আমি কেমনে একলা থাকব। এই ভাইয়েরাই আমাকে মানুষ করেছে। জেরিনের একাধিক আত্মীয় লাশ শনাক্ত করতে মর্গে ছিলেন। তবে তিনজনের কারও লাশ শনাক্ত করতে পারেননি তারা।