বাংলারজমিন
কেরানীগঞ্জে ছাদ থেকে ফেলে কিশোরকে হত্যার অভিযোগ
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জে ছয়তলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে এক কিশোরকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. জিসান আহমেদ (১৪)। তার বাবার নাম মো. কালাম হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কবুতরপাড়া গ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতের খালু মো. বাবুল হোসেন জানান, জিসানকে তার দুই বন্ধু বুধবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার সময় ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১১টার সময় রশিদ বেপারি ও হাজী জুলহাস শেখের ৬তলা দুটি বাড়ির মাঝখানের একটি চিপা গলির ভেতর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় জিসান আহমেদকে উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ভর্তি না নিয়ে তাকে ফেরত দেয়। পরে জিসানকে বাসায় নিয়ে আসা হলে তার অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে রাত ১টার সময় আবার তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। ধারণা করা হচ্ছে রশিদ বেপারী ও হাজী জুলহাস শেখের এই দুই বাড়ির যেকোনো একটির ছাদ থেকেই জিসানকে তার বন্ধুরা ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে। তাকে যে বন্ধুরা ডেকে নিয়ে গেছে তাদের সঙ্গে পূর্বে জিসানের কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই ওবায়দুর রহমান জানান, খবর পেয়ে সকালে নিহতের বাড়ি থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতারের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত জিসান আহমেদ কালীগঞ্জ এলাকায় একটি গার্মেন্টেসের দোকানে কাজ করতো। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানা এলাকায়। তারা কবুতরপাড়া এলাকায় জলিল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের খালু মো. বাবুল হোসেন জানান, জিসানকে তার দুই বন্ধু বুধবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার সময় ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১১টার সময় রশিদ বেপারি ও হাজী জুলহাস শেখের ৬তলা দুটি বাড়ির মাঝখানের একটি চিপা গলির ভেতর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় জিসান আহমেদকে উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ভর্তি না নিয়ে তাকে ফেরত দেয়। পরে জিসানকে বাসায় নিয়ে আসা হলে তার অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে রাত ১টার সময় আবার তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। ধারণা করা হচ্ছে রশিদ বেপারী ও হাজী জুলহাস শেখের এই দুই বাড়ির যেকোনো একটির ছাদ থেকেই জিসানকে তার বন্ধুরা ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে। তাকে যে বন্ধুরা ডেকে নিয়ে গেছে তাদের সঙ্গে পূর্বে জিসানের কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই ওবায়দুর রহমান জানান, খবর পেয়ে সকালে নিহতের বাড়ি থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতারের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত জিসান আহমেদ কালীগঞ্জ এলাকায় একটি গার্মেন্টেসের দোকানে কাজ করতো। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানা এলাকায়। তারা কবুতরপাড়া এলাকায় জলিল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।