খেলা

৩-০তেই হারলো টাইগাররা

হতাশ হলেও বিশ্বাস হারায়নি মাশরাফি

স্পোর্টস রিপোর্টার

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

নেপিয়ার ও ক্রাইস্ট চার্চে দুই ম্যাচেই ৮ উইকেটের বড় হার। সিরিজ হারলেও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আশায় বুক বেঁধেছিলেন ডানেডিনে ঘুড়ে দাঁড়াবে দল। কিন্তু বাঁচাতে পারলেন না আরো একটি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। শেষ ম্যাচে ৩৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮৮ রানের হার। লক্ষ্য তাড়ায় ৬১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল দল। সেখান থেকে ক্যারিয়য়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মান রক্ষা করেছেন সাব্বির রহমান। তাকে সঙ্গ দিয়ে জুটি করেছেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনও। তবে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজের সমাপ্তি ঘটেছে ৩-০ তে হার নিয়েই। এমন ফলাফলের পর স্বাভাবিকভাবে ভীষণ হতাশ টাইগার অধিনায়ক। তবে বিশ্বাস হারাননি তিনি। আশা করেন টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে শুরু করে সব ভুল শুধরেই সামনে এগিয়ে যাবে দল। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপে ২০ থেকে ৩০ রানে তিন উইকেট গিয়েছে। এখানেও সেটা হয়েছে। আমাদের পজেটিভ থাকতে হবে। এখনো দুই মাস আছে পরের টুর্নামেন্টের। কারণ আয়ারল্যান্ডে অনেকটা একই রকম উইকেট হবে। গত বছর খেলেছি, তখন উইকেট অনেক সবুজ ছিল। সব সময় কন্ডিশন পক্ষে থাকে না। আমাদের অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে আমরা কীভাবে রান করব, বেশি উইকেট দিব না। কারণ ১০ ওভার পর ব্যাটিং করা অনেক সহজ হয়ে যায়। এটা আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে।’
তিন ম্যাচেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। গতকাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে দলীয় ২ রানে আউট দুই ওপেনার তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস ও ওয়ানডে ডাউনে নামা সৌম্য সরকার। আগের দুই ম্যাচেই ওপেনিংয়ে ছিল একই দৃশ্য। আর টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে ৭৫ রানে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯১ রানে একই সমান উইকেট হারায়। শেষ ম্যাচে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। সেই দুই ম্যাচে দলের হাল ধরেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন টানা দুই ফিফটি হাঁকিয়ে। কিন্তু এই ম্যাচে ইনজুরির কারণে মাঠেই নামতে পারেননি। কেন টপ অর্ডারে এই ব্যর্থতা তা নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথম দুইটা ম্যাচে আমিই শুধু না, পুরো দল পজেটিভ ছিল। আমরা মনে হয় ভিন্ন কিছু করতে গিয়েছি। এই উইকেটে সুইং বা বাউন্স থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মৌলিক ধারণা থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেটা আমরা করতে পারিনি। হয়তো বা দুটি ম্যাচে যা হয়েছে আজকেও তাই হয়েছে। কাল হয়তো এটা চিন্তা করিনি। কারণ সব দিনই তো ইতিবাচক থাকতে হবে। এশিয়া কাপে যেমন ফিল করেছি এখানেও হয়তো সেটা ফিল করছি।’
টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও দারুণ খেলেছে মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার। শেষ ম্যাচে মিঠুন দলে না থাকলেও সাব্বির রুখে দাঁড়িয়েছেন। ১২ চার দুই ছক্কায় ১০২ রান করেছেন ১১০ বলে। এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৩ রানের আরেকটি ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির। সেই সঙ্গে  লেজের দিকে পেস অলরাউন্ডার সাউফউদ্দিন প্রথম ম্যাচে করেছেন ৪১, দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ ও  শেষ ম্যাচে করেছেন ৪৪ রান। বিশেষ করে গতকাল সাব্বিরের সঙ্গে তার ১০১ রানের জুুটিতে ভর করেই কিছুটা হলেও লজ্জা এড়ায় দল। নয়তো আরো বড় ব্যবধানেই হারতে পারতো  শেষ ওয়ানডে। যে কারণে অধিনায়ক ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি তাদের। কারণ, এই সিরিজের প্রাপ্তি তিনি এখানেই খুঁজে পেয়েছেন। মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের লোয়ার মিডল অর্ডারে আমরা কিছু রান পেয়েছি। মিঠুন দুটা ম্যাচে রান পেয়েছে। সাব্বির আজ সেঞ্চুরি করেছে। আগের ম্যাচে ৪৩-এর মতন রান করেছে। সাইফুদ্দিন রান করেছে, আজ ভালো বোলিং করেছে। সুতরাং ইতিবাচক যা আছে সেটা একটু পেছনের দিকে।’ তবে মিডল অর্ডারের ওপর ভরসা ও বিশ্বাস বাড়লেও তার আতঙ্ক এখনো টপ অর্ডার নিয়েই। কারণ ম্যাচ জিততে হলে ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরা জরুরি। তিনি বলেন, ‘এটা দলের জন্য অনেক সুবিধা যে মিডল অর্ডার রান পাচ্ছে। কিন্তু অবশ্যই ম্যাচ জিততে হলে টপ অর্ডার থেকে কিছু করতে হবে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status