খেলা

ইউরোপে গোলশূন্য এক রাত

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন


ম্যাচের আগে লিওনেল মেসিকে খোঁচা দিয়ে অলিম্পিক লিঁও সভাপতি জ্যাঁ মিশেল অলাস বলেছিলেন, ‘মেসিকে আমাদের বিপক্ষে কখনোই অপ্রতিরোধ্য মনে হয়নি। সে তুলনায় যতদূর মনে পড়ে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই লিঁওর বিপক্ষে বেশ ভালো খেলেছে।’ আর মাঠের খেলায় অলাসের কথারই প্রতিফলন দেখা গেছে। বুধবার ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলো রাউন্ডের প্রথম লেগে লিঁওর মাঠে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন নি বার্সেলোনা অধিনায়ক মেসি। আর ফ্রান্স থেকে গোলশূন্য ড্রয়ের হতাশা নিয়ে ফেরে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বুধবার রাতটা যেন গোলশূন্য ড্রয়ের প্রদর্শনী নিয়ে বসে। অ্যানফিল্ডে গতবারের রানার্সআপ লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচটিও গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়। আগামী ১৩ই মার্চ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ন্যু ক্যাম্পে লিঁওকে আতিথ্য দেবে বার্সেলোনা। আর একই সময়ে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের মাঠে দ্বিতীয় লেগের অগ্নিপরীক্ষায় নামবে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দীর্ঘ ১৮ বছর পর মুখোমুখি হয় লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ। আর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অ্যানফিল্ডে টানা তিন সফরেই গোলশূন্য ড্র দেখলো বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে অতীতে ৩১টি দল নিজ মাঠে নকআউট পর্বের প্রথম লেগে গোলশূন্য ড্র করে। কিন্তু ১০টি দল পরবর্তী রাউন্ডে যেতে সক্ষম হয়। এবার লিভারপুলের সামনে সেই চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। লিভারপুল ও বায়ার্ন দু’দলই পাঁচবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। সবশেষ লড়াইয়ে ২০০১ ইউয়েফা সুপার কাপে বায়ার্নকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল অল রেডরা। লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের কাছে চেনা প্রতিপক্ষ বায়ার্ন। বুধবারের ম্যাচে সাবেক শিষ্য রবার্ট লেভানদোস্কির মুখোমুখি হন তিনি। বায়ার্নে যোগ দেয়ার আগে ক্লপের অধীনে ডর্টমুন্ডে চার মৌসুম (২০১০-১৪) খেলেছিলেন পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানদোস্কি। আর ডর্টমুন্ডে ৭ মৌসুম কাটিয়ে ২০১৫ সালে লিভারপুলের কোচ হন ক্লপ। অ্যানফিল্ডে প্রথমবার নেমে নিষ্প্রভ থাকেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৮) লেভানদোস্কি। আর ম্যাচে বায়ার্নের ৯টি শটের সবই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ম্যাচে বায়ার্নের শেষবার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল ২০১৫ সালে বার্সেলোনার মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। লিভারপুলের সঙ্গে ড্র করে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে টানা ৯টি অ্যাওয়ে ম্যাচে অজেয় (৬ জয়, ৩ ড্র) থাকলো বায়ার্ন। একই সঙ্গে বার্সেলোনা ও লিঁওর সঙ্গে আসরে অপরাজিত থাকে বাভারিয়ানরা (৭ ম্যাচে ৪ জয়, ৩ ড্র)। বল দখলে সমানতালে পাল্লা দিলেও স্বাগতিক লিভারপুলের আক্রমণও ছিল ছন্নছাড়া। সালাহ-মানে-ফিরমিনোদের ১৫টি শটের মাত্র ২টি ছিল অনটার্গেটে। ম্যাচ সেরা হন বায়ার্ন সেন্টারব্যাক ম্যাট হ্যামেলস। কোচিং ক্যারিয়ারে বায়ার্নের বিপক্ষে এটি ছিল ক্লপের ৩০তম ম্যাচ (৯ জয়, ৫ ড্র, ১৬ হার)। আর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজ মাঠে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত রইলো লিভারপুল। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে অল রেডদের। রোববার প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ক্লপের লিভারপুল। আর চতুর্থ স্থানে থাকা ম্যানইউর সামনে টটেনহ্যামের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর চ্যালেঞ্জ। ২৬ ম্যাচে দু’দলের পয়েন্ট যথাক্রমে ৬০, ৫১। লিভারপুলের সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে অবস্থান করছে এক ম্যাচ বেশি খেলা ম্যানচেস্টার সিটি (২৭ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট)।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status