দেশ বিদেশ
জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার দাবি যুক্তিসংগত: নজরুল
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
১৯৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার দাবি যুক্তিসংগত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ১৯৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে জামায়াতের ভেতর থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই দাবি তো সবার। জামায়াত স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। এজন্য তাদের দুঃখ, লজ্জা পাওয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। এ দাবি যুক্তিসংগত। জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা যেমন যুক্তিসংগত দাবি, তেমনি আরো যুক্তিসংগত দাবি আছে। স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছে, অবশ্যই তাদের শান্তি ও বিচার চাই। কিন্তু যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তারাও আজ পর্যন্ত জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি। কিন্তু এ দেশে সেই রীতির প্রচলন নেই। সুতরাং আমরা মনে করি, যারা অপরাধ করেছে, তাদের সবারই ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
জামায়াত বিলুপ্ত করে আলাদা দল গঠন করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য করার সুযোগ নেই। জামায়াত ২০-দলীয় জোটে আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানা মতে ২০-দলীয় জোটে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। জামায়াতের পক্ষ থেকে আমাদের কখনো বলা হয়নি, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটের সঙ্গে থাকবে না। তবে জামায়াত একটি আলাদা রাজনৈতিক দল। সেই দলের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ, অধিকার ও ক্ষমতা আছে। কিন্তু আমাদের জানা মতে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত জামায়াত নিয়েছে বলে শুনিনি। বিএনপি নেতাদের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে দলের অন্যতম এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমরা বলেছি- আমাদের দলে কোনোভাবে আছেন এমন কেউ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা দলীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমাদের এই সিইসি যা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাতে ‘ছি ছি’ করে। কাজেই এই সিইসির যে বক্তব্য, তার ওপর কোনো আস্থা দেশের মানুষের আছে বলে আমার মনে হয় না। আর যারা সুবিধা পায় তারাও তাকে অপছন্দ করে কারণ লোকটা ভালো না।
ভালো না এই সেন্সে যে দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তারপরেও তারা (সরকার) খুশি যে, তার আচরণ তাদের পক্ষে যায়। এ সময় তাঁতি দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মজিবুর রহমান, আবদুল মতিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক গোলাপ মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক জেএম আনিসসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা বিশেষ মোনাজাতেও অংশ নেন। এদিকে নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকালে জিয়াউর রহমানের মাজারে গেলে প্রথমে তাদের অনুমতি না থাকার কথা জানিয়ে বেরিয়ে যেতে বলে পুলিশ। ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর বিএনপি নেতারা মহানগর পুলিশকে দেয়া চিঠির অনুলিপি দেখালে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়।
জামায়াত বিলুপ্ত করে আলাদা দল গঠন করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য করার সুযোগ নেই। জামায়াত ২০-দলীয় জোটে আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানা মতে ২০-দলীয় জোটে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। জামায়াতের পক্ষ থেকে আমাদের কখনো বলা হয়নি, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটের সঙ্গে থাকবে না। তবে জামায়াত একটি আলাদা রাজনৈতিক দল। সেই দলের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ, অধিকার ও ক্ষমতা আছে। কিন্তু আমাদের জানা মতে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত জামায়াত নিয়েছে বলে শুনিনি। বিএনপি নেতাদের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে দলের অন্যতম এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমরা বলেছি- আমাদের দলে কোনোভাবে আছেন এমন কেউ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা দলীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমাদের এই সিইসি যা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাতে ‘ছি ছি’ করে। কাজেই এই সিইসির যে বক্তব্য, তার ওপর কোনো আস্থা দেশের মানুষের আছে বলে আমার মনে হয় না। আর যারা সুবিধা পায় তারাও তাকে অপছন্দ করে কারণ লোকটা ভালো না।
ভালো না এই সেন্সে যে দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তারপরেও তারা (সরকার) খুশি যে, তার আচরণ তাদের পক্ষে যায়। এ সময় তাঁতি দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মজিবুর রহমান, আবদুল মতিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক গোলাপ মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক জেএম আনিসসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা বিশেষ মোনাজাতেও অংশ নেন। এদিকে নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকালে জিয়াউর রহমানের মাজারে গেলে প্রথমে তাদের অনুমতি না থাকার কথা জানিয়ে বেরিয়ে যেতে বলে পুলিশ। ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর বিএনপি নেতারা মহানগর পুলিশকে দেয়া চিঠির অনুলিপি দেখালে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়।