দেশ বিদেশ
পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করার নামে অর্থ নিতো ওরা
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
রাজধানী ফকিরাপুল এলাকা থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ ফাহিম, শামীম আহমেদ, সোহেল রানা ও নবীন আলী। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করে দেয়ার নামে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাতেন বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষাসহ যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারক চক্র সক্রিয় থাকে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঢাকায় মিলিত হবে। এরকম তথ্য জানার পর মতিঝিল থানার ফকিরাপুল জোনাকি সিনেমা হলের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রটি এসএসসি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা, মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার কথা স্বীকার করেছে। পড়ালেখা নিয়ে বিভিন্ন টিপস ও উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পেজের অনুসারীদের আস্থা অর্জন করত। এক সময় তারা পরীক্ষার ফল পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। তারা ইউটিউব, ম্যাসেজ্ঞার, ভাইভারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খোলে তাদের প্রচারণা চালাতো।
এদিকে ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ফাহিম এর ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে ২০১৮ সালে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই সময় চট্টগ্রামের চকবাজার থানার এক মামলায় সে কারাগারে যায়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে ফের একই কাজে জড়িয়ে পড়ে। শামীম আহম্মেদ নামের আরেক আসামি বলে, ২০১৮ সাল থেকে সে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সে হাতিয়ে নিয়েছে। তার গ্রুপে তিন শতাধিক সদস্য আছে বলে সে জানায়। সে আরো জানায়, তার সঙ্গে গ্রেপ্তার নবীন আলী তার চাচাতো ভাই। তারা এক সঙ্গে কাজ করত। গ্রুপের সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দেয়াই কাজ ছিল তার। পরে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো।
সংবাদ সম্মেলনে বাতেন বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষাসহ যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারক চক্র সক্রিয় থাকে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঢাকায় মিলিত হবে। এরকম তথ্য জানার পর মতিঝিল থানার ফকিরাপুল জোনাকি সিনেমা হলের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রটি এসএসসি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা, মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার কথা স্বীকার করেছে। পড়ালেখা নিয়ে বিভিন্ন টিপস ও উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পেজের অনুসারীদের আস্থা অর্জন করত। এক সময় তারা পরীক্ষার ফল পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। তারা ইউটিউব, ম্যাসেজ্ঞার, ভাইভারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খোলে তাদের প্রচারণা চালাতো।
এদিকে ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ফাহিম এর ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে ২০১৮ সালে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই সময় চট্টগ্রামের চকবাজার থানার এক মামলায় সে কারাগারে যায়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে ফের একই কাজে জড়িয়ে পড়ে। শামীম আহম্মেদ নামের আরেক আসামি বলে, ২০১৮ সাল থেকে সে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সে হাতিয়ে নিয়েছে। তার গ্রুপে তিন শতাধিক সদস্য আছে বলে সে জানায়। সে আরো জানায়, তার সঙ্গে গ্রেপ্তার নবীন আলী তার চাচাতো ভাই। তারা এক সঙ্গে কাজ করত। গ্রুপের সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দেয়াই কাজ ছিল তার। পরে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো।