খেলা

দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ড্র মুক্তিযোদ্ধার

স্পোর্টস রিপোর্টার

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন

২-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো না মুক্তিযোদ্ধা। জাপানী মিডফিল্ডার ইউসুকু কাতোর ভুলে গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে তারা। এই ড্র’য়ে ছয় ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরেই থাকলো মুক্তিযোদ্ধা। সাত ম্যাচে চার পয়েন্ট পেয়ে একাদশ থেকে নবম স্থানে উঠে এলো রহমতগঞ্জ।
ম্যাচের নায়ক হতে পারতেন ইউসুকু কাতো। কারণ এগিয়ে থাকা দু’টো গোলেই ছিল তার অবদান। কাতোর বাড়িয়ে দেয়া বলে আইভরিকোস্টের ফরোয়ার্ড বাল্লো ফেমাসো দু’টি গোল করেন। ম্যাচ জিতলে হয়তো নায়ক হতে পারতেন। অথচ সেই কাতোকেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হলো। আর পূর্ণ তিন পয়েন্ট হারাতে হলো মুক্তিযোদ্ধাকে। তাই মুহূর্তেই নায়ক থেকে খলনায়কে পরিণত হলেন এই জাপানীজ ফুটবলার। অন্যদিকে সাত গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এলেন বাল্লো ফেমাসো। তার পরেই পাঁচ গোল নিয়ে রয়েছেন ঢাকা আবাহনীর নাবীব নেওয়াজ জীবন। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা। তবে দুর্ভাগ্যকে সঙ্গী করেই যেন মাঠে নেমেছিল তারা। নইলে ম্যাচের আট মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন বাল্লো ফেমাসো। তবে সেই ব্যর্থতা তিনি পুষিয়ে দেন পরে দু’গোল করে। ১৪ মিনিটে এগিয়েও যান আবদুল কাইয়ুম সেন্টুর শিষ্যরা। ইউসুকু কাতোর বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে থ্রু পাস দেন সৈয়দ রাকিব খান। বক্সে ঢুকে জটলার মধ্য থেকে ডান পায়ের জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন বাল্লো ফেমাসো (১-০)। মিনিট ছয়েক পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেই বাল্লো। বক্সের বাইরে থেকে কাতো উচু করে বল পাঠান বাল্লোর উদ্দেশ্যে। বল বুঝে নিয়ে এবারো আগের মতোই জোড়ালো শটে গোলকিপার আরিফুল ইসলামকে পরাস্ত করেন বাল্লো (২-০)। কিন্তু গোল পাবার কিছুক্ষণ পরই অঘটনের শিকার হয় মুক্তিযোদ্ধা। যেই ইউসুকু কাতো দু’গোলে অবদান রেখেছিলেন, তিনিই অফ দ্যা বলে রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার রকিবুল ইসলামের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তখন ম্যাচ চলছিল মাঠের অন্য প্রান্তে। তাই বিষয়টি দৃষ্টি এড়িয়ে যায় রেফারি সুজিত ব্যানার্জির। পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে তিনি রকিবুলকে হলুদ কার্ড এবং কাতোকে লাল কার্ড দেখান। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মুক্তিযোদ্ধা। এই সুযোগটিই নেয় পুরনো ঢাকার ক্লাবটি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পাওয়ার পণ করেই যেন মাঠে নামে সৈয়দ গোলাম জিলানীর শিষ্যরা। ৫২ মিনিটে মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদের কর্নার পাঞ্চ করে বল সরিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধার গোলকিপার আরিফ। বক্সের মাথায় বল পেয়ে যান সোহেল রানা। দারুণ শটে গোল করে ব্যবধান কমান এই ফরোয়ার্ড (২-১)। এর ঠিক মিনিট দুয়েক পর ম্যাচে সমতা আনে রহমতগঞ্জ। ৫৪ মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে সোহেল রানার শট বাঁ পোস্টে লেগে ফেরত আসার পর শুয়ে পড়ে হেড করেন চুমরিন রাখাইন। ওই মুহূর্তে মুক্তিযোদ্ধা ডিফেন্ডার রিমন গোল লাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করলেও বল তার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায় (২-২)। তবে রেফারি সুজিত ব্যানার্জী গোলটি চুমরিনকেই দেন। ফলে ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দল দু’টি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status