দেশ বিদেশ
তোষামোদি নীতি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান হবে না- সাইফুল হক
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
ইলিশ মাছ আর জামদানি শাড়ি উপহারের কূটনীতি দিয়ে তিস্তার পানিও পাওয়া যাবে না, সীমান্ত হত্যাও বন্ধ হবে না। তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমতা, ন্যায্যতা ও আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাদি সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা বলেন। সাইফুল হক বলেন, ভারতের প্রতি সরকারের তোষামোদি নীতি আর ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির যূপকাষ্ঠে তিস্তার পানির ওপর বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির প্রবাহে বাংলাদেশের ন্যায্য ও আইনি অংশীদারিত্বের বিষয়টি এখন আর ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য হিসেবে নেই। দেশের অস্তিত্বের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এখন আর বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের মধ্যেও নেই। কারণ ‘তিস্তা সামান্য বিষয়’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমনের এমন বক্তব্যেই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে। যা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়। তিনি বলেন, গত দেড় মাসে বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ১০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা ও একাধিক মানুষকে আহত করেছে। বিএসএফের এই সহিংস তৎপরতা একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক বিধি-বিধানের লঙ্ঘন করে, অন্যদিকে সীমান্ত হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যকার চুক্তিরও বিরুদ্ধাচারণ; যা সীমান্তে বিএসএফের এই তৎপরতা কোনোভাবেই একটি সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়। তিনি বলেন, আমরা যখন ভারতকে ফুল দিয়ে বন্ধুত্বের প্রমাণ দেই, তখন তারা সীমান্তে বাংলাদেশিদের মেরে তার উত্তর দেয়। যেগুলো ভারতের আগ্রাসী বৈরি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
যা বন্ধে আজও পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি আমাদের বিজিবি ও সরকার প্রধান। এসময় গত ১২ই ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় বিজিবি কর্তৃক বেপরোয়া গুলিবর্ষণ এবং এক স্কুল ছাত্রসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনারও প্রতিবাদ জানান তিনি এবং সরকারকে এসব সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান বাম এই নেতা।
আকবর খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মুকলেছুর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন খোকনসহ প্রমুখ।
যা বন্ধে আজও পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি আমাদের বিজিবি ও সরকার প্রধান। এসময় গত ১২ই ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় বিজিবি কর্তৃক বেপরোয়া গুলিবর্ষণ এবং এক স্কুল ছাত্রসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনারও প্রতিবাদ জানান তিনি এবং সরকারকে এসব সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান বাম এই নেতা।
আকবর খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মুকলেছুর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন খোকনসহ প্রমুখ।