গণশুনানি নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির বৈঠক

নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পূর্বঘোষিত গণশুনানি সফল করতে বৈঠক করেছে ফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির নেতারা। গতকাল সন্ধ্যার পর গণফোরামের মতিঝিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গণশুনানি সফল করতে নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। গণশুনানির দিন কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন ও শুনানির আগে বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়ে কয়েকজনকে দায়িত্বও বণ্টন করে দেয়া হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাক আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, জাগো দলের নেতা নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সদস্য মমিনুল ইসলামসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন দলের নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া সমন্বয়কারী লতিফুল বারী হামিম মানবজমিনকে বলেন, আমাদের সমন্বয় কমিটির এ বৈঠকের মূল এজেন্ডা ২৪শে ফেব্রুয়ারির গণশুনানি। গণশুনানির প্রস্তুতি, সেদিন কে কোন দায়িত্ব পালন করবে, বিভিন্ন দল ও জোটকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দাওয়াতপত্র দেয়া হবে, দাওয়াতের কার্ড ছাপা ও দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়ে বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গণশুনানির জন্য ভেন্যু না পাওয়ায় করণীয় ঠিক করতে  রোববার বৈঠকে বসে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি ও সমন্বয় কমিটির নেতারা। বৈঠক শেষে গণশুনানি করার ব্যাপারে অনড় অবস্থানের কথা জানান। নেতারা অভিযোগ করেন- গণশুনানির জন্য রাজধানীর কয়েকটি হল বুকিং দেয়ার পর বিশেষ কারণ বশত বুকিং বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।  বৈঠক শেষে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সব হল কর্তৃপক্ষকে বলে দেয়া হয়েছে পুলিশের কাছে অনুমতি না নিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে হল ভাড়া দেয়া যাবে না। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি আমরা গণশুনানি করবো বলে সরকার আগে থেকে রাজধানীর সব হল বুকিং দিয়ে রেখেছে। আমাদের কোনো হল দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু সরকারের সব বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের আকাশের নিচে আমরা যেখানে জায়গা পাবো সেখানেই গণশুনানি করবো। উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাতে ভোট দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের ৭৯ প্রার্থী নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।