এক্সক্লুসিভ
ক্রিকেট মাঠ থেকে যেভাবে রাজনীতিতে দুর্জয়
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
নাঈমুর রহমান দুর্জয়। যিনি ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক সময়কার উজ্জ্বল নক্ষত্র। নন্দিত সাবেক এই ক্রিকেট তারকা খেলার মাঠের নেতা থেকে জননেতা হয়েছেন। তিনি মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি মানিকগঞ্জে খেলাধুলার উন্নয়নে তার রয়েছে বিশেষ দৃষ্টি। তার সামনে এখন বড় স্বপ্ন হচ্ছে পাটুরিয়া পদ্মার পাড়ে আন্তর্জাতিক মানের একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন নির্বাচনের আগে পদ্মার পাড়ে পাটুরিয়া ঘাটে নির্বাচনী একটি জনসভায়। ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম এই অধিনায়কের। দুর্জয়ের পিতা মরহুম এম সায়েদুর রহমান ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে বঙ্গবন্ধু ক্যাবিনেটের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মা নীনা রহমান জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বাবা-মায়ের রাজনীতির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট বেলা থেকেই দুর্জয়ের স্বপ্ন ছিল রাজনীতিতে পা রাখবেন। খেলার মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে রাজনৈতিক মাঠেও শক্তপোক্ত অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে রাজনীতির মাঠে অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে পেয়ে যান নৌকার টিকিট। সে নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে একমাত্র তার আসনেই সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জাসদ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র ফুটে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়ে রেকর্ড ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানিয়েছেন, তার স্বপ্ন পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, পাটুরিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেললাইন, পাটুরিয়া থেকে নবীনগর পর্যন্ত ফোর লেন রাস্তা, স্পেশাল ইকোনমিক্স জোন, হাইটেক পার্ক, আলোকদিয়া চরে সোলার প্ল্যান্ট, নদী ভাঙন রোধসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করাটাই তার সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া নিজে খেলোয়াড় হওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় খেলাধুলার উন্নয়নে তার রয়েছে বিশেষ দৃষ্টি।