এক্সক্লুসিভ

যে কারণে ক্লোজড আখাউড়ার ওসি

জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী থানা আখাউড়ার আলোচিত ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদারকে অবশেষে ক্লোজ করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য, মাসে কোটি টাকা মাদকস্পট থেকে মাসোহারা উত্তোলন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করা ছাড়াও নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। থানা ভবনে রাতে তার বিশেষ আসর বসানোর কথাও আছে থানার স্টাফ আর এলাকার মানুষের মুখে মুখে। বিশেষ দলের নেতানেত্রীরা আসতেন সেখানে। থানার স্টাফরাও ছিলেন তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে ২০১৫ সালের  ২১শে অক্টোবর যোগদান করেন মোশাররফ হোসেন তরফদার। ৩ বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকার দলের অনেক নেতার সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়ে যায় তুই তোকারির। জানা গেছে, যোগদানের পর স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির আজ্ঞাবহ হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদার। আখাউড়াকে চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তোলেন। তাকে ক্লোজ করার খবরে আখাউড়ার মানুষ উচ্ছ্বসিত।
ওসি মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আখাউড়া পৌর এলাকার সচেতন নাগরিকদের নামে ৩ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ দেয়া হয় পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে। ওই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগ করা হয়। আখাউড়ার ৫টি ইউনিয়নে সাড়ে ৩ শ’ মাদক স্পট চলার সুযোগ দিয়ে ওসি প্রতিমাসে ৭০/৮০ লাখ টাকা মাসোহারা তুলেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। তাকে টাকা দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়িয়েছে একাধিক মাদক মামলার আসামি। ক্রসফায়ার এবং এক হাজারটি মাদক মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ওসি মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একবছরের বেশি সময়ে আখাউড়ার অর্ধশত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ওসি ৩৪ ধারায় চালান দিয়েছেন। তাদের নাম-ঠিকানা, মামলার বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে ওই অভিযোগে।  থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুল আমিন জানান, ওসি দোতলার একটি রুমে থাকতেন। আমরা কিছু দেখিনি, জানিও না। কতো জনে কতো কিছু বলছে। তিনি আরো জানান, ওসি মোশাররফ হোসেনকে জনস্বার্থে বদলি করা হয়েছে। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মোশাররফ হোসেন তরফদার বলেন, ওভার ডিউ হওয়ায় তাকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। আর সব অভিযোগই মিথ্যা। তবে জেলার পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান তাকে (ওসি আখাউড়া মোশাররফ হোসেন তফরদারকে) প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status