দেশ বিদেশ
নারীঘটিত কারণে নটর ডেমের শিক্ষার্থী হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
নারীঘটিত কারণেই নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী ইয়োগেন গনজালভেস (২২)কে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় সখিনা বেগম সবিতা (২৬) নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি টিম তাকে মুগদা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সবিতা এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সে গাজীপুরের পুবাইল এলাকার মৃত সেকান্দার আলী ভূঁইয়ার মেয়ে। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে ঢাকা জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছিল সবিতা। গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।
এর আগে ১২ই ফেব্রুয়ারি নগরীর সবুজবাগের একটি বাসা থেকে নটর ডেমের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সবুজবাগ থানা পুলিশ। সে নটর ডেম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। ইয়োগেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার ম্যাকলিন গনজালভেজের ছেলে। এমরানুল হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবিতা জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ইয়োগেনের সঙ্গে সবিতার পরিচয়। ২০১৭ সালে ইয়োগেন নটর ডেম কলেজে থাকাকালীন সবিতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। এদিকে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সময় সবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় জাফর উল্লাহ রাসেল (৩৩)-এর। কিছুদিন পর রাসেলের সঙ্গে সবিতার ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরে সে ইয়োগেনকে সাক্ষী রেখে ২০১৭ সালের ২৯শে আগস্ট রাসেলের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে। একই বছর আরেকটি পিটিশন মামলা করে যা এখনো বিচারাধীন।
ইয়োগেনকে সাক্ষী করে মামলা করার পর সে সবিতার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ নেয়। যা সবিতা মেনে নিতে পারছিল না। আর এর জের ধরেই সবিতা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবিতা জানায়, দীর্ঘদিনের জমানো ক্ষোভ ও ইয়োগেনের মাদক সেবনের জন্য দফায় দফায় টাকা চাওয়াতে সে হত্যার পরিকল্পনা করে। ভাই-বোনের পরিচয়ে একসঙ্গে তারা একটি বাসা ভাড়া নেয়। ঘটনার দিন সে পরিকল্পিতভাবে জুসে চেতনানাশক মিশিয়ে ইয়োগেনকে খাওয়ায়। একপর্যায়ে ইয়োগেন অচেতন হয়ে গেলে তার হাত-পা বেঁধে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। র্যাব জানায়, ওই বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সবিতাকে শনাক্ত করা হয়।
এর আগে ১২ই ফেব্রুয়ারি নগরীর সবুজবাগের একটি বাসা থেকে নটর ডেমের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সবুজবাগ থানা পুলিশ। সে নটর ডেম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। ইয়োগেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার ম্যাকলিন গনজালভেজের ছেলে। এমরানুল হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবিতা জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ইয়োগেনের সঙ্গে সবিতার পরিচয়। ২০১৭ সালে ইয়োগেন নটর ডেম কলেজে থাকাকালীন সবিতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। এদিকে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সময় সবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় জাফর উল্লাহ রাসেল (৩৩)-এর। কিছুদিন পর রাসেলের সঙ্গে সবিতার ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরে সে ইয়োগেনকে সাক্ষী রেখে ২০১৭ সালের ২৯শে আগস্ট রাসেলের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে। একই বছর আরেকটি পিটিশন মামলা করে যা এখনো বিচারাধীন।
ইয়োগেনকে সাক্ষী করে মামলা করার পর সে সবিতার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ নেয়। যা সবিতা মেনে নিতে পারছিল না। আর এর জের ধরেই সবিতা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবিতা জানায়, দীর্ঘদিনের জমানো ক্ষোভ ও ইয়োগেনের মাদক সেবনের জন্য দফায় দফায় টাকা চাওয়াতে সে হত্যার পরিকল্পনা করে। ভাই-বোনের পরিচয়ে একসঙ্গে তারা একটি বাসা ভাড়া নেয়। ঘটনার দিন সে পরিকল্পিতভাবে জুসে চেতনানাশক মিশিয়ে ইয়োগেনকে খাওয়ায়। একপর্যায়ে ইয়োগেন অচেতন হয়ে গেলে তার হাত-পা বেঁধে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। র্যাব জানায়, ওই বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সবিতাকে শনাক্ত করা হয়।