দেশ বিদেশ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আমাদের ছেলেরাই এখন বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা মোবাইল সেট গুণগত মানসম্পন্নভাবে উৎপাদনের কারিগর হিসেবে বিস্ময় সৃষ্টি করছে। গতকাল ঢাকায় এক হোটেলে হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০১৯’ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মেধাবী তরুণরাই মেধাবী বাংলাদেশের হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার তারাই কারিগর। মেধাবীরা এখন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়েই সীমিত নয়- বাংলাদেশ এখন মেধাবীদের বিস্তৃত জায়গা। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। ২০২১ সাল নাগাদ ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে রোবটিকস, ইন্টারনেট অব থিংস, বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মতো নানা বিষয় মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে শুরু করবে। তাই পেছনের দিকে না তাকিয়ে দেশের তরুণদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। নতুন প্রযুক্তির দিকে তাকাতে হবে। তিনি বলেন, ফাইভ জির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলো পৃথিবীকে বদলে দেবে। তরুণ সমাজকে ফাইভ জি প্রযুক্তির উপযোগী করে গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। হ্যানরি কিসিঞ্জারের তলাহীন ঝুড়ি এবং বিভিন্নদাতা সংস্থার ভিক্ষুকের জাতি খ্যাত বাংলাদেশ গত দশ বছরে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজেদের অর্থে আমরা পদ্না সেতু মতো মেগা প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করছি। অগ্রগতির অগ্রযাত্রা বেগবান করতে তরুণ সমাজের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা ঝাং জেংজুন সিডস ফর দি ফিউচার প্রতিযোগিতার বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৮ সাল থেকে সিডস ফর দি ফিউচার প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১০৮টি দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী ৩৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিভা তৈরি এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১০ জন শিক্ষার্থী বাছাই করবে। আগামী দুই মাস এই বাছাই প্রক্রিয়া চলবে।