শেষের পাতা

পিইসি-ইবতেদায়ীর প্রায় ৯৬ হাজার পরীক্ষার্থীর ফল চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার ফলাফলে ৯৫ হাজার ৬৯১ জন শিক্ষার্থী আপত্তি জানিয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে প্রকাশিত এই ফলে আপত্তি জানিয়ে তারা ফল পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছে। এদের মধ্যে কেউ প্রাপ্ত ফল বাড়ানো, কেউ ফেল থেকে পাস করার জন্য আবেদন করেছে বলে জানা গেছে ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়। আগে থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর এ আবেদন করত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। চলতি বছর টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এ আবেদনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে খাতা পুনঃনিরীক্ষণ আগের মতোই জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সহায়তা নেবে ডিপিই।

ডিপিইর সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী অনুজ কুমার রায় বলেন, চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে এ পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ফল প্রকাশের পরবর্তীতে নানা ধরনের অনিয়মের বিষয়টি মাথায় রেখেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ফল প্রকাশের পরের দিন তথা ২৫শে ডিসেম্বর থেকে ৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ৯৫ হাজার ৬৯১ জন শিক্ষার্থী ফল পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছে। আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, এবার সাতটি বিভাগ থেকে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের ফল পরিবর্তনের জন্য বেশি আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে বেশি আবেদন ইংরেজি বিষয়ে প্রায় ১৭ হাজার ২২১টি, গণিতে ১৫ হাজার ৭৮১টি, বাংলা বিষয়ে ১৪ হাজার ৩৩৮টি ও বিজ্ঞানে প্রায় ১২ হাজারের মতো আবেদন জমা হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফলেও আপত্তি জানিয়ে প্রায় ৫ হাজার আবেদন জমা হয়েছে। সব মিলিয়ে সারা দেশে ৯৫ হাজার ৬৯১টি আবেদন রয়েছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৭০৯টি। গত বছরের চাইতে এবার ১৫ হাজার ৯৮২ আবেদন বেশি এসেছে।

তিনি আরো বলেন, আবেদনকারীদের পরীক্ষার খাতা নতুনভাবে মূল্যায়ন নয়, শুধুমাত্র মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের দেয়া নম্বরগুলো নতুনভাবে গণনা করা হবে। যদি খাতার মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে যোগে ভুল হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।

জানা গেছে, গত বছরের ২৪শে ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী-পিইসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী। এ পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৫ লাখ ৮ হাজার ৯০৪ জন পাস করে। তার মধ্যে ১২ লাখ ১১ হাজার ৬০০ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৪১ হাজার ২৯৬ জন ছাত্রী। প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়িতে ছেলেদের পাসের হার ৯৭ শতাংশ ৪৮ শতাংশ, আর মেয়েদের পাসের হার ৯৭ শতাংশ ৬৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন। তার মধ্যে ছেলেদের মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার ৪১১ জন ও মেয়েরা ২ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ জন।

অন্যদিকে, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ১২ হাজার ২৬৪ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে পাস করে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৭ জন। পাস করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৮ জন ছাত্র ও ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জন ছাত্রী। গত ২২শে নভেম্বর শুরু হয় পিইসি ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। শেষ হয় ৩০শে নভেম্বর।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status