বাংলারজমিন
অষ্টগ্রামে ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মানিক কুমার দেবের স্ত্রী লিপি দেব (৩৫)-এর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন, এটি ‘আত্মহত্যা’। নিহত লিপি দেব ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের দত্তপাড়ার মৃত তুলসী দেবের মেয়ে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৪/১৫ বছর আগে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের কুতুব মসজিদ পাড়ার মানিক কুমার দেবের সঙ্গে লিপি দেবের বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে সন্তানের মধ্যে বছর দু’য়েক আগে বড় ছেলে শুভ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপর থেকে মানিকের পরিবারের লোকজনের সাথে স্ত্রী লিপির নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ থেকে কলহ চলে আসছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান স্বামীর অনুপস্থিতিতে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঘরের দরজা আটকে বিষপান করেন লিপি। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভাইস চেয়ারম্যান মানিকের চাচাতো ভাই নারায়ণ চন্দ্র সরকার মুমূর্ষু লিপিকে স্পিডবোটযোগে সন্ধ্যায় নাসিরনগরের বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে লিপি দেব মারা যান। নিহত লিপির দুই ভাই চন্দন দেব ও চপল দেব দাবি করেন, তাদের বোনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে এই ঘটনার পর ভগ্নিপতি ভাইস চেয়ারম্যান মানিক নিজে না এসে তাদের বোন লিপি’র নিথর দেহ তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তারা বোন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান মানিক কুমার দেব জানান, তার ছেলে শুভ’র মৃত্যুর পর থেকে লিপি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কাজে তিনি শুক্রবার বিকালে উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের গণসংযোগ করছিলেন। এই সুযোগে বাজার থেকে বিষের বোতল কিনে বিকালে ঘরের দরজা আটকে বিষপান করেন। টের পেয়ে স্বজনেরা দ্রুত লিপিকে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে স্টমাক ওয়াশের পর কিছুটা সুস্থতাও বোধ করছিলেন লিপি। পরে তার চাচাতো ভাই নারায়ণ চন্দ্র সরকার স্পিডবোটযোগে লিপিকে নাসিরনগর বাবার বাড়ি নিয়ে যান। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে লিপি মারা যান। বিষপানেই লিপি’র মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অপপ্রচার বলে দাবি করেন। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৪/১৫ বছর আগে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের কুতুব মসজিদ পাড়ার মানিক কুমার দেবের সঙ্গে লিপি দেবের বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে সন্তানের মধ্যে বছর দু’য়েক আগে বড় ছেলে শুভ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপর থেকে মানিকের পরিবারের লোকজনের সাথে স্ত্রী লিপির নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ থেকে কলহ চলে আসছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান স্বামীর অনুপস্থিতিতে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঘরের দরজা আটকে বিষপান করেন লিপি। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভাইস চেয়ারম্যান মানিকের চাচাতো ভাই নারায়ণ চন্দ্র সরকার মুমূর্ষু লিপিকে স্পিডবোটযোগে সন্ধ্যায় নাসিরনগরের বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে লিপি দেব মারা যান। নিহত লিপির দুই ভাই চন্দন দেব ও চপল দেব দাবি করেন, তাদের বোনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে এই ঘটনার পর ভগ্নিপতি ভাইস চেয়ারম্যান মানিক নিজে না এসে তাদের বোন লিপি’র নিথর দেহ তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তারা বোন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান মানিক কুমার দেব জানান, তার ছেলে শুভ’র মৃত্যুর পর থেকে লিপি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কাজে তিনি শুক্রবার বিকালে উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের গণসংযোগ করছিলেন। এই সুযোগে বাজার থেকে বিষের বোতল কিনে বিকালে ঘরের দরজা আটকে বিষপান করেন। টের পেয়ে স্বজনেরা দ্রুত লিপিকে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে স্টমাক ওয়াশের পর কিছুটা সুস্থতাও বোধ করছিলেন লিপি। পরে তার চাচাতো ভাই নারায়ণ চন্দ্র সরকার স্পিডবোটযোগে লিপিকে নাসিরনগর বাবার বাড়ি নিয়ে যান। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে লিপি মারা যান। বিষপানেই লিপি’র মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অপপ্রচার বলে দাবি করেন। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।