বাংলারজমিন
মহম্মদপুরে বিএনপি নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন
মহম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা গ্রামে প্রতিপক্ষ লিটন বাহিনীর হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য কাবিল মোল্যা (৪৫) মারা গেছেন। শুক্রবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে লিটন বাহিনীর হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া ছিলেন কাবিলসহ অর্ধশতাধিক লোক। ওই বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে মাগুরা পুলিশ সুপার (এসপি)-এর কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন কাবিল। এসপির আশ্বাসের বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। নহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল লিটনের নেতৃত্বে ওবায়দুল মেম্বার, মিটুল, হামিদুর ও তুরফান বুধবার সন্ধ্যায় নহাটা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিএনপি নেতা কাবিল মেম্বারকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর পানিঘাটার পাঁচমাথা এলাকায় হাতুড়ি পেটা করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রাখে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর নেয়া হলে শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। নিহত কাবিল মেম্বারসহ পানিঘাটা, জয়রামপুরের প্রায় অর্ধশত মানুষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে লিটন বাহিনীর ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া ছিল। গত ৩০শে জানুয়ারি মাগুরা পুলিশ সুপারের কাছে বাড়িঘরে ফিরে আসার জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন তারা। এরপর এসপির আশ্বাসে বাড়ি ফিরেছিলেন তারা।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, নহাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার কাবিল মোল্লাকে প্রতিপক্ষরা বুধবার সন্ধ্যায় পিটিয়ে আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, তিনি সবাইকে সহাবস্থানে থাকার জন্য বলেছিলেন। কাবিল মেম্বার নিহতের বিষয়ে অভিযোগ থানায় গেলে হত্যা মামলা করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে নিহত কাবিলের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, লিটন বাহিনীর লোকজন নিহত কাবিলের বাড়িতে গিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়ে এসেছে। মামলা করলে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, নহাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার কাবিল মোল্লাকে প্রতিপক্ষরা বুধবার সন্ধ্যায় পিটিয়ে আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, তিনি সবাইকে সহাবস্থানে থাকার জন্য বলেছিলেন। কাবিল মেম্বার নিহতের বিষয়ে অভিযোগ থানায় গেলে হত্যা মামলা করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে নিহত কাবিলের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, লিটন বাহিনীর লোকজন নিহত কাবিলের বাড়িতে গিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়ে এসেছে। মামলা করলে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে।