বাংলারজমিন
ভালোবাসার উপহার পদ্মাপাড়ের জারবারা
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জের পদ্মার পাড়ে পাটুরিয়া এলাকার রিয়াজুল, সত্তার, কোকিল এবং বাদশার হাতের পরম মমতায় উৎপাদন করা বাগানে শোভা পাচ্ছে লাল, গোলাপি, সাদা আর হলুদ রঙের জারবারা। ভালোবাসা দিবসে শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে এই এলাকার জারবারা ফুল ছড়িয়ে পড়বে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের তরুণ-তরুণীদের হাতে।
সরজমিন পদ্মা নদী সংলগ্ন পাটুরিয়া অঞ্চলের আফতাব উদ্দিনের বিশাল জায়গা জুড়ে ফুলের বাগানে গিয়ে দেখা গেল চোখ ঝলকানো লাল, গোলাপি, সাদা আর হলুদ রঙের বিদেশি ফুল জারবারা। পুরো বাগানটি যেনো ঝলমল করছে ১০ রঙা জারবারা ফুলে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাগান থেকে কাটা হচ্ছে ফুল। রিয়াজুল, সত্তার, কোকিল এবং বাদশা বাগান থেকে ফুল কেটে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে পাঠানোর কাজে পুরো ব্যস্ত। আর এই বাগানের জারবারা ফুল ভালোবাসা দিবসে হাজারো ভালোবাসার মানুষের হাতে পৌঁছাবে।
বাগানের পরিচর্যায় নিয়োজিত রিয়াজুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ৫ বছর ধরে এই বাগানে জারবারা ফুলের চাষ হচ্ছে। লাল, সাদা, গোলাপি, হলুদসহ ১০ রঙের এই ফুল বাগানের মূল আকর্ষণ। অনেকটা সূর্য্যমুখী ফুলের মতো এই ফুল দেখতে বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। একবার দেখলেই দৃষ্টি ফেরানো কঠিন। খুব যত্নসহকারে এই ফুল চাষ করতে হয়। সরাসরি সূর্য্যের আলো ও বৃষ্টির পানি থেকে নিরাপদে রাখতে হয়। তাহলে গাছ বাড়বে না এবং ফুল ফুটবে না। সেজন্য আগে সেট তৈরি করতে হবে। আলো-বাতাস যাতে প্রবেশ করতে পারে সেভাবে উপরে ছাউনি ও চারপাশে বাঁশের বেড়া দিতে হবে। এরপর ভেতরে উর্বর মাটি তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে বিদেশ থেকে জারবারা ফুলের চারা এনে বাগানে রোপণ করা হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা করা হলে সহজে এই ফুলের চারা মারা যায় না। একটি চারা থেকে কয়েকটি ফুল পাওয়া যায়। অত্যন্ত লাভজনক এই ফুল। এই বাগানে গোলাপসহ অন্যান্য ফুলচাষ করা হলেও আকর্ষণই হচ্ছে জারবারা ফুল।
রিয়াজুল বলেন, বিশেষ বিশেষ দিবসে এই ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। ভালোবাসা দিবসের জন্য বাগান থেকে প্রায় ৫ হাজার ফুল তোলা হচ্ছে। এরপর একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য তোলা হবে। সপ্তাহে দুইদিন এই ফুল কাটা হয়। এখান থেকে আমরা ফুল পাঠাই সোজা ঢাকার শাহবাগে। প্রতিটি ফুল পাইকারি বিক্রি করি ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে ভালোবাসা দিবসে প্রচুর চাহিদা এই ফুলের, দামও বেশি পাই। মানিকগঞ্জে উৎপাদিত এই জারবারা ফুল যাবে ঢাকার ফুলের দোকানে। আর সেই ফুল ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার মানুষের হাতে তুলে দেবেন তাদের প্রিয় মানুষজন। ॥
সরজমিন পদ্মা নদী সংলগ্ন পাটুরিয়া অঞ্চলের আফতাব উদ্দিনের বিশাল জায়গা জুড়ে ফুলের বাগানে গিয়ে দেখা গেল চোখ ঝলকানো লাল, গোলাপি, সাদা আর হলুদ রঙের বিদেশি ফুল জারবারা। পুরো বাগানটি যেনো ঝলমল করছে ১০ রঙা জারবারা ফুলে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাগান থেকে কাটা হচ্ছে ফুল। রিয়াজুল, সত্তার, কোকিল এবং বাদশা বাগান থেকে ফুল কেটে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে পাঠানোর কাজে পুরো ব্যস্ত। আর এই বাগানের জারবারা ফুল ভালোবাসা দিবসে হাজারো ভালোবাসার মানুষের হাতে পৌঁছাবে।
বাগানের পরিচর্যায় নিয়োজিত রিয়াজুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ৫ বছর ধরে এই বাগানে জারবারা ফুলের চাষ হচ্ছে। লাল, সাদা, গোলাপি, হলুদসহ ১০ রঙের এই ফুল বাগানের মূল আকর্ষণ। অনেকটা সূর্য্যমুখী ফুলের মতো এই ফুল দেখতে বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। একবার দেখলেই দৃষ্টি ফেরানো কঠিন। খুব যত্নসহকারে এই ফুল চাষ করতে হয়। সরাসরি সূর্য্যের আলো ও বৃষ্টির পানি থেকে নিরাপদে রাখতে হয়। তাহলে গাছ বাড়বে না এবং ফুল ফুটবে না। সেজন্য আগে সেট তৈরি করতে হবে। আলো-বাতাস যাতে প্রবেশ করতে পারে সেভাবে উপরে ছাউনি ও চারপাশে বাঁশের বেড়া দিতে হবে। এরপর ভেতরে উর্বর মাটি তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে বিদেশ থেকে জারবারা ফুলের চারা এনে বাগানে রোপণ করা হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা করা হলে সহজে এই ফুলের চারা মারা যায় না। একটি চারা থেকে কয়েকটি ফুল পাওয়া যায়। অত্যন্ত লাভজনক এই ফুল। এই বাগানে গোলাপসহ অন্যান্য ফুলচাষ করা হলেও আকর্ষণই হচ্ছে জারবারা ফুল।
রিয়াজুল বলেন, বিশেষ বিশেষ দিবসে এই ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। ভালোবাসা দিবসের জন্য বাগান থেকে প্রায় ৫ হাজার ফুল তোলা হচ্ছে। এরপর একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য তোলা হবে। সপ্তাহে দুইদিন এই ফুল কাটা হয়। এখান থেকে আমরা ফুল পাঠাই সোজা ঢাকার শাহবাগে। প্রতিটি ফুল পাইকারি বিক্রি করি ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে ভালোবাসা দিবসে প্রচুর চাহিদা এই ফুলের, দামও বেশি পাই। মানিকগঞ্জে উৎপাদিত এই জারবারা ফুল যাবে ঢাকার ফুলের দোকানে। আর সেই ফুল ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার মানুষের হাতে তুলে দেবেন তাদের প্রিয় মানুষজন। ॥