বাংলারজমিন
মাটির নিচের গুপ্তধন
তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) থেক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
গাইবান্ধা জেলার সবজির ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সাদুল্লাপুর উপজেলা। এ উপজেলার উঁচুভূমি ধাপেরহাট, ভাতগ্রাম ইদিলপুর ও রসুলপুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন জাতের সবজিসহ উৎপাদিত হয় গোল আলু। অন্যান্য ফসলের চেয়ে কৃষকদের আলু চাষাবাদে লাভজনক। ফলে আলুর উপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের কৃষকরা। উৎপাদিত আলু বিক্রি করেই পরিবারের চাহিদা মেটান তারা। তাই মাটির নিচে বড় হওয়া আলুই যেন কৃষকদের গুপ্তধন।
গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সম্প্রতি আলুর দামও ভালো পাচ্ছেন তারা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া জানান, এ অঞ্চলের কৃষকরা দেশি জাতের আলু ছাড়াও হাইব্রিড জাতের কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, স্ট্রিট এবং গ্যানোলা জাতের আলু বেশি চাষ করেছেন। মাস খানেক পরই কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করবেন কৃষক। সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ধাপেরহাটের আরাজী ছত্রগাছা গ্রামের আলুচাষি সোহেল মিয়া জানান, প্রতি একরে আলু চাষাবাদে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। যার উৎপাদন হয়েছে ২৫০ মণ। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ আলু (প্রকারভেদে) ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এতে করে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। হাসানপাড়া গ্রামের আলুচাষি এন্তাজ আলী জানান, ধাপেরহাট আরভি হিমাগারের এক বস্তা আলু সংরক্ষণ করতে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা খরচ হয়।
দেশীয় পদ্ধতিতে কৃষকরা বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করলে খরচ পড়বে প্রতি বস্তা মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। ৬-৭ মাস পর ওই আলু বের করলে প্রতি মণ আলু ৬০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব।
অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষ অত্যন্ত লাভজনক বলে জানান রসুলপুরের বড় দাউদপুর গ্রামের আলু চাষি আজিজার রহমান। হিমাগার ছাড়াই বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, জমি থেকে উত্তোলনকৃত আলু তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা ও বায়ু চলাচল করে এমন শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া এবং ছনের ছাউনি দিয়ে ভূমি থেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে উঁচু করে ঘর তৈরি করতে হবে। আলুর শ্বাস-প্রশ্বাসের তাপ বের হওয়া এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। মেঝেতে বাঁশের চাটাই কিংবা বালু বিছিয়ে আলু রাখতে হবে। এভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে ৬ থেকে ৭ মাস আলু সংরক্ষণ করা যায়।
গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সম্প্রতি আলুর দামও ভালো পাচ্ছেন তারা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া জানান, এ অঞ্চলের কৃষকরা দেশি জাতের আলু ছাড়াও হাইব্রিড জাতের কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, স্ট্রিট এবং গ্যানোলা জাতের আলু বেশি চাষ করেছেন। মাস খানেক পরই কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করবেন কৃষক। সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ধাপেরহাটের আরাজী ছত্রগাছা গ্রামের আলুচাষি সোহেল মিয়া জানান, প্রতি একরে আলু চাষাবাদে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। যার উৎপাদন হয়েছে ২৫০ মণ। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ আলু (প্রকারভেদে) ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এতে করে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। হাসানপাড়া গ্রামের আলুচাষি এন্তাজ আলী জানান, ধাপেরহাট আরভি হিমাগারের এক বস্তা আলু সংরক্ষণ করতে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা খরচ হয়।
দেশীয় পদ্ধতিতে কৃষকরা বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করলে খরচ পড়বে প্রতি বস্তা মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। ৬-৭ মাস পর ওই আলু বের করলে প্রতি মণ আলু ৬০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব।
অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষ অত্যন্ত লাভজনক বলে জানান রসুলপুরের বড় দাউদপুর গ্রামের আলু চাষি আজিজার রহমান। হিমাগার ছাড়াই বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, জমি থেকে উত্তোলনকৃত আলু তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা ও বায়ু চলাচল করে এমন শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া এবং ছনের ছাউনি দিয়ে ভূমি থেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে উঁচু করে ঘর তৈরি করতে হবে। আলুর শ্বাস-প্রশ্বাসের তাপ বের হওয়া এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। মেঝেতে বাঁশের চাটাই কিংবা বালু বিছিয়ে আলু রাখতে হবে। এভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে ৬ থেকে ৭ মাস আলু সংরক্ষণ করা যায়।