অনলাইন
ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই প্রধান শিক্ষককে পেটালো বখাটেরা
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৪:০৪ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সিংদাইর সাইদুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যাত্রা করার অনুমতি ও দাবি অনুযায়ী চাঁদা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেনকে পিটিয়েছে বখাটেরা। সোমবার বিদ্যালয় চলাকালীন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই এ ঘটনা ঘটায় তারা। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাতেন জানান, উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের সিংদাইর গ্রামের মোস্তফা, বাচ্চু, সোহেল, মিন্টু জুয়েল সহ আরও কয়েকজন গত শনিবার আমার কাছে এসে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যাত্রা করার অনুমতি এবং এর জন্য চাঁদা দাবি করে।
এ সময় আমি তাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যাত্রার অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই বলে জানাই এবং ১০০ টাকা চাঁদা দিই। পরদিন রোববার সন্ধ্যায় তারা আমাকে ফোনে বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, রুম ও বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
আমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন সোমবার সকালে আমি বিদ্যালয়ে পৌঁছলে তারা আমার ওপর হামলা করে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় আমার সহকর্মীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমি সুবিচার প্রার্থনা করে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাকু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় যাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় এলাকার কিছু বখাটে এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। ওদের শাস্তি হওয়া দরাকার।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেন আমাদের তা না দিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন। অনুষ্ঠানের পরদিন এলাকার ছেলে পেলে অনুমতি না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আলম চাঁদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাতেন জানান, উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের সিংদাইর গ্রামের মোস্তফা, বাচ্চু, সোহেল, মিন্টু জুয়েল সহ আরও কয়েকজন গত শনিবার আমার কাছে এসে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যাত্রা করার অনুমতি এবং এর জন্য চাঁদা দাবি করে।
এ সময় আমি তাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যাত্রার অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই বলে জানাই এবং ১০০ টাকা চাঁদা দিই। পরদিন রোববার সন্ধ্যায় তারা আমাকে ফোনে বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, রুম ও বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
আমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন সোমবার সকালে আমি বিদ্যালয়ে পৌঁছলে তারা আমার ওপর হামলা করে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় আমার সহকর্মীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমি সুবিচার প্রার্থনা করে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাকু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় যাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় এলাকার কিছু বখাটে এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। ওদের শাস্তি হওয়া দরাকার।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেন আমাদের তা না দিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন। অনুষ্ঠানের পরদিন এলাকার ছেলে পেলে অনুমতি না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আলম চাঁদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।