বিশ্বজমিন
বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল উঠছে আজ রাজ্যসভায়
মানবজমিন ডেস্ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
বিরোধিতায় উত্তপ্ত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চল। তা সত্ত্বেও আজ রাজ্যসভায় উঠছে নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের এ বিলটি উত্থাপন করার কথা রয়েছে। এ বিলটিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু ৬টি সম্প্রদায়কে নাগরিকতত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আগে এ বিলটিকে কেন্দ্র করে ভারতের পার্লামেন্টে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে। বিলের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস পার্টি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সরকার আশা করছে আজ রাজ্যসভার মধ্য দিয়ে বিলটিকে সামনে এগিয়ে নেয়ার শেষ চেষ্টা তারা করবে।
জানুয়ারিতে লোকসভায় বহুল বিতর্কিত এ বিলটি উত্থাপন ও পাস করা হয়। তারপর থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেঘালয়, আসাম, মিজোরাম ও মনিপুর সহ রাজ্যগুলোতে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। এ বিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ বিলটি পাস হলে তাতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জমি দখল সহ নানা অসৎ উদ্দেশে হামলা বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে জমিজমা ফেলে বাধ্য হয়ে ভারতে চলে যেতে হতে পারে তাদের।
অনলাইন এনডিটিভি বলেছে, ১৯৫৫ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ভারতের বর্তমান সরকার সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ উত্থাপন করে। এর আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিলটির বিরোধিতা করেছে নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো। তারাও বলেছেন, এ আইনের ফলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া হিন্দু নাগরিকদের নাগরিকত্ব অনুমোদন দেবে। ফলে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অন্য দেশের অভিবাসীদের আধিক্য বৃদ্ধি পাবে।
বিলটি লোকসভায় উত্থাপনের পর বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, নির্যাতিত ওইসব অভিবাসীদের ভার পুরো দেশকে নিতে হবে। পুরো দায় শুধু আসামকে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এ জন্য আসামের সরকার ও জনগণকে সব রকম সহযোগিতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
জানুয়ারিতে লোকসভায় বহুল বিতর্কিত এ বিলটি উত্থাপন ও পাস করা হয়। তারপর থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেঘালয়, আসাম, মিজোরাম ও মনিপুর সহ রাজ্যগুলোতে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। এ বিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ বিলটি পাস হলে তাতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জমি দখল সহ নানা অসৎ উদ্দেশে হামলা বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে জমিজমা ফেলে বাধ্য হয়ে ভারতে চলে যেতে হতে পারে তাদের।
অনলাইন এনডিটিভি বলেছে, ১৯৫৫ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ভারতের বর্তমান সরকার সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ উত্থাপন করে। এর আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিলটির বিরোধিতা করেছে নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো। তারাও বলেছেন, এ আইনের ফলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া হিন্দু নাগরিকদের নাগরিকত্ব অনুমোদন দেবে। ফলে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অন্য দেশের অভিবাসীদের আধিক্য বৃদ্ধি পাবে।
বিলটি লোকসভায় উত্থাপনের পর বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, নির্যাতিত ওইসব অভিবাসীদের ভার পুরো দেশকে নিতে হবে। পুরো দায় শুধু আসামকে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এ জন্য আসামের সরকার ও জনগণকে সব রকম সহযোগিতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।