বিনোদন

‘রণবীরের সঙ্গেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে কাটাব’

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

প্র: ‘গাল্লি বয়’-এ আপনাকে আবার ডি-গ্ল্যাম চরিত্রে দেখা যাবে...

উ: জ়োয়া আখতারের মতো পরিচালক খুব কম আছেন। উনি অভিনেতাদের দিয়ে কাজটা করিয়ে নিতে জানেন। ‘গাল্লি বয়’ এক জন আন্ডারডগের গল্প নিয়ে। আর সেই গল্পে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই প্রথম আমি এমন একটা চরিত্রে কাজ করলাম, যার সঙ্গে আমার কোনও মিল নেই। আমি কখনওই চাইব না, সাকিনার মতো রাগী মানুষের সঙ্গে কারও পরিচয় ঘটুক (হাসি)! কিছু দিন আগে আমি আর রণবীর (সিংহ) ছবিটা দেখছিলাম। তখন ও আমাকে বলল, ‘‘বাবা তোর কী রাগ! মনে হচ্ছে, যে কোনও মুহূর্তে বোমা ফাটবে!’’ আমি হেসে বললাম, ওটা একটা চরিত্র। নিজের জীবনে আমি এ রকম নই।

প্র: আলিয়া তা হলে কখন রেগে যান?

উ: আমি শর্ট টেম্পার্ড। এলোপাথাড়ি বিষয় নিয়ে রেগে যাই। যেমন একটা জলের গ্লাস যদি দিনের পর দিন একই জায়গায় পড়ে থাকে আর সেটাকে জায়গা মতো না রাখা হয়, আমি রেগে যাই! তবে খুব তাড়াতাড়ি শান্তও হয়ে যাই। আর যার উপরে রেগে গিয়েছি, তাকে ‘সরি’ বলে দিই। আই অ্যাম আ ফরগিভিং পার্সন। জিয়ো অউর জিনে দো... এটাই আমার জীবনের ফিলোজ়ফি।

প্র: ‘গাল্লি বয়’ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে মুক্তি পাচ্ছে। বিশেষ কোনও পরিকল্পনা আছে ওই দিন?

উ: আমার জীবনে এই মুহূর্তে এক জনই আছে, যার সঙ্গে দিনটা সেলিব্রেট করব। সে দিন সম্ভবত আমি আর রণবীর (কপূর) ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর শুটিং করব। তাই সেটেই সময় কাটাব। সঙ্গে অয়ন (মুখোপাধ্যায়) আর অমিতাভ বচ্চনও থাকবেন (হেসে)। স্কুলে পড়ার সময়ে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র গুরুত্ব অনেকটা ছিল। কে ক’টা কার্ড পেল, কী গিফট পেল, কে কাকে গোলাপ দিল— এগুলো সব খেয়াল রাখতাম। আমি এক বার একটা পারফিউম পেয়েছিলাম আর ১০ দিনের মধ্যে মেখে মেখে সেটা শেষও করে ফেলেছিলাম!

প্র: রণবীরের (সিংহ) সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী রকম?

উ: রণবীরকে আমি অনেক দিন ধরেই খুব পছন্দ করি। ও খুব রিয়্যাল। ভীষণ ভাল অভিনেতা! ‘গাল্লি বয়’ করার সময়ে আমি অবশ্য অন্য এক রণবীরকে দেখতে পাই। সংবেদনশীল, ধীর-স্থির। অন্য সময়ে আমরা যে রণবীরকে দেখি, রংচঙে জামা পরে চেয়ারের উপরে দাঁড়িয়ে নাচছে... সেটাও ওর একটা বৈশিষ্ট্য। আসলে সকলকে খুশি রাখতে ও ভালবাসে। আমরা ঠিক করেছি, আমরা আবার কাজ করব। এপিক রোম্যান্স করার ইচ্ছে আছে। শুধু চিত্রনাট্যের অপেক্ষা।

প্র: ওঁর আর দীপিকার রিসেপশনে যেতে পারেননি বলে রণবীর দুঃখ পেয়েছিলেন?

উ: আমারই ভীষণ খারাপ লেগেছিল। আমি সে দিন সকাল সাতটা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত শুটিংয়ে ছিলাম। তার পর কিছু টেকনিক্যাল সমস্যাও হয়েছিল, যার জন্য আমাদের আরও দেরি হয়ে গিয়েছিল। আমার পোশাকও তৈরি ছিল, কিন্তু যেতে পারলাম না! আমি মেসেজ করে দীপিকা আর রণবীরকে ‘সরি’ও বলেছিলাম। ওদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে আমি যাবই, ঠিক করে রেখেছি।

প্র: ‘সঞ্জু’র সময়ে রণবীর (কপূর) বলেছিলেন, উনি আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। আপনি কী শিখেছেন ওঁর কাছ থেকে?

উ: রণবীরের মতো এত ঠান্ডা মাথার অভিনেতা আমি খুব কম দেখেছি। ওর চোখ দুটো খুব সৎ এবং সরল। আর অভিনয়টা ও খুব অনায়াসে করে। আমি সেটে রণবীরকে অবজ়ার্ভ করি। ওর কাজের আমি বিরাট ভক্ত!

প্র: নিতু সিংহ এবং ঋষি কপূরের সঙ্গে আপনার অনেক ছবি দেখতে পাই সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওঁদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক আপনার?

উ: দু’জনেই ভীষণ বড় মাপের শিল্পী। রণবীর ওর চিলড আউট অ্যাটিটিউড ওর মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছে। নিতুজি আমার খুব ভাল বন্ধু। আর ঋষি কপূরের জন্য একটাই কথা বলব, হি ইজ় ইউনিক!

প্র: কঙ্গনা রানাউত মন্তব্য করেছেন যে, ‘মণিকর্ণিকা’ দেখে আপনি ওঁকে মেসেজ বা কল করেননি। অথচ ‘রাজ়ি’র ট্রেলার পাঠিয়ে ওঁর ফিডব্যাক চেয়েছিলেন এবং উনি সেটা দিয়েও ছিলেন। কী বলবেন?

উ: আমি আশা করছি, কঙ্গনা আমার উপরে রেগে যায়নি। ওর মতো ব্যক্তিত্ব আমি খুব কম দেখেছি। খুব সাহসী। আমি যদি ওকে কোনও ভাবে দুঃখ দিয়ে থাকি, তা হলে ব্যক্তিগত ভাবে ওর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। জেনেশুনে কিছু করিনি। আমি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম, কাউকে আপসেট করতে চাইনি।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status