খেলা
তৃণমূলে ট্যালেন্ট হান্ট করবে ক্যারাম ফেডারেশন
স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
ঘরোয়া আসর স্থবির থাকলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্যারামের সাফল্য কম নয়। ১৯৯৯ সালে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত নাদী নাইট ক্যারাম চ্যাম্পিয়নশিপে এবং ২০১৫ সালে ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত পদ্মা গঙ্গা সম্প্রীতির ক্যারাম টেস্ট ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১৪ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ১৪ দেশের অংগ্রহণে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ক্যারাম প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জেতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পরের বছর পুরুষ দলগতে ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ। এছাড়া দ্বৈতে হেমায়েত ও হাফিজ চতুর্থ হন। এবার ঘরে বাইরে বেশকিছু টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফেডারেশন।
হেমায়েত হোসেন এবং হাফিজুর রহমান- বাংলাদেশ ক্যারামের বড় বিজ্ঞাপন। বিশ্ব ক্যারাম র্যাংকিংয়ে হেমায়েত মোল্লার অবস্থান এখন সাত নম্বরে। বিশ্বকাপ কিংবা আন্তর্জাতিক ক্যারাম ফেডারেশন (আইসিএফ) কাপও প্রায়শই খেলে থাকে বাংলাদেশ। অথচ সেই খেলাটি এক সময় বড়ই অবহেলিত ছিল। আগে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের টুর্নামেন্ট করেই দায়িত্ব শেষ করতেন কর্মকর্তারা। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েত আহমেদ পলক এমপি ফেডারেশনের সভাপতির পদে দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কিছু টুর্নামেন্ট হাতে নিয়েছেন। ক্যারাম প্রতিযোগিতায় নতুনত্ব এনেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ লিওন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সভাপতির সহযোগিতায় আমরা টি-২০ ক্রিকেটের মতো চার ব্রেকের ক্যারাম খেলা শুরু করেছি। যদিও বিশ্বের অন্য দেশে এটা আগেই প্রচলিত ছিল।’
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টও সাড়া জাগিয়েছে দেশজুড়ে। এমন টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসেছেন বুয়েটের স্নিগ্ধা, রবিনরা। গত বিজয় দিবসে দেশসেরা ক্যারাম খেলোয়াড় হেমায়েতকে হারিয়ে চমক দিয়েছিলেন রবিন। খেলোয়াড়দের মধ্যে গতি বাড়াতে গত বছর মুম্বাই থেকে ২৩টি ক্যারাম বোর্ড আনা হয়েছে। বিশ্বখ্যাত মোবাইল সেট কোম্পানি হুয়াউই কোম্পানি বাংলাদেশকে বোর্ড দিয়ে সহায়তা করেছে। এশিয়ান ক্যারাাম ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লিওন বলেন, ‘হুয়াউই বিদেশ সফরেও আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।’ এবার তৃণমূলে যেতে চায় ক্যারাম ফেডারেশন। লিওন আরো বলেন, ‘আমরা এবার তৃণমূলে মনযোগ দিতে চাই। আপাতত ঢাকার বেশ ক’টি স্কুলে ক্যারাম চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করবো। যাতে ভবিষ্যতের তারকা খেলোয়াড় বেরিয়ে আসতে পারে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আপাতত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের স্কুলগুলোতে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম শুরু করছি। জাতীয় ক্যারামের পাইপলাইন তৈরি করতেই মিরপুর পল্লবী ডিগ্রি কলেজে ২৭শে জানুয়ারি শুরু করছি। নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজেও কাজ শুরু হবে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই চলবে আমাদের তৃণমূল প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম। তাদের আমরা সনদপত্র ও প্রাইজ দিবো।’ আইসিএফের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ লিওন বলেন, ‘২০১৩ সালে সর্বশেষ সার্ক ক্যারাম চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেও খেলেছি আমরা। কিন্তু এরপর আর টুর্নামেন্টটাই হয়নি। গত বছর কোরিয়া বিশ্বকাপে খেলতে যেতে পারিনি ভিসা না হওয়ায়। তাই এবার আমরা নিজেরাই আইসিএফ টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ভাবছি। সব ঠিক থাকলে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে টুর্নামেন্টটি শুরু করবো।’
হেমায়েত হোসেন এবং হাফিজুর রহমান- বাংলাদেশ ক্যারামের বড় বিজ্ঞাপন। বিশ্ব ক্যারাম র্যাংকিংয়ে হেমায়েত মোল্লার অবস্থান এখন সাত নম্বরে। বিশ্বকাপ কিংবা আন্তর্জাতিক ক্যারাম ফেডারেশন (আইসিএফ) কাপও প্রায়শই খেলে থাকে বাংলাদেশ। অথচ সেই খেলাটি এক সময় বড়ই অবহেলিত ছিল। আগে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের টুর্নামেন্ট করেই দায়িত্ব শেষ করতেন কর্মকর্তারা। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েত আহমেদ পলক এমপি ফেডারেশনের সভাপতির পদে দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কিছু টুর্নামেন্ট হাতে নিয়েছেন। ক্যারাম প্রতিযোগিতায় নতুনত্ব এনেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ লিওন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সভাপতির সহযোগিতায় আমরা টি-২০ ক্রিকেটের মতো চার ব্রেকের ক্যারাম খেলা শুরু করেছি। যদিও বিশ্বের অন্য দেশে এটা আগেই প্রচলিত ছিল।’
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টও সাড়া জাগিয়েছে দেশজুড়ে। এমন টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসেছেন বুয়েটের স্নিগ্ধা, রবিনরা। গত বিজয় দিবসে দেশসেরা ক্যারাম খেলোয়াড় হেমায়েতকে হারিয়ে চমক দিয়েছিলেন রবিন। খেলোয়াড়দের মধ্যে গতি বাড়াতে গত বছর মুম্বাই থেকে ২৩টি ক্যারাম বোর্ড আনা হয়েছে। বিশ্বখ্যাত মোবাইল সেট কোম্পানি হুয়াউই কোম্পানি বাংলাদেশকে বোর্ড দিয়ে সহায়তা করেছে। এশিয়ান ক্যারাাম ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লিওন বলেন, ‘হুয়াউই বিদেশ সফরেও আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।’ এবার তৃণমূলে যেতে চায় ক্যারাম ফেডারেশন। লিওন আরো বলেন, ‘আমরা এবার তৃণমূলে মনযোগ দিতে চাই। আপাতত ঢাকার বেশ ক’টি স্কুলে ক্যারাম চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করবো। যাতে ভবিষ্যতের তারকা খেলোয়াড় বেরিয়ে আসতে পারে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আপাতত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের স্কুলগুলোতে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম শুরু করছি। জাতীয় ক্যারামের পাইপলাইন তৈরি করতেই মিরপুর পল্লবী ডিগ্রি কলেজে ২৭শে জানুয়ারি শুরু করছি। নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজেও কাজ শুরু হবে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই চলবে আমাদের তৃণমূল প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম। তাদের আমরা সনদপত্র ও প্রাইজ দিবো।’ আইসিএফের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ লিওন বলেন, ‘২০১৩ সালে সর্বশেষ সার্ক ক্যারাম চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেও খেলেছি আমরা। কিন্তু এরপর আর টুর্নামেন্টটাই হয়নি। গত বছর কোরিয়া বিশ্বকাপে খেলতে যেতে পারিনি ভিসা না হওয়ায়। তাই এবার আমরা নিজেরাই আইসিএফ টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ভাবছি। সব ঠিক থাকলে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে টুর্নামেন্টটি শুরু করবো।’