বাংলারজমিন
নোয়াখালীর দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চরম উত্তেজনা
স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী থেকে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন একাডেমিতে নবম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহিদ উল্যার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে ম্যানেজিং কমিটি তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সিনিয়র শিক্ষক তৌহিদ উল্যাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন একাডেমির নবম শ্রেণির ২ ছাত্রী বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগে জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় ক্লাসে বিভিন্ন উত্তেজনামূলক কথা বলতো এবং বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন সময় তাদেরকে প্রাইভেট পড়াতে শিক্ষক বেডিং এ ডেকে নিয়ে উত্তেজনাকর কথা বলতো। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতো। মেয়েরা আপত্তি করলে তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতো। সৌদি প্রবাসীর কন্যা জানান, একবার ঐ শিক্ষক তাকে অপহরণের চেষ্টাও চালায়। সে বিভিন্ন সময় নানান উত্তেজনাকর কথা বলে আমাদের তার বিছানায় নিতে চেষ্টা করলে আমরা কোনো ভাবে ইজ্জত বাঁচিয়ে চলে আসি। এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানায়, এ ব্যাপারে শ্যামলী আক্তার শিমু ও মাহমুদা আক্তার মিতু তার বরাবরে আবেদন করলে তিনি ৭ই ফেব্রুয়ারি ম্যানেজিং কমিটির সভায় বিষয়টি তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাইন উদ্দিন ভূঞাকে সভাপতি করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক সহিদ উল্যাকে সরিয়ে সিনিয়র শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল খায়ের, নিজাম উদ্দিন ভুট্টো, সিনিয়র শিক্ষক তাসলিমা আক্তার, শিক্ষক সফি উল্যা টিটু, কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তৌহিদ উল্যা। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার জানান, এ দুই ছাত্রী স্কুলে সকল শিক্ষকের সামনে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এবং ছাত্রীদের মোবাইলে যে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়েছেন তা সবাইকে দেখিয়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী ভিকটিমদের চাপ দিচ্ছে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে। সোনাইমুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ মানবজমিনকে জানান, সংবাদ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় খবর দেয়া হলে সে আসেনি। তার বিরুদ্ধে আরো অনেক ইভটিজিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।