বাংলারজমিন
চট্টগ্রামে সৌভাগ্যবতী দুই নেত্রী
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে এবার চট্টগ্রাম মহানগর থেকে ঠাঁই পায়নি কোনো নারীনেত্রী। তবে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে ঠাঁই পেয়েছেন সৌভাগ্যবতী দুই নেত্রী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়েশা খান ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এই দুই নারীনেত্রীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে মোট চারজনকে মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ। বাকি দুজন হলেন- কানিজ ফাতেমা আহমেদ ও বাসন্তী চাকমা। কানিজ ফাতেমা পেয়েছেন কক্সবাজার থেকে আর খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা। শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সংরক্ষিত নারী আসনে মোট ৪১ প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে ঠাঁই পান ওই চারজন। দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনজন। দলীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর থেকে এবার আওয়ামী লীগের ২০ জন নারীনেত্রী মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু কেউ ঠাঁই পাইনি। চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ৪৮ নারীনেত্রী। যাদের মধ্য থেকে দুই নারীনেত্রীকে বেছে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ওয়াসিকা আয়েশা খান দক্ষিণ জেলা থেকে আর খাদিজাতুল আনোয়ার সনি হচ্ছেন উত্তর জেলা থেকে। ওয়াসিকা আয়েশা খান দশম জাতীয় সংসদেরও নারী আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদের নারী আসনেও তিনি বাজিমাত করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন গ্রামে। ওয়াসিকা মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি।
মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দক্ষ ও যোগ্য মনে করে দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন দিয়েছেন। এর বাইরে আমাকে মূল্যায়নের অন্য কিছু ছিল বলে মনে হয় না।
ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি হলেন নতুন মুখ। এই প্রথম সংরক্ষিত নারী আসনে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
এমবিএ পাস করা ৩৪ বছর বয়সী আওয়ামী লীগের তরুণ নেত্রী খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রের নির্দেশে তিনি তার মনোনয়নপত্র তুলে দেন মহাজোটের শরিক ত্বরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির হাতে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকার প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু কপাল খোলেনি। দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করায় সনিকে এবার নারী আসনে মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার মূল্যায়ন করেছেন বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নিজেও মনে করছেন তাই। সনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকার মনোনয়ন পেয়েও পরে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলাম। দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি বিধায় আজকে আমার মূল্যায়ন হয়েছে। তবে আমার মনোনয়ন পাওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ভূমিকা রেখেছেন।
৬৮ জন প্রার্থীর ভিড়ে ওয়াসিকা ও সনির মনোনয়ন পাওয়ার পেছনে সৌভাগ্যের পাশাপাশি তাঁদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সহায়ক ছিল বলে মনে করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দুজনই চট্টগ্রামের নামকরা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তারা একদিকে উচ্চশিক্ষিত, অন্যদিকে রাজনীতিতেও দক্ষ। যদিও চট্টগ্রামে তাদের মতো আরো মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিক বিবেচনা করে যাদের যোগ্য মনে করেছেন তাদের মনোনয়ন দিয়েছেন।
এদিকে কক্সবাজার থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা আহমেদ। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, কক্সবাজারসহ তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার শিক্ষা, পরিবেশ, পর্যটন, আইনশৃঙ্খলা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করবেন। বিশেষ করে অবহেলিত ও হতদরিদ্র মহিলাদের উন্নয়নে তার নানা পরিকল্পনা রয়েছে।
কানিজ ফাতেমা কক্সবাজার জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানও। তিনি দশম সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ সদর-রামু আসনে মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। তিনি এ আসনের সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর স্ত্রী।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পেয়েছেন বাসন্তী চাকমা। প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়ি থেকে মহিলা এমপি মনোনয়ন দেয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মনোনয়ন পাওয়ায় দল ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাসন্তী চাকমাও। তিনি বলেন, আমি সুসময়ে, দুঃসময়ে সবসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থেকেছি আর আজীবন থাকব। আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু। আমার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি পার্বত্য এলাকায় পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নে কাজ করব। নারীদের কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেব।
মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দক্ষ ও যোগ্য মনে করে দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন দিয়েছেন। এর বাইরে আমাকে মূল্যায়নের অন্য কিছু ছিল বলে মনে হয় না।
ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি হলেন নতুন মুখ। এই প্রথম সংরক্ষিত নারী আসনে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
এমবিএ পাস করা ৩৪ বছর বয়সী আওয়ামী লীগের তরুণ নেত্রী খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রের নির্দেশে তিনি তার মনোনয়নপত্র তুলে দেন মহাজোটের শরিক ত্বরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির হাতে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকার প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু কপাল খোলেনি। দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করায় সনিকে এবার নারী আসনে মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার মূল্যায়ন করেছেন বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নিজেও মনে করছেন তাই। সনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকার মনোনয়ন পেয়েও পরে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলাম। দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি বিধায় আজকে আমার মূল্যায়ন হয়েছে। তবে আমার মনোনয়ন পাওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ভূমিকা রেখেছেন।
৬৮ জন প্রার্থীর ভিড়ে ওয়াসিকা ও সনির মনোনয়ন পাওয়ার পেছনে সৌভাগ্যের পাশাপাশি তাঁদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সহায়ক ছিল বলে মনে করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দুজনই চট্টগ্রামের নামকরা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তারা একদিকে উচ্চশিক্ষিত, অন্যদিকে রাজনীতিতেও দক্ষ। যদিও চট্টগ্রামে তাদের মতো আরো মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিক বিবেচনা করে যাদের যোগ্য মনে করেছেন তাদের মনোনয়ন দিয়েছেন।
এদিকে কক্সবাজার থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা আহমেদ। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, কক্সবাজারসহ তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার শিক্ষা, পরিবেশ, পর্যটন, আইনশৃঙ্খলা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করবেন। বিশেষ করে অবহেলিত ও হতদরিদ্র মহিলাদের উন্নয়নে তার নানা পরিকল্পনা রয়েছে।
কানিজ ফাতেমা কক্সবাজার জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানও। তিনি দশম সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ সদর-রামু আসনে মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। তিনি এ আসনের সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর স্ত্রী।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পেয়েছেন বাসন্তী চাকমা। প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়ি থেকে মহিলা এমপি মনোনয়ন দেয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মনোনয়ন পাওয়ায় দল ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাসন্তী চাকমাও। তিনি বলেন, আমি সুসময়ে, দুঃসময়ে সবসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থেকেছি আর আজীবন থাকব। আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু। আমার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি পার্বত্য এলাকায় পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নে কাজ করব। নারীদের কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেব।