খেলা
হকির নির্বাচনে মুখোমুখি দুই পক্ষ
স্পোর্টস রিপোর্টার
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
খেলা থাকলে হকি যতটা আলোচনায় আসে, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আলোচনা হয় নির্বাচন আসলে। হকিতে নির্বাচনই যেন সব। অথচ দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ ফেডারেশনে নির্বাচিত কমিটি নেই এক বছর ধরে। সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০শে জুলাই। তার প্রায় ছয় মাস পর গত বছর ১১ই জানুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটি বিলুপ্ত করে গঠন করে অ্যাডহক কমিটি। ১৩ মাস পরেই সেই হকিতে বইছে নির্বাচনী বাতাস। যেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন আবাহনীর কর্মকর্তা ও বর্তমান হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক ও মোহামেডান বলয়ের মুমিনুল হক সাঈদ।
বাংলাদেশের হকি কীভাবে চলছে তা বোঝার জন্য একটা উদাহরণই যথেষ্ট। সর্বশেষ প্রিমিয়ার লীগের খেলা, চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল ঘোষণা এবং তাদের পুরস্কার দিতে লেগে গেছে ৮ মাস। সেই অনুষ্ঠান আবার বয়কট করেছে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব। আগের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েও রহস্যজনকভাবে তা বন্ধ করে দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০১৭ সালে ২৭শে আগস্ট হওয়ার কথা ছিল হকির ভোট। নির্বাচনের জন্য ২০০০ টাকা করে ১১১টি মনোনয়নপত্র বিক্রিও করেছিল এনএসসি। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমার আগে ১৬ই আগস্ট ২০১৭ নির্বাচন স্থগিত করে দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কারণ, হিসেবে সামনে এনেছিল দেশব্যাপী বন্যা। তবে আসল কারণ ছিল অন্য। আগের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন কমিটির দুই সহসভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ ও আবদুর রশিদ শিকদার। রশিদ শিকদারের পাল্লা ভারী ছিল বলেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল বলে হকি অঙ্গনের অনেকের অভিযোগ। এর মধ্যে এশিয়া কাপের পর হঠাৎ মারা যান খাজা রহমতউল্লাহ। এবারের নির্বাচনে অবশ্য রশিদ শিকদার সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন না বলেই শোনা যাচ্ছে। হকি ফেডারেশনের ভোটের রাজনীতিতে আবাহনীর জোট বেশ শক্তিশালী। বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেককে এ পদে রেখেই ভোটের লড়াইয়ে নামতে পারে আবাহনী জোট। আবদুস সাদেক নির্বাচন করলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মোমিনুল হক সাঈদ। তিনি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি ও মেরিনার ইয়ার্স ক্লাবের হকি কর্মকর্তা। তাকে সমর্থন জোগাচ্ছেন আব্দুর রশীদ শিকদার। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হকিতে এখন তরুণ উদ্যমী লোকের প্রয়োজন। যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে হকিতে আরো এগিয়ে নিতে পারবো’। তারমতে পৃথিবীর কোনো দেশেই ৭০ ঊর্ধ্ব কোনো ব্যক্তি দেশের শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশনের ক্ষমতা আঁকড়ে নেই। বাংলাদেশে কেবল ব্যতিক্রম বলে জানান ঊষা ক্রীড়াচক্রের এই সাধারণ সম্পাদক। ‘এখানে ৮০ বছরের কাছাকাছি আব্দুস সাদেক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন’- বলেন তিনি। হকির স্বার্থেই আব্দুস সাদেককে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন রশীদ শিকদার।
অ্যাডহক কমিটির বয়স ১৩ মাস পার হওয়ার পর নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। দেশের খেলাধুলার অভিভাবক সংস্থাটি হকি ফেডারেশনের নির্বাচনের জন্য গত ২১শে জানুয়ারি তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করে এবং ২৪শে জানুয়ারি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে কাউন্সিলর (ভোটার) হালনাগাদ তালিকা পাঠাতে বলে। ১০ই ফেব্রুয়ারি ছিল কাউন্সিলর তালিকা পাঠানোর শেষ দিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাম পাঠায়নি অনেকে। যারা পাঠিয়েছে সেখানেও অনেক গলদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরামবাগ ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মুমিনুল হক সাঈদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জেলা থেকে যাকে কাউন্সিলর করা হয়েছে, সেই মনির হোসেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য না। এমন অনেক জেলা থেকে এমন নাম এসেছে। বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক। হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলর ৮৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১টি জেলা। এরপর ৩১ ক্লাব। বিকেএসপি, সার্ভিসেস সংস্থা, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও শিক্ষাবোর্ড মিলে ৭, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ৫ এবং ১ জন করে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা আম্পায়ার্স বোর্ডের কাউন্সিলর হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। ৮৫ ভোটারের এই নির্বাচনে আবাহনী জোটের সঙ্গে মোমিনুল হক সাঈদের ভোটের লড়াই কেমন জমজমাট হবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে মোহামেডান জোটের ওপর। তারা যেদিকে যাবে তাদেরই নির্বাচনী বৈতরুণী পার সওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
বাংলাদেশের হকি কীভাবে চলছে তা বোঝার জন্য একটা উদাহরণই যথেষ্ট। সর্বশেষ প্রিমিয়ার লীগের খেলা, চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল ঘোষণা এবং তাদের পুরস্কার দিতে লেগে গেছে ৮ মাস। সেই অনুষ্ঠান আবার বয়কট করেছে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব। আগের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েও রহস্যজনকভাবে তা বন্ধ করে দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০১৭ সালে ২৭শে আগস্ট হওয়ার কথা ছিল হকির ভোট। নির্বাচনের জন্য ২০০০ টাকা করে ১১১টি মনোনয়নপত্র বিক্রিও করেছিল এনএসসি। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমার আগে ১৬ই আগস্ট ২০১৭ নির্বাচন স্থগিত করে দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কারণ, হিসেবে সামনে এনেছিল দেশব্যাপী বন্যা। তবে আসল কারণ ছিল অন্য। আগের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন কমিটির দুই সহসভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ ও আবদুর রশিদ শিকদার। রশিদ শিকদারের পাল্লা ভারী ছিল বলেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল বলে হকি অঙ্গনের অনেকের অভিযোগ। এর মধ্যে এশিয়া কাপের পর হঠাৎ মারা যান খাজা রহমতউল্লাহ। এবারের নির্বাচনে অবশ্য রশিদ শিকদার সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন না বলেই শোনা যাচ্ছে। হকি ফেডারেশনের ভোটের রাজনীতিতে আবাহনীর জোট বেশ শক্তিশালী। বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেককে এ পদে রেখেই ভোটের লড়াইয়ে নামতে পারে আবাহনী জোট। আবদুস সাদেক নির্বাচন করলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মোমিনুল হক সাঈদ। তিনি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি ও মেরিনার ইয়ার্স ক্লাবের হকি কর্মকর্তা। তাকে সমর্থন জোগাচ্ছেন আব্দুর রশীদ শিকদার। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হকিতে এখন তরুণ উদ্যমী লোকের প্রয়োজন। যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে হকিতে আরো এগিয়ে নিতে পারবো’। তারমতে পৃথিবীর কোনো দেশেই ৭০ ঊর্ধ্ব কোনো ব্যক্তি দেশের শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশনের ক্ষমতা আঁকড়ে নেই। বাংলাদেশে কেবল ব্যতিক্রম বলে জানান ঊষা ক্রীড়াচক্রের এই সাধারণ সম্পাদক। ‘এখানে ৮০ বছরের কাছাকাছি আব্দুস সাদেক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন’- বলেন তিনি। হকির স্বার্থেই আব্দুস সাদেককে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন রশীদ শিকদার।
অ্যাডহক কমিটির বয়স ১৩ মাস পার হওয়ার পর নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। দেশের খেলাধুলার অভিভাবক সংস্থাটি হকি ফেডারেশনের নির্বাচনের জন্য গত ২১শে জানুয়ারি তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করে এবং ২৪শে জানুয়ারি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে কাউন্সিলর (ভোটার) হালনাগাদ তালিকা পাঠাতে বলে। ১০ই ফেব্রুয়ারি ছিল কাউন্সিলর তালিকা পাঠানোর শেষ দিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাম পাঠায়নি অনেকে। যারা পাঠিয়েছে সেখানেও অনেক গলদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরামবাগ ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মুমিনুল হক সাঈদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জেলা থেকে যাকে কাউন্সিলর করা হয়েছে, সেই মনির হোসেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য না। এমন অনেক জেলা থেকে এমন নাম এসেছে। বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক। হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলর ৮৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১টি জেলা। এরপর ৩১ ক্লাব। বিকেএসপি, সার্ভিসেস সংস্থা, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও শিক্ষাবোর্ড মিলে ৭, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ৫ এবং ১ জন করে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা আম্পায়ার্স বোর্ডের কাউন্সিলর হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। ৮৫ ভোটারের এই নির্বাচনে আবাহনী জোটের সঙ্গে মোমিনুল হক সাঈদের ভোটের লড়াই কেমন জমজমাট হবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে মোহামেডান জোটের ওপর। তারা যেদিকে যাবে তাদেরই নির্বাচনী বৈতরুণী পার সওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।