বাংলারজমিন
সেচ সংকটে...
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৪ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:০২ পূর্বাহ্ন
বোরো মৌসুমের শুরুতেই জেলার বিভিন্ন স্থানে সেচ সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। হাওরের পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় সেচের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে কৃষকরা জানান। জেলার শনির, মাটিয়ান, হালির, দেখার ও খরচার হাওরসহ ছোট-বড় অধিকাংশ হাওরে সেচ সংকট রয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, কোথাও কোথাও জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে মরে যাচ্ছে অনেক জমির ধানের চারাও।
হাওর ঘুরে দেখা গেছে, বিগত বছরগুলিতে এ সময় চাষাবাদে পানি সংকট ছিল না। পর্যাপ্ত পানি থাকায় চাষাবাদে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি কৃষকদের। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। চাষাবাদের মৌসুমের শুরুতেই সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের ভাষ্য, নদী খননের ফলে হাওরের পানি দ্রুত নদীতে নেমে গিয়ে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া হাওরের জলমহাল ও ছোট ছোট জলাধার শুকিয়ে যাওয়া ও বৃষ্টিপাত না হওয়া এর জন্য দায়ী।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়েছে। তাই হাওরে পানির টান পড়েছে। বোরো ধান রোপণের সময় আসার আগে হাওরের পানি নেমে গেছে। তাই কেউ কেউ জমিতে ধানই লাগাতে পারেনি। আবার কারো কারো জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে পানির অভাবে। কাউকান্দি গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, এ বছর জমিতে পানি কম থাকায় চাষ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয় কৃষকদের।
আনোয়ারপুর গ্রামের হুসেন আলী জানান, জমি শুকিয়ে যাওয়ায় তিনি ধানের চারাই লাগাতে পারেননি। কিছু জমিতে হালকা পানি থাকলেও উর্বরতা কমে গেছে। তাই সার বেশি লাগছে।
তাহিরপুর উপজেলার বাগগাঁও গ্রামের আনফর আলী বলেন, ‘জমিতে পানি না থাকায় ইঁদুরে ধানের চারা কাটছে। অন্যদিকে, জমির চারাগাছ লাল রং ধারণ করায় সার ও কীটনাশক দিতে হচ্ছে। অথচ গত বছর এ সমস্যা ছিল না। কৃষকরা হাওরের অভ্যন্তরে জলাধারের সংস্কার ও নাব্যতা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. আব্দুল মোন্নাফ বলেন, বোরো জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে ধানের চারা পরিপক্ব হওয়ার সময় পর্যন্ত পানি থাকতে হয়। এ সময় পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি না থাকলে জমিতে পোকা-মাকড়ের উৎপাতসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য হাওরের অভ্যন্তরে সেচের জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করা প্রয়োজন, যেগুলো দিয়ে রোপণ মৌসুমে জমিতে সেচ দেবেন কৃষকেরা।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (সেচ) সুনামগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী হুসাইন মুহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, সুনামগঞ্জে বিএডিসির অনেক সেচ প্রকল্প চালু রয়েছে। এগুলো দিয়ে কৃষক উপকার পাচ্ছেন। যেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে এজন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন হাওর এলাকায় যা যা করার প্রয়োজন, তাই করবে।’
হাওর ঘুরে দেখা গেছে, বিগত বছরগুলিতে এ সময় চাষাবাদে পানি সংকট ছিল না। পর্যাপ্ত পানি থাকায় চাষাবাদে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি কৃষকদের। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। চাষাবাদের মৌসুমের শুরুতেই সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের ভাষ্য, নদী খননের ফলে হাওরের পানি দ্রুত নদীতে নেমে গিয়ে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া হাওরের জলমহাল ও ছোট ছোট জলাধার শুকিয়ে যাওয়া ও বৃষ্টিপাত না হওয়া এর জন্য দায়ী।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়েছে। তাই হাওরে পানির টান পড়েছে। বোরো ধান রোপণের সময় আসার আগে হাওরের পানি নেমে গেছে। তাই কেউ কেউ জমিতে ধানই লাগাতে পারেনি। আবার কারো কারো জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে পানির অভাবে। কাউকান্দি গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, এ বছর জমিতে পানি কম থাকায় চাষ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয় কৃষকদের।
আনোয়ারপুর গ্রামের হুসেন আলী জানান, জমি শুকিয়ে যাওয়ায় তিনি ধানের চারাই লাগাতে পারেননি। কিছু জমিতে হালকা পানি থাকলেও উর্বরতা কমে গেছে। তাই সার বেশি লাগছে।
তাহিরপুর উপজেলার বাগগাঁও গ্রামের আনফর আলী বলেন, ‘জমিতে পানি না থাকায় ইঁদুরে ধানের চারা কাটছে। অন্যদিকে, জমির চারাগাছ লাল রং ধারণ করায় সার ও কীটনাশক দিতে হচ্ছে। অথচ গত বছর এ সমস্যা ছিল না। কৃষকরা হাওরের অভ্যন্তরে জলাধারের সংস্কার ও নাব্যতা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. আব্দুল মোন্নাফ বলেন, বোরো জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে ধানের চারা পরিপক্ব হওয়ার সময় পর্যন্ত পানি থাকতে হয়। এ সময় পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি না থাকলে জমিতে পোকা-মাকড়ের উৎপাতসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য হাওরের অভ্যন্তরে সেচের জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করা প্রয়োজন, যেগুলো দিয়ে রোপণ মৌসুমে জমিতে সেচ দেবেন কৃষকেরা।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (সেচ) সুনামগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী হুসাইন মুহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, সুনামগঞ্জে বিএডিসির অনেক সেচ প্রকল্প চালু রয়েছে। এগুলো দিয়ে কৃষক উপকার পাচ্ছেন। যেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে এজন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন হাওর এলাকায় যা যা করার প্রয়োজন, তাই করবে।’