শেষের পাতা
জামিন পেতে উচ্চ আদালতে বিরোধীরা
সিলেট থেকে আসছেন দলে দলে
স্টাফ রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আশায় ভিড় বাড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের বেশির ভাগই আগাম জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেখানে ভোটার নন এমন লোকজনও আসামি রয়েছেন। মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনের হাজারো মানুষ এখন হাইকোর্টে ধরনা দিচ্ছেন। তারা পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষায় কয়েক সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন চাইছেন। গতকাল অনেকেই জামিন পেয়েছেন। অনেকে আজ জামিন প্রার্থনা করবেন বলে জানিয়েছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন সরজমিন রোববার জামিনের জন্য ঘুরতে থাকা অনেকের সঙ্গে কথা হয়। সেখানে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ সুরমা অংশের)-এর সাবেক এক বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা হয় মানবজমিন প্রতিবেদকের।
প্রায় আধঘণ্টার আলাপচারিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এক পর্যায়ে বলেন, লিখলে তো আমার কোনো লাভ হবে না বরং পুলিশি ঝামেলা বাড়বে। তাই দয়া করে নামটি লিখবেন না। তিনি বারবারই নাম প্রকাশ না করার আর্জি জানান। সিলেটের প্রবেশদ্বার কদমতলী এলাকার বাসিন্দা, ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রাক্তন ওই বিএনপি নেতা বলেন, ভোটের আগে একটি মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করেছে। ভোটের পরে কোনো কারণ ছাড়াই ফের আরেকটি মামলা দিয়েছে। এটি কেবল হয়রানির জন্য। আমি বিএনপি করি, এতে কোনো লুকোচুরি নেই। কিন্তু আমি তো হাঙ্গামার লোক নই। কোনোদিন কোনো মারামারির ধারে কাছেও যাইনি। আমার এলাকায় সত্যিকারভাবে যারা আওয়ামী লীগ তারা এটা অকপটে স্বীকার করবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তার এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটলেই বা একটা ঘটনা দেখিয়ে পুলিশ মামলা দিয়ে দেয় মন্তব্য করে ওই নেতা বলেন, এটা কি? আমরা ব্যবসা- বাণিজ্য করি।
কতদিন ব্যবসা-বাণিজ্য দোকানপাট ছাড়া থাকা যায়? তিনি বলেন, বর্তমানে দু’টি মামলায় আমরা শতাধিক লোক আসামি। প্রায় সবাই জামিনের জন্য এসেছেন। বেশিরভাগই বিএনপি এবং জামায়াতের সাধারণ কর্মী। তবে বিএনপি বা জামায়াত পরিবারের এমন অনেকে আছেন, যারা নিজেরা সক্রিয় না, তারপরও কেবল পরিবারিক পরিচয়ের কারণে তাদের আসামি করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থানরত একজনকে দেখিয়ে ওই নেতা বলেন, বুঝলাম আমরা না হয় দোষী! এক সময় ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু ওর কী দোষ? তার বাবা-চাচা বিএনপি করে এটাই কী তার অপরাধ।
আন্ডার এইজ বা ভোটার নন, দক্ষিণ সুরমার ওই ছেলের জামিন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপায় নাই, তাই উচ্চ আদালতে এসেছি, আমরা সবাই এক মাসের জামিন পেয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে এখন নিম্ন আদালতে জামিন চাইবো। যদি আদালতের মর্জি হয় জামিন দেবেন। তবে বিদায় বেলাও তিনি বলেন, দয়া করে নামটা লিখবেন না, লিখলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে ঢাকায় এসেছি। বাসজার্নিতে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। ভোরে পৌঁছেছি। ফকিরাপুলের এক রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে হাইকোর্টে ঢুকেছি। সন্ধ্যায় সিলেটের গাড়ি ধরবো আশা করছি।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে এক মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে সারেন্ডার করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝখানের সময়টুকু বৌ-বাচ্চাদের সঙ্গে শান্তিতে নিরাপদে কাটাতে চাই। জানি না, আমরা সেই সুযোগ পাবো কি-না? কারণ শক্তিমানরা তো আইনের ধার ধারে না! তার সঙ্গে থাকা সিলেটের একজন ব্যবসায়ী খেদোক্তি করে বলেন, আমরা ঝামেলার লোক নই। কিন্তু ঝামেলায় পড়ে গেছি। এখন কি আর করার আছে? যা হওয়ার তা-ই হবে। ওই ব্যবসায়ী জানান, সিলেট থেকে দলে দলে লোকজন হাইকোর্টে আসছে জামিনের আশায়। অবশ্য তারা জামিনও পাচ্ছেন।
প্রায় আধঘণ্টার আলাপচারিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এক পর্যায়ে বলেন, লিখলে তো আমার কোনো লাভ হবে না বরং পুলিশি ঝামেলা বাড়বে। তাই দয়া করে নামটি লিখবেন না। তিনি বারবারই নাম প্রকাশ না করার আর্জি জানান। সিলেটের প্রবেশদ্বার কদমতলী এলাকার বাসিন্দা, ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রাক্তন ওই বিএনপি নেতা বলেন, ভোটের আগে একটি মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করেছে। ভোটের পরে কোনো কারণ ছাড়াই ফের আরেকটি মামলা দিয়েছে। এটি কেবল হয়রানির জন্য। আমি বিএনপি করি, এতে কোনো লুকোচুরি নেই। কিন্তু আমি তো হাঙ্গামার লোক নই। কোনোদিন কোনো মারামারির ধারে কাছেও যাইনি। আমার এলাকায় সত্যিকারভাবে যারা আওয়ামী লীগ তারা এটা অকপটে স্বীকার করবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তার এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটলেই বা একটা ঘটনা দেখিয়ে পুলিশ মামলা দিয়ে দেয় মন্তব্য করে ওই নেতা বলেন, এটা কি? আমরা ব্যবসা- বাণিজ্য করি।
কতদিন ব্যবসা-বাণিজ্য দোকানপাট ছাড়া থাকা যায়? তিনি বলেন, বর্তমানে দু’টি মামলায় আমরা শতাধিক লোক আসামি। প্রায় সবাই জামিনের জন্য এসেছেন। বেশিরভাগই বিএনপি এবং জামায়াতের সাধারণ কর্মী। তবে বিএনপি বা জামায়াত পরিবারের এমন অনেকে আছেন, যারা নিজেরা সক্রিয় না, তারপরও কেবল পরিবারিক পরিচয়ের কারণে তাদের আসামি করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থানরত একজনকে দেখিয়ে ওই নেতা বলেন, বুঝলাম আমরা না হয় দোষী! এক সময় ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু ওর কী দোষ? তার বাবা-চাচা বিএনপি করে এটাই কী তার অপরাধ।
আন্ডার এইজ বা ভোটার নন, দক্ষিণ সুরমার ওই ছেলের জামিন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপায় নাই, তাই উচ্চ আদালতে এসেছি, আমরা সবাই এক মাসের জামিন পেয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে এখন নিম্ন আদালতে জামিন চাইবো। যদি আদালতের মর্জি হয় জামিন দেবেন। তবে বিদায় বেলাও তিনি বলেন, দয়া করে নামটা লিখবেন না, লিখলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে ঢাকায় এসেছি। বাসজার্নিতে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। ভোরে পৌঁছেছি। ফকিরাপুলের এক রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে হাইকোর্টে ঢুকেছি। সন্ধ্যায় সিলেটের গাড়ি ধরবো আশা করছি।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে এক মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে সারেন্ডার করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝখানের সময়টুকু বৌ-বাচ্চাদের সঙ্গে শান্তিতে নিরাপদে কাটাতে চাই। জানি না, আমরা সেই সুযোগ পাবো কি-না? কারণ শক্তিমানরা তো আইনের ধার ধারে না! তার সঙ্গে থাকা সিলেটের একজন ব্যবসায়ী খেদোক্তি করে বলেন, আমরা ঝামেলার লোক নই। কিন্তু ঝামেলায় পড়ে গেছি। এখন কি আর করার আছে? যা হওয়ার তা-ই হবে। ওই ব্যবসায়ী জানান, সিলেট থেকে দলে দলে লোকজন হাইকোর্টে আসছে জামিনের আশায়। অবশ্য তারা জামিনও পাচ্ছেন।