খেলা
ভিক্টোরিয়ান্সকে গুঁড়িয়ে কিংসের প্রতিশোধ
স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন
দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে দিয়ে শুরু আর শেষ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানকে দিয়ে। ১১ ব্যাটসম্যান নিয়ে ১৭৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৩৮ রানেই গুঁড়িয়ে গেল রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে। দুর্দান্ত জয়ে চলতি আসরে প্রথম দেখায় হারের দারুণ প্রতিশোধ নিলো মেহেদী হাসান মিরাজের দল। গতকাল ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে বিপিএলের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের শিকার অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস, তামিমদের দল। এর আগে কিংসের কাছে হেরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর, সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। তারকাহীন দল নিয়ে ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রাজশাহী কিংস। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে এই আসরে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান ইভান্স। রায়ান টেন ডেসকাটের সঙ্গে তার চতুর্থ উইকেটে রেকর্ড ১৪৮ রানের জুটি গড়েন। তাতেই আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় ১৭৬ রান তোলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। জবাব দিতে নেমে কিংসের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ভিক্টোরিয়ান্স। মাত্র ৩ ওভারে একাই চার উইকেট নেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। দুটি করে উইকেট নেন ডেসকাটা ও কায়েস আহমেদ। দলের অন্যতম সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ১ উইকেট পেলেও ৩.২ ওভারে খরচ করেন মাত্র ৮ রান। শুরুতে ব্যাটিং এরপর দুর্দান্ত বোলিংয়ে আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল কুমিল্লাকে হারিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল রাজশাহী। কিন্তু সেখান থেকে ইভান্স ও ডেসকাটা শেষ ৭ ওভারে দলের স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ১০৬ রান। ইভান্স ১০৪ ও ডেসকাটা ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বলতে গেলে এই দু’জন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের পাত্তাই দেয়নি। অন্যদিকে জবাব দিতে নেমে কিংসের বোলারদের সামনে দারুণ অসহায় দেখায় কুমিল্লাকে। যদিও শুরুটা ভালোই ছিল। দেখে শুনে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার। ২টি করে ছক্কা ও চারের মারে ২৪ বলে ২৫ রান করেন তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় একটি করে চার ও ছক্কায় করেন ২৬ রান। কিন্তু দু’জনই ফিরেছেন দ্রুত। আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে ১১৬ রানের জুটি গড়েছিলেন বিজয়-তামিম। দলের হাল ধরতে এসে পরের ৫ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। কিন্তু আউট হয়েছেন নিয়মিত বিরতিতে। শামসুর রহমান শুভ ১৫, জিয়াউর রহমান ১৫, ইমরুল ১৫ ও লিয়াম ডসন ১৭ রানে করে আউট হন। সব শেষে পাকিস্তানি বুম বুম আফ্রিদি ১৯ রানে হাঁটেন সাজঘরে। তামিমকে ফিরিয়ে প্রথম স্পেল শেষ করেছিলেন কামরুল ইসলাম। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে হয়ে ওঠেন আরো ভয়ঙ্কর। এক ওভারেই বিদায় করেন আফ্রিদি, লিয়াম ডসন ও সাইফ উদ্দিনকে। রাজশাহী মাঠ ছাড়ে বড় জয় নিয়ে।
জাতীয় দল থেকে বেশকিছু ধরেই বাইরে রয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ফর্মে ফিরতে ছিলেন দারুণ মরিয়া। যদিও তিনি টেস্ট বোলার হিসেবেই বেশি পরিচিত। হবেই না কেন? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আগে কখনো ম্যাচে দুটির বেশি উইকেট পাননি এই তরুণ পেসার। কিন্তু গতকাল তিনি নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট। ১৩৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল কুমিল্লা। দলের হয়ে লড়াই করতে থাকা আফ্রিদিকে আউট করে রাব্বি সেই প্রতিরোধ ভাঙেন। এরপর দলের স্কোর বোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ হতে তার তৃতীয় শিকার লিয়ামডমন। তার পরের বলেই বিদায় করেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনকে। কুমিল্লার শেষ ব্যাটসম্যান ছিলেন মেহেদী হাসান। এই অলরাউন্ডারের দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ তে সেঞ্চুরি আছে। বলতে গেলে ১১ জন ব্যাটসম্যানের দল নিয়েও কিংসের প্রতিশোধের আগুনে পুড়েছে ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কুমিল্লার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান নিজেদের তাড়াহুড়াকেই দায়ী করেছেন। সেই সঙ্গে রাজশাহীর বোলারদের প্রশংসা করতেও ভোলেননি।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল রাজশাহী। কিন্তু সেখান থেকে ইভান্স ও ডেসকাটা শেষ ৭ ওভারে দলের স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ১০৬ রান। ইভান্স ১০৪ ও ডেসকাটা ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বলতে গেলে এই দু’জন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের পাত্তাই দেয়নি। অন্যদিকে জবাব দিতে নেমে কিংসের বোলারদের সামনে দারুণ অসহায় দেখায় কুমিল্লাকে। যদিও শুরুটা ভালোই ছিল। দেখে শুনে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার। ২টি করে ছক্কা ও চারের মারে ২৪ বলে ২৫ রান করেন তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় একটি করে চার ও ছক্কায় করেন ২৬ রান। কিন্তু দু’জনই ফিরেছেন দ্রুত। আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে ১১৬ রানের জুটি গড়েছিলেন বিজয়-তামিম। দলের হাল ধরতে এসে পরের ৫ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। কিন্তু আউট হয়েছেন নিয়মিত বিরতিতে। শামসুর রহমান শুভ ১৫, জিয়াউর রহমান ১৫, ইমরুল ১৫ ও লিয়াম ডসন ১৭ রানে করে আউট হন। সব শেষে পাকিস্তানি বুম বুম আফ্রিদি ১৯ রানে হাঁটেন সাজঘরে। তামিমকে ফিরিয়ে প্রথম স্পেল শেষ করেছিলেন কামরুল ইসলাম। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে হয়ে ওঠেন আরো ভয়ঙ্কর। এক ওভারেই বিদায় করেন আফ্রিদি, লিয়াম ডসন ও সাইফ উদ্দিনকে। রাজশাহী মাঠ ছাড়ে বড় জয় নিয়ে।
জাতীয় দল থেকে বেশকিছু ধরেই বাইরে রয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ফর্মে ফিরতে ছিলেন দারুণ মরিয়া। যদিও তিনি টেস্ট বোলার হিসেবেই বেশি পরিচিত। হবেই না কেন? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আগে কখনো ম্যাচে দুটির বেশি উইকেট পাননি এই তরুণ পেসার। কিন্তু গতকাল তিনি নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট। ১৩৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল কুমিল্লা। দলের হয়ে লড়াই করতে থাকা আফ্রিদিকে আউট করে রাব্বি সেই প্রতিরোধ ভাঙেন। এরপর দলের স্কোর বোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ হতে তার তৃতীয় শিকার লিয়ামডমন। তার পরের বলেই বিদায় করেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনকে। কুমিল্লার শেষ ব্যাটসম্যান ছিলেন মেহেদী হাসান। এই অলরাউন্ডারের দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ তে সেঞ্চুরি আছে। বলতে গেলে ১১ জন ব্যাটসম্যানের দল নিয়েও কিংসের প্রতিশোধের আগুনে পুড়েছে ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কুমিল্লার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান নিজেদের তাড়াহুড়াকেই দায়ী করেছেন। সেই সঙ্গে রাজশাহীর বোলারদের প্রশংসা করতেও ভোলেননি।