শেষের পাতা
কবিরহাটে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ধর্ষকের জবানবন্দি
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
কবিরহাটে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক জহির ১৬৪ ধারায় লোমহর্ষক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক উজমা শুকরানার খাস কামরায় জহির এ জবানবন্দি দেয়। গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি কবিরহাট থানার নবগ্রামের মৃত এনামুল হকের পুত্র মো. জাকির হোসেন জহির জবানবন্দিতে অজি উল্যার ছেলে আব্দুর রব হোসেন মান্না (২১), ইসমাইলের ছেলে মো. সেলিম (২৫) ও মফিজুর রহমানের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩০) কে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে। গৃহবধূর আইনজীবী রবিউল হোসেন পলাশ জানান, মামলা ভিন্ন খাতে নিতে পুলিশ দেবর মান্না ও মামাশ্বশুর হারুনের নাম বলার জন্য তাকে শিখিয়ে দিয়েছে। গতকাল ধর্ষিতার স্বামীকে আদালত জামিন দিয়েছেন। গৃহবধূ ধর্ষিতার মা জানান, যুবলীগের মো. জাকির হোসেন জহিরের নেতৃত্বে ওই রাতে ৭ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কম্বলচাপা দিয়ে আমার মেয়েকে গণধর্ষণ করে। পরে পুলিশ নিজেরা মামলা লিখে আমার মেয়েকে ধমক দিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ১ জনকে আসামি করে আরো ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা করে।
এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার সকালে নবগ্রাম নিমতলা সমিতির বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মানববন্ধন থেকে অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসি দাবি করে বক্তব্য রাখেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সমিতি বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক, নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হক, নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পলাশ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ। মানববন্ধন থেকে বক্তারা সাধারণ লোকজনকে হয়রানি না করে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে অবিলম্বে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
অন্যথায় তারা আরো কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলেও ঘোষণা দেন। পুলিশ কোনো নিরপরাধী লোকজনকে হয়রানি করছেনা দাবি করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন জহিরের দেয়া তথ্যমতে রাতে নবগ্রামে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রব হোসেন মান্না, মো. সেলিম ও হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাকির হোসেন জহিরসহ ৭জন স্থানীয় আবুল হোসেনের ঘরে সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহবধূর এক ছেলে ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের মধ্যে তিনজন পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৩টার দিকে ধর্ষকরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, ২ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার সকালে নবগ্রাম নিমতলা সমিতির বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মানববন্ধন থেকে অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসি দাবি করে বক্তব্য রাখেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সমিতি বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক, নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হক, নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পলাশ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ। মানববন্ধন থেকে বক্তারা সাধারণ লোকজনকে হয়রানি না করে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে অবিলম্বে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
অন্যথায় তারা আরো কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলেও ঘোষণা দেন। পুলিশ কোনো নিরপরাধী লোকজনকে হয়রানি করছেনা দাবি করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন জহিরের দেয়া তথ্যমতে রাতে নবগ্রামে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রব হোসেন মান্না, মো. সেলিম ও হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাকির হোসেন জহিরসহ ৭জন স্থানীয় আবুল হোসেনের ঘরে সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহবধূর এক ছেলে ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের মধ্যে তিনজন পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৩টার দিকে ধর্ষকরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, ২ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।