বাংলারজমিন
রাজনগরে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি এখনো হাসপাতালে
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৯ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
রাজনগরে ৬ দিন পরও কুড়িয়ে পাওয়া শিশুর কোনো অভিভাবক পাওয়া যায়নি। শিশুটি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে। এদিকে শিশুটিকে গ্রহণের জন্য পুলিশের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। তবে একজনই কেবল লিখিত আবেদন করেছেন।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকালে ঘুম থেকে ওঠে বাড়ি পাশের সবজি ক্ষেতে গিয়েছিলেন মনসুরনগর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের রোকেয়া বেগম (৫০)। ক্ষেতে সবজি তুলার সময় বাঁশের বেড়ায় ঝুলানো একটি (বাজারের) ব্যাগ দেখতে পান তিনি। তাতে নড়াচড়া করছে এবং শব্দও হচ্ছে। বিষয়টি দেখার জন্য ওইদিকে এগিয়ে যান তিনি। দেখতে পান ব্যাগের মধ্যে একটি শিশু। নড়াচড়া করছে। কুয়াশার পানিতে জবুথবু ফুটফুটে শিশুটি নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে। তিনি শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যান। খবর দেন মৌলভীবাজারে বাসায় থাকা তার দেবর ডিডরাইটার মকদ্দুস মিয়াকে। খবর পৌঁছে যায় রাজনগর থানায়ও। রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু মোকসেদ পিপিএম দ্রুত ছুটে যান ঘটনাস্থলে। শিশুটির অবস্থা দেখে তারও চোখে জল এসে যায়। ঠাণ্ডায় হিম হয়ে যাওয়া শিশুটিকে দ্রুত নিয়ে যান মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে। তিনি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। শিশুটি এখনো ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। মৌলভীবাজার হাসপাতালের সমাজসেবা বিভাগ বিষয়টি আদালতকেও জানিয়েছেন। ওই বিভাগ শিশুটির খবর রাখছে বলে জানান উপ-পরিদর্শক আবু মোকসেদ পিপিএম। শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া নারীর দেবর ডিডরাইটার মকদ্দুস আলী বলেন, শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা শিশুটির যথাযথ দেখাশুনা করছি। রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক আবু মোকসেদ পিপিএম বলেন, রাজনগর থানায় করা জিডি মূলে এ বিষয়ে মৌলভীবাজার শিশু আদালতে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে। শিশু আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করছেন শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য, তবে আমার কাছে পারভেজ নামে এক ব্যক্তি শিশুটি নেয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকালে ঘুম থেকে ওঠে বাড়ি পাশের সবজি ক্ষেতে গিয়েছিলেন মনসুরনগর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের রোকেয়া বেগম (৫০)। ক্ষেতে সবজি তুলার সময় বাঁশের বেড়ায় ঝুলানো একটি (বাজারের) ব্যাগ দেখতে পান তিনি। তাতে নড়াচড়া করছে এবং শব্দও হচ্ছে। বিষয়টি দেখার জন্য ওইদিকে এগিয়ে যান তিনি। দেখতে পান ব্যাগের মধ্যে একটি শিশু। নড়াচড়া করছে। কুয়াশার পানিতে জবুথবু ফুটফুটে শিশুটি নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে। তিনি শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যান। খবর দেন মৌলভীবাজারে বাসায় থাকা তার দেবর ডিডরাইটার মকদ্দুস মিয়াকে। খবর পৌঁছে যায় রাজনগর থানায়ও। রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু মোকসেদ পিপিএম দ্রুত ছুটে যান ঘটনাস্থলে। শিশুটির অবস্থা দেখে তারও চোখে জল এসে যায়। ঠাণ্ডায় হিম হয়ে যাওয়া শিশুটিকে দ্রুত নিয়ে যান মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে। তিনি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। শিশুটি এখনো ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। মৌলভীবাজার হাসপাতালের সমাজসেবা বিভাগ বিষয়টি আদালতকেও জানিয়েছেন। ওই বিভাগ শিশুটির খবর রাখছে বলে জানান উপ-পরিদর্শক আবু মোকসেদ পিপিএম। শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া নারীর দেবর ডিডরাইটার মকদ্দুস আলী বলেন, শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা শিশুটির যথাযথ দেখাশুনা করছি। রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক আবু মোকসেদ পিপিএম বলেন, রাজনগর থানায় করা জিডি মূলে এ বিষয়ে মৌলভীবাজার শিশু আদালতে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে। শিশু আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করছেন শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য, তবে আমার কাছে পারভেজ নামে এক ব্যক্তি শিশুটি নেয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেছেন।