এক্সক্লুসিভ
শেষ হলো সপ্তদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
‘সপ্তদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৯’-এর পর্দা নামলো গতকাল সন্ধ্যায়। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে ৯ দিনের এ উৎসবের আয়োজক ছিল রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। গতকাল বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে পুরস্কার প্রদান ও সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহরিয়ার আলম, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক, উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। জমকালো এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন দেশ-বিদেশের ১২০ জনেরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এবার বেস্ট চিলড্রেন ফিল্ম (বাদল রহমান অ্যাওয়ার্ড) পায় কাজাকাস্তানের চলচ্চিত্র ‘লিটল প্রিন্স অফ আওয়ার সিটি’। ৭৩ মিনিটের এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন তালগাত টেমেনোভ। বেস্ট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জেতে ভারতের পরিচালক সৃজিত মুখার্জির ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’। বাংলাদেশ প্যানোরোমা সেকশনে জুরি সদস্য হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের রফিকুজ্জামান, ফ্রান্সের পাইরি-সিমন গুতমান এবং ভারতের রেখা দেশপান্ডে। বেস্ট ক্রিটিক ফিল্ম শাখায় নির্মাতা মাসুম আজিজের ‘সনাতন গল্প’ ছবিটি পুরস্কার পায়। মঞ্চে এ সময় পুরস্কার হাতে নির্মাতা ও অভিনেতা মাসুম আজিজ তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ২১ বছর ধরে কষ্ট করে এ ছবিটির কাজ শেষ করেছি। আজ পুরস্কার হাতে নেয়ার পর সব কষ্ট ভুলে গেলাম। আর আমার টিমে বিনা টাকায় যারা পরিশ্রম করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই পুরস্কার আমার একার নয়, টিমের সবার। এরপর উইমেন ফিল্মমেকারস সেকশনে জুরি সদস্য বাংলাদেশের রুবাইয়াত হোসেন, ভারতের জেরিফা ওয়াহিদ, কসভোর ম্যাকফাইর মিফতারি, লন্ডনের অমিদা দানদোনাকে মঞ্চে ডাকা হয়। তারা এক এক করে বেস্ট শর্ট ফিকশন উইমেন ফিল্মমেকার সেকশনে লন্ডনের ফাতেমে আহমাদির ছবি ‘বিটার সি’, উইমেন ফিল্মমেকারস সেকশনে স্পেশাল মেনশনে লারা লির পরিচালনায় ‘বুরকিনাবে বাউন্টি’, বেস্ট ডকুমেন্টারি ইন উইমেন ফিল্মমেকারস সেকশনে লিসা গাজীর ‘রাইজিং সাইলেন্স’ এবং বেস্ট ফিচার ফিল্ম ইন উইমেন ফিল্মমেকার সেকশনে ফিলিপাইনের নির্মাতা ডিনাইস ওহারার ছবি ‘মাম্যাং’-এর জন্য বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এর মাঝে ‘রাইজিং সাইলেন্স’-এর নির্মাতা লিসা গাজী তার অনুভূতি ব্যক্ত করার পাশাপাশি যে দুজন বাংলাদেশি বীরাঙ্গনা নারীদের নিয়ে ডকুমেন্টরীটি নির্মাণ করেছেন তাদেরকে মঞ্চে ডাকেন। এ সময় উৎসব কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ম. হামিদও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বেস্ট শর্ট ফিকশন ইন (স্পিরিচুয়াল ফিল্ম) সেকশনে ইরানের ছবি ‘রিটার্ন’ পুরস্কার জিতে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শাহরিয়ার পোরসেইডিয়ান। বেস্ট ডকুমেন্টরি ইন স্পিরিচুয়াল ফিল্ম সেকশনে বেলজিয়াম-ইথোপিয়ার ছবি ‘ওয়াকিং ফর জেননা’ পুরস্কার পায়। ছবিটি পরিচালনা
করেছেন ফ্রেডরিক ফুরনেলে অ্যান্ড অলিভার বোরগেট। বেস্ট ফিচার ইন স্পিরিচুয়াল ফিল্ম সেকশনে ভারত-ইউক্রেনের ছবি ‘নামদেভ ভাও’ পুরস্কার পায়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন দার গায়। বেস্ট স্ক্রিপ্ট ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে ফিলিপাইনের ছবি ‘সিগন্যাল রক’-এ রডি ভারা পুরস্কার পান। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ছিটো রনো। বেস্ট সিনেমটোগ্রাফি ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে কাজাকাস্তানের ছবি ‘ডিপ ওয়েল’-এর জন্য রিফকাত ইবরাগিমভ পুরস্কার জিতেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ঝানবেক ঝেটিরোওভ। বেস্ট অ্যাকট্রেস ইন এশিয়ান কম্পিটিশনে তার্কির ছবি ‘সিরিয়াল কুক’-এর জন্য পুরস্কার পান ডেমেট ইভগার। এটি পরিচালনা করেছেন উমিট উনাল। বেস্ট অ্যাক্টর ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে তার্কির ছবি ‘ব্রাদারস অফ সাইলেন্স’ পুরস্কার পায়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তাইলান মিনটাস। ইজিত এগ ইজার এ ছবির জন্য পুরস্কার পান। বেস্ট ডিরেক্টর ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে ইরানের ছবি ‘ড্রেসেশ’ পুরস্কার পেয়েছে। পরিচারক পুয়া বাদকোভে পুরস্কারটি পান। বেস্ট ফিল্ম ইন এশিয়ান কম্পিটিশনে সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশ কায়ারজিস্তানের ‘দ্য সং অফ দ্য ট্রি’ ছবিটি পুরস্কার পায়। ৯৩ মিনিটের এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন এইবেক ডায়েরিবেকভ। এবার উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ৭২টি দেশের ২১৮টি চলচ্চিত্র। অনুষ্ঠানে আগামী ২০২০ সালের ১১ই জানুয়ারি নয়দিনের ১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতির ঘোষণাও দেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
করেছেন ফ্রেডরিক ফুরনেলে অ্যান্ড অলিভার বোরগেট। বেস্ট ফিচার ইন স্পিরিচুয়াল ফিল্ম সেকশনে ভারত-ইউক্রেনের ছবি ‘নামদেভ ভাও’ পুরস্কার পায়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন দার গায়। বেস্ট স্ক্রিপ্ট ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে ফিলিপাইনের ছবি ‘সিগন্যাল রক’-এ রডি ভারা পুরস্কার পান। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ছিটো রনো। বেস্ট সিনেমটোগ্রাফি ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে কাজাকাস্তানের ছবি ‘ডিপ ওয়েল’-এর জন্য রিফকাত ইবরাগিমভ পুরস্কার জিতেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ঝানবেক ঝেটিরোওভ। বেস্ট অ্যাকট্রেস ইন এশিয়ান কম্পিটিশনে তার্কির ছবি ‘সিরিয়াল কুক’-এর জন্য পুরস্কার পান ডেমেট ইভগার। এটি পরিচালনা করেছেন উমিট উনাল। বেস্ট অ্যাক্টর ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে তার্কির ছবি ‘ব্রাদারস অফ সাইলেন্স’ পুরস্কার পায়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তাইলান মিনটাস। ইজিত এগ ইজার এ ছবির জন্য পুরস্কার পান। বেস্ট ডিরেক্টর ইন এশিয়ান কম্পিটিশন সেকশনে ইরানের ছবি ‘ড্রেসেশ’ পুরস্কার পেয়েছে। পরিচারক পুয়া বাদকোভে পুরস্কারটি পান। বেস্ট ফিল্ম ইন এশিয়ান কম্পিটিশনে সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশ কায়ারজিস্তানের ‘দ্য সং অফ দ্য ট্রি’ ছবিটি পুরস্কার পায়। ৯৩ মিনিটের এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন এইবেক ডায়েরিবেকভ। এবার উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ৭২টি দেশের ২১৮টি চলচ্চিত্র। অনুষ্ঠানে আগামী ২০২০ সালের ১১ই জানুয়ারি নয়দিনের ১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতির ঘোষণাও দেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।