বাংলারজমিন

কটিয়াদীতে ছেলের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মা তালাবদ্ধ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

 কটিয়াদীতে খামার মালিক মোস্তফার বিরুদ্ধে মোহন নামে এক কর্মচারীকে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নির্যাতিত ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে মাকেও কিল, ঘুষি লাথি মেরে খামারের ভিতর তালাবদ্ধ করে রাখে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পাঁয়তারা করে। রাত আটটার দিকে পুলিশ নির্যাতিত নারী রহিমাকে (৪৫) মোস্তফার খামার থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের মোস্তফার খামারে।  
জানা যায়, উপজেলার জালালপুর গ্রামের বিধবা রহিমার আয়-রোজগারের কোনো উৎস না থাকায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে ৪ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে আসছে। সন্তানেরা ছোট থাকাবস্থায় তার স্বামী ফরিদ মিয়া মারা যায়। ছেলে-মেয়েরা একটু বড় হলে তাদেরকেও বিভিন্ন স্থানে কাজে পাঠিয়ে দেয়। তার এক ছেলে মোহন মিয়া একই গ্রামের খামারি মোস্তফার খামারে কাজ নেয়। বেশ কিছুদিন যাবৎ সামান্য অজুহাতে মোহনের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায় খামার মালিক মোস্তফা। এতে সে কাজ করতে না চাইলে তাকে আটকিয়ে রাখে। নির্যাতনের বিষয়টি মোহন তার মাকে জানায়। বুধবার বিকালে তার মা রহিমা প্রতিবাদ করতে গেলে খামার মালিকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এই সুযোগে ছেলে মোহন খামার থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ছেলেকে আটকাতে না পেরে তার মা রহিমাকে খামারের ভিতর তালাবদ্ধ করে শারীরিক নির্যাতন করে এবং তার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দিয়ে মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করে। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন কটিয়াদী থানা পুলিশের নিকট বিষয়টি জানায়। পুলিশ রাত আটটার দিকে মোস্তফার খামারের সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে তালাবদ্ধ রহিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে রাতেই জালালপুর আনন্দবাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।  
এ ব্যাপারে খামার মালিক মোস্তফা বলেন, আমি নির্বাচন নিয়ে কিছু দিন ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে খামারের সিসি ক্যামেরা কে বা কারা ভেঙে ফেলে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে খামারে আর কাজ করবে না বলে জানায়। মোহনই আমার পোল্ট্রি ফার্মের দেখাশোনা করতো। হঠাৎ কাজ ছেড়ে দিলে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে এজন্য তাকে আরো কিছুদিন কাজ করতে বলেছি। নির্যাতনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।  
কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দেয়নি। স্থানীয় ভাবে আপসমীমাংসার চেষ্টা চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status