বিশ্বজমিন

সিনেটে প্রশ্নবাণে জর্জরিত ট্রাম্পের অ্যাটর্নি জেনারেল প্রার্থী

মানবজমিন ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী উইলিয়াম বার সিনেট শুনানিতে প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন শুনতে হয়েছে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও এতে ট্রাম্প শিবিরের সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা ইস্যুতে। এই সংক্রান্ত যেই তদন্ত চলছে তাকে প্রায়ই ‘উইচ হান্ট’ বলে আখ্যা দেন ট্রাম্প। তবে উইলিয়াম বারকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই তদন্ত উইচ হান্ট নয়। বরং, বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের নেতৃত্বাধীন এই তদন্তের যথাযথ পরিসমাপ্তির দিকেও জোর দেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘আমি মনে করি, রাশিয়ানরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে কিংবা হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে। এর পুরোটা আমাদের জানতে হবে।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বছর এক আইনি পর্যবেক্ষণে মুলারের এই তদন্ত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বার। এ ব্যাপারেও তাকে প্রশ্ন করা হয়। সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটির ডেমোক্রেট দলীয় সদস্যরা ইঙ্গিত দেন যে, ২০ পৃষ্ঠার ওই পর্যবেক্ষণ ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে চাকরির সাক্ষাৎকার ছিল। তবে উইলিয়াম বার এমন দাবিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন। প্রসঙ্গত, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সময়ও অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন উইলিয়াম বার।
মুলারের তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার তত্বাবধানে বব মুলারকে তার তদন্ত শেষ করতে দেওয়া হবে।’ বার আরও বলেন, এর আগে বিচার মন্ত্রণালয়ে তিনি ও মুলার একসঙ্গে কাজ করেছেন। তখন থেকেই তারা ‘ভালো বন্ধু।’ দুই দিনব্যাপী এই শুনানির প্রথম দিনে ডেমোক্রেটরা তার কাছে জানতে চান, তিনি কি ট্রাম্পকে ‘না’ বলতে পারবেন কিনা। জবাবে উইলিয়াম বার বলেন, ‘আমি যা ভুল মনে করবো, শাসানির মাধ্যমে আমাকে দিয়ে তা কেউ করাতে পারবে না। হোক তা কোনো সম্পাদনা পর্ষদ, কংগ্রেস কিংবা প্রেসিডেন্ট। আমি তা-ই করবো যা আমি মনে করবো সঠিক।’ ডেমোক্রেট সিনেটর প্যাট্রিক লেহি প্রশ্ন করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কি কাউকে এই শর্তে ক্ষমা করতে পারেন যে তিনি প্রেসিডেন্টকে জড়িয়ে কিছু বলবেন না? জবাবে উইলিয়াম বার বলেন, ‘না। তা হবে অপরাধের সমতুল্য।’ প্রসঙ্গত ট্রাম্পের সমালোচকরা অনেকদিন ধরেই অনুমান করছিলেন যে, ট্রাম্প হয়তো তার সাবেক দুই সহযোগিকে মার্জনা করবেন। পল ম্যানাফোর্ট ও মাইকেল ফ্লিন নামে তার ওই সাবেক দুই সহযোগিকে ব্যাংক জালিয়াতি ও ফেডারেল কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা বলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অনেকে সন্দেহ করছেন, এই দুই জন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে কিছু না বললে তাদেরকে হয়তো ক্ষমা করবেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বার বলেন, তার পূর্বসুরি অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স যখন নিজেকে রাশিয়া তদন্ত সংশ্লিষ্ট যেকোনো কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করেছিলেন, তখন তিনি সঠিক কাজটিই করেছিলেন। সেশন্সের এই পদক্ষেপে ভীষণ অসন্তুষ্ট হন ট্রাম্প। তিনি একাধিকবার বলেছেন, সেশন্স এই কাজ করবেন জানলে তাকে কখনই অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মনোনয়ন দিতেন না তিনি।
জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান লিন্ডসে গ্রাহাম তাকে বিচার মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা পিটার স্ট্রজোক ও লিসা পেইজের মধ্যে চালাচালি হওয়া ট্রাম্প-বিরোধী এসএমএস নিয়ে প্রশ্ন করেন। এই দুই জন তখন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। আর একজন ২০১৬ সালের নির্বাচনের পূর্বে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে তদন্ত করছিলেন। এ বিষয়ে বার বলেন, ‘আমি যখন বিষয়টা শুনি তখন চমকে উঠেছিলাম।’ তিনি জানান, তার মনোনয়ন নিশ্চিত হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।
এদিকে খবরে এসেছে, ট্রাম্প রাশিয়ান চর কিনা তা জানতে কিছু এফবিআই কর্মকর্তা তদন্ত করেছিলেন। এই তদন্ত মুলারের তদন্তেরও আগে হয়েছিল। সোমবার এ সংবাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান ট্রাম্প।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status