বাংলারজমিন
খুলনায় কারাবন্দি বিএনপি নেতাকর্মীদের মানবেতর জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
খুলনা জেলা কারাগারে বন্দিদশায় মানবেতর দিনযাপনকারী বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে খোদ রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের মহানগর কমিটির নেতারা। মিথ্যা গায়েবি মামলায় আসামি করে তড়িঘড়ি চার্জশিট দিয়ে বিএনপির সক্রিয় কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে প্রহসন ও জালিয়াতির নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে পুলিশ ও প্রশাসন সম্মিলিতভাবে এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে পাওয়া জামিনকে বাধাগ্রস্ত করতে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে নতুন নতুন মামলার আসামি করে তাদের মুক্তি লাভকে বাধাগ্রস্তও করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, খুলনা জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশি বন্দি অবস্থান করছে। পৌষের এই তীব্র শীতে তাদের অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে একাধিক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাদের খাওয়া, শোয়া, গোছল ও ঘুমে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। শীতে কম্বল ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হচ্ছে। যা মৌলিক মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার কারণে সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে, পুলিশ ও প্রশাসনের মিলিত কারসাজিতে এসব কর্মীদের মাসের পর মাস কারান্তরীণ থাকতে হচ্ছে। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পর সে আদেশ খুলনায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে পেন্ডিং মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মুক্তি প্রক্রিয়াকে আটকে দেয়া হচ্ছে। বিবৃতিদাতারা হলেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, প্রমুখ।