বাংলারজমিন
কিশোরগঞ্জে স্কুলশিক্ষক হত্যায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
হোসেনপুর উপজেলার পিপলাকান্দি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাহেদ আলী হত্যা মামলার রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছে। দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন বিচারক মুহা. আবু তাহের। রায়ে অভিযুক্ত ১০ আসামির মধ্যে নয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হোসেনপুর উপজেলার জিনারি ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের আমিনুল হক, রতন মিয়া, রিপন মিয়া, নূর উদ্দিন, দুলাল মিয়া, মোস্তফা, রাশিদ, আবু সাহিদ ও নূর উদ্দিন। এছাড়া অপর অভিযুক্ত সহিদ মিয়া খালাস পেয়েছেন। অন্যদিকে নিহত স্কুলশিক্ষক সাহেদ আলী একই ইউনিয়নের বীর হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা ২০০৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল বিকালে রিকশাযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে নূর উদ্দিনের বাড়ির সামনের রাস্তায় স্কুলশিক্ষক সাহেদ আলীর ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাহেদ আলীকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ২০দিন পর ২৪শে এপ্রিল তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. ফরিদ বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৭ই আগস্ট নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও এপিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাক হোসেন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. ফরিদ বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৭ই আগস্ট নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও এপিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাক হোসেন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।