খেলা

বোলারদের ম্যাচে প্রথম জয় খুলনার

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন

অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ৬ষ্ঠ আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছেন খুলনা টাইটান্স। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টানা চার হারের পর রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে প্রথম জয় দেখা পায় টাইটান্সরা। তবে প্রথম জয়ের ম্যাচে ছিল না তেমন কোনো উত্তেজনা। কারণ সিলেট পর্বও শুরু হয়েছে ঢাকার মতো উইকেটে রান খরা দিয়ে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে খুলনার সংগ্রহ ১২৮ তাও ৯ উইকেট হারিয়ে। জবাব দিতে নেমে কিংসদের অবস্থা যেন আরো  শোচনীয়। ৫৫ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে। বলতে গেলে বোলারদের এক লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ২৫ রানের জয় পায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। খুলনার পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান ও দেশি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তবে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখায় তাইজুলই হয়েছেন ম্যাচসেরা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে অবস্থান করা খুলনা এখন দেখতে পারে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে এটি বিপিএলে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দলের এটি তৃতীয় হার।
সিলেটে রান হবে এমনটাই আশা ছিল দর্শক ও ক্রিকেট বোদ্ধাদের। কারণ সবশেষ সিলেটে বিপিএলের ৫ম আসরে ৮ ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই এসেছে ২শ’ ছাড়ানো স্কোর। কিন্তু সেই সিলেটেই এবার প্রথম ম্যাচ শুরু হলো রান খরা দিয়ে। ব্যাট করতে নেমে খুলনার গোটা ইনিংসে এসেছে দুটি ছয়ের মার তাও দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে। জহুরুল ইসলাম অমি ১৩ রান করে আউট এরপর আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীও বিদায় নেন ১৪ রান করে। ৩৭ রানে দুই উইকেট হারানো দলকে টানতে এসে ব্যাটিং ভরসা ডেভিড মালান ১৫ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ দুই অঙ্ক থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে ফিরে সাজঘরে। এই ম্যাচেও ব্যর্থতার গণ্ডি ভাঙতে পারেননি তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ রান। শেষ পর্যন্ত আরিফুল হক কিছুটা আশার আলো দেখালেও তিনিও হাল ছাড়েন ২৬ রান করে। ২৭ বলের ইনিংসে মাত্র ১টিই চারের মার হাঁকান এই মারমুখী ওপেনার। রাজশাহীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাতে এক উইকেট অবশিষ্ট থাকলেও তাদের নির্ধারিত ওভার শেষ হয় ১৩০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে।
মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাইডার্সের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দারুণ আশা ছিল কিংসদের। তাই খুলনার এই ছোট লক্ষ্য তাদের দেখাচ্ছিল জয়েরই স্বপ্ন। কিন্তু তাদের শুরুটাই ছিল দারুণ বাজে। আগের ম্যাচে অধিনায়ক মিরাজ ওপেন করতে এলেও এই ম্যাচে সেটি করেননি। ওপেনিংয়ে ভরসা রাখেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক সৌরভ ও ক্যারিবীয় তারকা এভিন লুইসের ওপর। কিন্তু ক্যারিবীয় টি-টোয়েন্টি দানব খ্যাত এভিন লুইস দলকে আরো একবার হতাশ করেন। দলের ১ রানের সময় নিজের নামের পাশে শূন্য রেখেই হাঁটেন সাজঘরের পথে। এরপর মুমিনুলের অবদান মাত্র ৭ রান। দলের ৩০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ে দারুণ বিপদে পড়ে কিংসরা। যদিও অধিনায়ক নিজেই ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে এসে দলের হাল ধরেন দারুণ ভাবে। মাত্র ১৬ বলেই ২৩ রান করেন। কিন্তু ঝড় উঠেও তা থেমে যায় ২ চার ও একটি ছয় হাঁকানো ইনিংস।  এরপর হতাশ করে চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল। দেশি তরুণ তারকা সৌম্য সরকার তার ব্যর্থতার ফর্ম ঠিক রেখে করেছেন ২ রান। রায়ান টিন ডেসকাট ১৩ রান করে আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও টিকেননি। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে জয়ের নায়ক জাকির হাসানও এদিন ৭ রানে বিদায়। শেষ দিকে দুই বোলার আরাফাত সানি ১৫ ও কামরুল ইমলাম রাব্বি ১৩ রান করে দলের মান রক্ষা করেন। কিংসের গোটা ইনিংসে চার ছক্কার দুটিই হাঁকিয়েছেন এই দুই বোলার। সব মিলিয়ে তাদের ইনিংসে চারের মার মাত্র ৫টি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status